somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি অধিকার আন্দোলন- গণমাধ্যম, সরকার, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও প্রশাসন (কে কোন ভূমিকায়)

০৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৩:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(সত্যভাষণে স্বাগতম..... ভূমিকা বা আবতারণা পর্ব-)

একটা কথা না বলে পারছি না আর। কথাটা ইচ্ছে করলে আরো কয়েকদিন পরেও বলতে পারতাম। কিন্তু আমার মনে হয় এখন বলে ফেলাই শ্রেয়। কারণ, পরে আর এতো ছেট বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় হবে না আমার। কয়েকদিন পরে আমি অনেক বিস্তারিত বলবো আরো। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিকের টাকায় পড়ি। পাবলিকের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা কিছুটা হলেও যেন শোধ হয়- অন্তত চেষ্টা করতে দোষ কি।

ব্যাপারটা হলো- আন্দোলন নিয়ে কথা। সম্প্রতি আপনারা নিশ্চই দেখছেন বা শুণছেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মাঠে নেমেছে। ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন করে তারা অন্তত তাদের পক্ষ থেকে কথা বলার অদিকার চাইছে। দুপুরে প্রথম সংবাদ সম্মেলনের পর টিভি রেডিও গুলো ফলাও করে তা প্রচারও করেছে। কিন্তু সন্ধ্যা হতে হতে প্রিন্ট মিডিয়া থেকে তা হারিয়ে গেল অথবা সংকুচিত হয়ে গেল।
ব্যাস ভালোই হলো! এটা হতেই পারে । নতুন নতুন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হাতে আসলে পুরাতন সংবাদ গুরুত্ব হারাবে এটাই স্বাভাবিক। যাই হোক, পরেরবার আবার যখন অপরাজেয় বাংলায় একটা সমাবেশ করা হলো তখন দেখা গেল আর মিডিয়া নেই। এবার আর টিভি মিডিয়াও নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা মোটেও অবাক হয়নি কিন্তু। কারণ , তারা প্রথম দিনের আন্দোলনের পরেই বুঝতে পেরেছিল- তাহাদের (অতি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিজেদের আভ্যন্তরীণ স্বার্থিক সম্পর্কের) সম্পর্কের চাপের কাছে এই গণদাবির সংবাদটি 'সংবাদ মূল্য' হারাইয়া ফেলিবে। যাইহোক গণমাধ্যমের সাথে 'গণমানুষ' এবং 'গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব্যদের' একটা বিকট, প্রকট ও উৎকট আঠালো সম্পর্ক বিদ্যমান।

আমি তো গণযোগাযোগের ছাত্র, তাই এবার নৈকট্যের ব্যাপারেই কথা বলতে হয় সবার আগে। আর আমাদের সবচেয়ে নিকট 'গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব্যটা' কে? জানেন তো সবাই ! আরে মশাই এখনো বুঝলেন না, ঢাকাতে একটা প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় (!) আছে, আর সেটাতে একটা মনোনীত (!) উপাচার্যও আছে। দার্শনিক ও সাহিত্যিক আহমদ ছফার ভাষায় বলতে গেলে ব্যাপারটি অনেক চাছাছোলা হয়ে যায়, তাই আজ একটু মোলায়েন সুরেই বলি। ওই যে উপাচার্যের ব্যাপারে বলছিলাম- তিনি হলেন বাংলাদেশের একমাত্র গনযোগাযোগবিদ (!), যদিও তিনি তথ্য নেন এবং দেন তার বলয়ের হাতে গোণা মাত্র কয়েকজন সিনিয়র সাংঘাতিক সাংবাদিক বলয়ের মাধ্যমে। তারপর সেই সাংঘাতিকরাই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে- কোন সংবাদটি ছড়িয়ে দিয়ে প্রোপাগান্ডা সৃষ্টি করতে হবে ভিসি স্যারের ইচ্ছা পূরণের জন্য, অথবা কোন সংবাদটি সবাই মিলে একসাথে গুম করে দিতে হবে। কিসে ভিসির মঙ্গল হবে বা অমঙ্গল হবে তাতে ভিসির চাইতে তাদের চিন্তাই অনেক বেশী! অবশ্য এজন্য তারা যে কখনো দু'এক দানা চিনি পাননা ভাগে-তাতো বলা যায় না! না হলে বড় বড় সাংবাদিকরা ও অন্যপেশার বহিরাগতরাও সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এসে মানুষকে ডেকে ডেকে জনসংযোগে নামেন কেন! নি:সন্দেহে উদ্দেশ্য অসৎ...

আমি নিজে যেমন জানি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোন নিয়োগের সময় হলেই এই সাংঘাতিকরা ভিসির বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন মধ্যরাতে। সম্প্রতি এমন কাজের বাস্তবায়নও চোখের সামনেই দেখা গেছে। ভিসি সাহেবও তো না চাইতেই অনেক উপকার পান তাদের কাছে। এই এখন যেমন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গুড়িয়ে দেয়ার জন্য গণযোগাযোগের মাধ্যমে তারা সাজানো প্রাপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তাই তিনিও নিরাশ করেন না তাদেরকে। এই সম্পর্কগুলো অবশ্য সময়ের বিবিধ চক্রে ভিসি সাহেব উপহার হিসেবে পেয়ে গেছেন। মিডিয়ার অর্ধেক মানুষ তার সরাসরি ছাত্র তো হবেই। এবং শিক্ষক হিসেবে ওই বিভাগের মধ্যে সেরা শিক্ষক ছিলেন তিনি, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। ক্লাসরুমে তার পাঠদান পদ্ধতি ও ব্যবহার অন্যোন্যসাধারণ। তাই ছাত্রদের মনে তার সম্পর্কে একটা শ্রদ্ধাবনত জায়গা সঙ্গত কারণেই থাকাটা খুব স্বাভাবিক। সেটা আমারো আছে। এখনো সাংবাদিকতা বিভাগে আমার সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক তিনি । তবে উপাচার্য ব্যক্তিটি না। আমার মনে হয়, ওনার ভিতর থেকে সেই শিক্ষকসত্ত্বাটি হারিয়ে গেছে- এখন উনি প্রশাসক বা অপশাসক টাইপের কিছু একটা হয়ে গেছেন।

তবে ছাত্রদের এই শ্রদ্ধাকে কাজে লাগিয়ে এবং সাংবাদিকদের অনুকম্পার উপর ভর করে সিদ্দিক সাহেব ( ঢাবি ভিসি) যে এখন বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর পলিসি লেবেলে অদৃশ্যভাবে কলকাঠি নাড়ছেন- ক্ষমতার উত্তাপে তা হয়তো মনে করার মতো সময়ও এখন তার হাতে নেই। অবশ্য জ্ঞানের সর্বোচ্চ বীর 'উপাচার্য' শব্দটি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমার একটু আপত্তি আছে বৈ কি। এইসব ক্ষমতার তাবেদারি করা লোকদেরকে রাজণৈতিকভাবে মনোনয়ন দেয়ার পর তাদের পদবিতেও পরিবর্তন আনা দরকার বলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি। আওয়ামীলীগের মনোনীত হলে সেটার নাম রাখা যেতে পারে `আওয়ামীলীগের কদমবুছি সর্বোচ্চ জ্ঞানপাপী' আর বিএনপি এর হলে সেটার নাম হতে পারে `জাতীয়তাবাদী কদমবুছি জ্ঞানবীর'। তাদেরকে শিক্ষাঙ্গণের 'নব্য এরশাদ'ও বলা যেতে পারে। নাহ এরশাদের সাথে তাদের মিলটা শুধু স্বৈরাচারী দিকটাতে। অন্য কো্থাও খুব বেশী মিল নেই। এরশাদ তো তারপরেও একটা নির্বাচন দিয়েছিল! বা দিতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু এই নব্য স্বৈরাচার 'মনোনীত উপাচার্যরা' সিনেটে , সিন্ডিকেটে বারবার দাবি ওঠা সত্বেও গণতান্ত্রিক রাস্তায় হাটতে খুবই কুন্ঠা বোধ করে। পাছে ক্ষমতা হাত ছাড়া হয়ে যায়- এই ভয়ে। আর সরকারও এইসব চাটুকারকে নিয়োগ দিয়ে নিশ্চিন্তে সংসদে বসে বক্তব্য দিয়ে দায় সেরে ফেলছে। কথাটি বলার কারণ হলো, সংসদে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ নিলে মন্ত্রণালয় সাহায্য করবে।

মন্ত্রী সাহেব নিশ্চই জানেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় এই উদ্যোগ নেবেনা। কারণ, এই উদ্যোগ নিতে গেলে-- ও্ই মনোনীত সর্বোচ্চ ব্যক্তিটিকেও যে 'উপাচার্য নির্বাচন' দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করে আসতে হবে! কে চায় পাতের গুড় ফেলে দিয়ে খালি শুকনো মুড়ি চিবোতে!! যাই হোক আমরা না হয় গুড়-মুড়ি খাওয়ার হিসেবটা পরে করব। আগে অন্তত পানি খেয়ে বাঁচতে দিন আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে। এসব নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই বিস্তারিত লিখছি, একটু সবুর করেন সবাই। আমার বিভাগের চার বছরের শিক্ষা জীবনে অন্তত এই বিষয়টি শিখেছি যে- তথ্য প্রকাশ করতে হবে। পাবলিকের টাকায় উচ্চশিক্ষা নিচ্ছি সুতরাং তাদের কাছেও আমার দায়বদ্ধতা আছে- একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে।

আসল কথায় আসি তাহলে, এসব নিয়ে এতো অল্পতে হবে না। পয়েন্ট টু পয়েন্ট বিস্তারিত আসতে হবে। সেটাও শীঘ্রই হবে। আপাদত যেটা বলতে চাই সেটা হলো আন্দোলন নিয়ে। এর আগেও একটা আন্দোলনে 'অপরাজেয় বাংলাতে' সমবেত হয়েছিলাম আমরা অনেকে। সেটা ছিল ফেসবুক বন্ধ করার প্রতিবাদে। সেই ব্যাপারে বলছি।

একটি সাজানো আন্দোলন!!

ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাবার পর এক সিনিয়র সাংবাদিক বড় ভাই ফোন দিলেন। বললেন যে, ফেসবুক বন্ধ করেছে সরকার। সুতরাং আন্দোলন করতে হবে। রাতের বেলায় দ্রুত আমাদেরকে ডাকা হলো । হল থেকে বের হলাম। তারপর তো আক্কেলগুডুম!
এবার শুনি- আগে নাকি ভিসির কাছে অনুমতি নিতে হবে! জানতে চেয়েছিলাম যে, 'অনুমতির কি কোন দরকার আছে?' পরে আমাকে বলা হলো-'অনুমতি না, আমরা আগে ভিসি স্যারকে আমাদের অভিযোগের কথা জানাবো'। যাই হোক , খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে কিছু ভাই-ব্রাদার জোগাড় করে ভিসির সাথে সাক্ষাত করতে যাওয়া হলো সেই সাংবাদিকের নেতৃত্বে। তারপর ভিসি সাহেবের অনুমতি নিয়ে রাত বারোটার দিকে ১০-১২ জন মিলে টিএসসিতে গিয়ে ভাষণ দেয়া হলো।

পরের দিন প্রথমআলো পত্রিকায় সংবাদ চলে এলো। সেদিন দিনে আবার মানববন্ধন হলো অপরাজেয় বাংলায়। ব্যাপক মিডিয়া কাভারেজ। ধুন্ধুমার অবস্থা।
যাই হোক, ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্তটা অবাধ তথ্য প্রবাহের এই সময়ে একটা আদিম সিদ্ধান্তের মতোই হয়ে গিয়েছিল। মানুষের মনে ক্ষোভও জমেছিল। কিন্তু আন্দোলনটা ছিল কৃত্রিম।

মালিক পক্ষের অনুমতি নিয়ে দাসদের বিদ্রোহ করার মতোই একটা সাজানো নাটক মাত্র। মিডিয়ার আগ্রহ ছিল কারণ- দেশের মুক্তমনা মানুষদের কাছে ও বর্হিবিশ্বে তারা প্রগতির ঝান্ডা ওড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল বলে। ভিসি সাহেবের সম্মতি ছিল, কারণ- তিনি জানতেন যে ফেসবুককে আবার সবার জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হবে। আর ইস্যুটি ছিল বেশ সেনসিটিভ। নিজের অনুগত লোকদেরকে দিয়ে আন্দোলন করালে তা হলে আন্দোলনের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে, অন্যাথা যদি ফেসবুকে আসক্ত তরুণ প্রজন্ম ফেসবুক ব্যবহারের দাবিতে স্বতস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে মাঠে নামত- তাহলে হয়তো কেঁচো খুড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। একটা ব্যাপার পরিস্কার করি, প্রথমদিন ঘটনার আকস্মিকতায় আমিও দাড়িয়েছিলাম টিএসসিতে এবং কথাও বলেছি দুমিনিট। কিন্তু পরের দিন কিন্তু আর সাজানো আন্দোলনের ওই 'অপরাজেয়বাংলার মানববন্ধনে' দাড়াইনি আর। তবে উপস্থিত ছিলাম সাংবাদিক হিসেবে।

মজার ব্যাপার হলো, সাজানো আন্দোলন হোক আর যাই হোক- এইযে নৈতিকভাবে দূর্বল আর সুযোগসন্ধানীরা, যারা অনেকদিন ধরে সাংবাদিকতা করে করে মাথা এবং হাত দুটোই পাকিয়েছে, যারা সিন্ডিকেট করে সংবাদ প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাদের অনুমতি বা সমর্থন নিয়ে যদি আপনি একটা আন্দোলন শুরু করেন- তাহলে কিন্তু মিডিয়া কাভারেজ এর অভাব হয় না বিন্দুমাত্র।


আর অধিকারের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন-


কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা যখন নিজেদের অধিকার আন্দোলনে সম্পূর্ণ সততা নিয়ে মাঠে নামে, তখন প্রশাসন বলে- এরা বিরোধী দলের লোক, আর বিরোধীদল বলে- এটা প্রশাসনের সাজানো, আর মিডিয়ার জগতে যারা প্রশাসনের তাবেদারি করে ও অনুগ্রহপুষ্ট থাকে-তারা মিডিয়াতে নেতিবাচক প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেয়, তখন তারা বলে- এটা হলো বিচ্ছিন্ন তরুণদের বিক্ষুব্ধ আচরণ!! অধিকার চাওয়ার স্বতস্ফূর্ত আন্দোলনকে তখন 'বিক্ষুব্ধ আচরণ' বলা হয় । কারণ- এটা স্বতস্ফূর্ত আন্দোলন, এই আন্দোলন শুরু করার আগে প্রশাসনের অনুমতি নেয়া হয় নাই, ক্ষমতাবানদেরকে কদমবুছি করে মাঠে নামা হয় নাই !!!!

....................................................আরে বাবা, সচেতন বাঙালি! আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি! এই জিনিসটা আপনারা কি বোঝেন না যে- পাকিস্তানীদের অনুমতি নিয়ে স্বাধীণতা আন্দোলনে নামলে- স্বাধীণতা তো দূরে থাক, স্বায়ত্বশাসনও পাওয়া যেত না। তবে হয়তো সরকার আমাদেরকে মিডিয়া কাভারেজ দিয়ে একটা সান্তনা দিয়ে দিত। কিন্তু জাতির ভাগে শুধু জুটত স্যাকারিনের মতো সান্তনা। আজও স্বাধীন বাংলার বাতাস খাওয়া সম্ভব হতো না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই 'ডাকসু চালুর' আন্দোলনটা এজন্যই সাধুবাদ পেতে পারে যে- কারো আশীর্বাদ নিয়ে তারা মাঠে নামেনি। তাদেরকে দমানোর জন্য প্রশাসন প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। মিডিয়া দূরে থেকে সব দেখছে।
জয় হোক এই সাধারণ শিক্ষার্থীদের। জয় হোক অধিকারের জন্য বুকে সততার পাহাড় নিয়ে মাঠে নামা এই সচেতন শিক্ষার্থীদের। ছাত্র সংসদ আবার ফিরে আসুক সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই। বাতাসে হারিয়ে যাক বিশ বছর ধরে চলতে থাকা লেজুরবৃত্তির গোলামী রাজনীতির।

জাতি ব্যবসায়ী আর জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবীদের বিষাক্ত গ্রাস থেকে মুক্তি পাক। টেন্ডারবাজি-খুন-ধর্ষণের রাজনীতি থেকে বের হয়ে সমাজসেবামূলক কাজে ফিরে আসুক দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম। জাতি আবার তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাক। দেশের মানুষ আবার ছাত্র সমাজ নিয়ে গর্ব বোধ করুক। শুভ কামনা `শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ'। জয় হোক নৈতিকতার, জয় হোক তারুণ্যের এই শুভ উদ্যোগের।

-আব্দুল আলীম ধ্রুব,গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

(সাথে থাকুন, পরবর্তী পাচ পর্বের সত্যভাষণ পরপর আসছে)

২য় পর্ব-- 2nd episode of the text
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সত্যি বলছি, চাইবো না

লিখেছেন নওরিন হোসেন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৮



সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১০


শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখস্থান.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

শেখস্থান.....

বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×