সেই মেয়েটা ভীষণ চঞ্চল ছিলো,
ইচ্ছে হলেই পাখনা মেলে উড়াল দিতো নীল আকাশে,
বাধণছাড়া পাখির মত উড়তো শুধু ডালে ডালে
প্রজাপতির সাথে গল্প করতো বসে সবুজ দূর্বাঘাসে।
তোমরা সেই মেয়েটার পাখনা দুটো কেটে দিলে
এক বিকেলে খেলাচ্ছলে সেই মেয়েটার বুক হাতালে!
সেই মেয়েটা বড্ড সরল ছিলো,
ভোরের রবির আগেই মেয়েটা ঘুম ভাঙাতো মায়ায়
ব্যস্ত শহর উঠতো জেগে ওর হাসিতে
মন খারাপ আর ক্লান্তিগুলো হারাতো ওর ছায়ায়।
তোমরা সেই মেয়েটার সরলতার সুযোগ নিলে
এক দুপুরের নির্জনতায় সতীত্বকে কেড়ে নিলে!
সেই মেয়েটা ছিলো পরীর মতন,
ওর মুক্তোঝড়া হাসি দিয়ে রাঙাতো সবার দিন
কাজলকালো চোখের মায়ায় দুখ ভোলাতো
ওর চঞ্চল চাহনিতে ধুসর বিকেলটাও হত রঙিন।
তোমরা সেই মেয়েটার রূপের এই সম্মান দিলে!
পাশবিক হিংস্রতায় ওর তারুণ্যকে কেড়ে নিলে!
সেই মেয়েটা বড্ড বোকা ছিলো,
নিজের মতই সরল ভেবেছিলো তোমাদের এই সমাজটাকে,
ও দেখতে পায়নি ভালোমানুষির অন্তরালে
লুকিয়ে থাকা বন্য পশুর হিংস্রতাকে!
তোমরা সেই মেয়েটার ভুল ভাঙালে,
খোলশ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঠিকই নিজের জাত চেনালে!
সেই মেয়েটা আজ আর বোকা নেই
হারিয়ে গেছে ওর সলজ্জ চোখের চাহনি,
ওর দুচোখ জুড়ে এখন কেবলই শুন্যতা
হৃদয় মাঝে জ্বলছে জাহান্নামের বহ্নি!
কিন্তু, তোমরা তবু নেইতো থেমে, আছো দিব্যি মজায়
এক পাখিকে হত্যা করে ব্যস্ত এখন নতুন পাখি খোঁজায়!
বিনিয়ামীন পিয়াস
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯