উপরের কমেন্টটি দেখুন। সে বলেছে
এই ইদে প্রত্যেকটা ইদগাহ ময়দানে এক একটা করে মানব বোমা চাই। সব কিছুর মূল কিন্তু এই সুশীল দালালরা। প্রতিশোধের ডাক দেন। খুদিরামরা আবার ফিরে আসুক। আল্লার কসম- আমার জায়গা জমি যেটুকু আছে- সব বিক্রি করে ফাণ্ডে টাকা দিয়ে দেব। আর পারলে আমাকে সাজিয়ে দেন- বায়তুল মোকারমের উত্তর গেট আমার।
তার এ আক্রোশের কারণ
এই পোস্টে সে সুইসাইড বোম্বার হবার কথা বলেছে, বলেছে মুসলমানদের মসজিদ সে উড়িয়ে দেবে।
তার বক্তব্য অনুসারে হিন্দুদের মালউন বলার জন্য যদি মসজিদ গুড়িয়ে দিতে হয়, সুইসাইড বম্বার হতে হয়
তাহলে মুসলমানদের নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে নিয়ে ব্যঙ্গ চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য সুইসাইড বম্বিং তার ভাষায় কেন বৈধ হবে না।
ক্ষুদিরাম যেই বঙ্কিমের আনন্দমঠ পড়ে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তথা এদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল, সেই আনন্দমঠে মুসলমানদের গালিগালাজ করার জন্য, এবং তার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দাড়িপাল্লার মত শত শত হিন্দু যে ফেসবুকে মুসলমানদের ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে........
সেজন্য এই দেশের হিন্দুদের কি করা উচিত?
পেপারে একটি খবর এসেছিল যে, কোন এক রাজমিস্ত্রিকে দিয়ে হাটহাজারীর মসজিদ ভাঙানো হয়েছে তাকে পঞ্চাশ টাকা ঘুষ দিয়ে।
আপনি পারলে ঢাকা শহরের চার মাইল পথ রিকশায় পঞ্চাশ টাকার কমে গিয়ে দেখান তারপর বলা যাবে যে পঞ্চাশ টাকা ঘুষ দিয়ে একজন মসজিদ ভেঙেছে এই ২০১২ সালে, যখন চালের কেজিই পঞ্চাশ টাকা।
এইরকম ফালতু খবর বিশ্বাস করতে পারে দাড়িপাল্লা, কিন্তু ইসলামকে সে বিশ্বাস করতে পারে না।
এর কারণ সে একজন হিন্দু। হিন্দুধর্মের আজগুবি গালগপ্প আর মুসলিমবিদ্বেষী বানোয়াট ইতিহাস, এককথায় মিথ্যা, মিথ্যা এবং মিথ্যাই তার সম্বল।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:৪৪