“হেফজতে ইসলাম” বাংলায় অর্থ করলে হয় ইসলামের রক্ষাকারী। এই কথিত ইসলামের রক্ষাকারীদের ইসলাম রক্ষার নমুনা দেখার বড় ইচ্ছা হয়। চলুন দেখি তাদের ইসলাম রক্ষার নমুনা।
প্রথমে আসুন দেখি তারা লাইম লাইটে কবে আসে। তারা লাইম লাইটে আসে মুলত মার্চ মাসে চট্টগ্রামের গণজাগরণ মঞ্চ এর সমাবেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিযে। ইমরান এইচ সরকার সহ গণজাগরণ মঞ্চের ঢাকার নেতারা যখন চট্টগ্রামের যাচ্ছিলেন তখন তারা তাদের সবাইকে একবাক্যে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে বললেন যে পীর আওলিয়ার মাটিতে নাস্তিকদের ঠাই নাই। এমনকি কোন রুপ আলোচনায় অস্বীকৃতি জানান। আর এই নাস্তিক ইস্যু কবে কিভাবে আরম্ভ হয়েছিল আমরা তা জানি।
আমি সেই দিকে যাচ্ছি না। তবে আসুন দেখি কিভাবে হেফাজতে ইসলাম ইসলামকে হেফাজত করার দায়িত্ব পালন করছে। আর এই পোস্টে তারা কোথা হতে হঠাৎ উদয় হলো তার চুলচেরা বিশ্লেষন করা আছে।
তাদর উড়ে এসে জুড়ে দেয়া ১৩ দফা দাবীগুলোর বেশীরভাগই অযৌক্তিক। এই অযৌক্তিকতা গুলো স্বল্প পরিসরে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
১. সংবিধানে ‘আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরান-সুন্নাহ্ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে।
আমাদের সংবিধানের কোন আইনটা পবিত্র কোরান বিরোধী সেটা তারা উল্লেখ করে নাই। শুধু কালকে কয়েকজন বক্তা বলেছেন নারীনীতির কথা যেটা এই পর্যন্ত বাস্তাবয়ন করা হয় নি। সংবিধান সম্পর্কে তারা কতটুকু জ্ঞান রাখে সেটাও আমার প্রশ্ন।
আর সংবিধান কি কোন ধর্মগ্রন্থ? যেটাতে আল্লাহতায়ালার উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস এর কথা বলতে হবে! এরপরও আসুন দেখি আমাদের সংবিধানে কি আছে সেটা দেখি।
এই খানে দেখুন স্পষ্ট বলা আছে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
রাষ্ট্রধর্ম পর্যন্ত ইসলাম বলা আছে।
২. আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
এই খানে প্রশ্ন হলো খোদ ইসলাম কি বলে? শুধু “হেফাজতে ইসলাম” নামের কথিত অরাজনৈতিক(!) সংগঠন বললেই তো হবে না। ইসলামকেও তা অনুমোদন করতে হবে।
পবিত্র কোরানের কোথায় বলা আছে যে আল্লাহ, রাসুল (সাঃ), ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং কুৎসা রটালে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে হবে? বরং পবিত্র কোরানে আল্লাহ বলেছেন যে,
“ধর্মকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।”(আল বাকারা)
“সুরা কাফিরুনে” কি বলা আছে দেখে আসি।
“কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন, লা আ’বুদু মা তা’বুদুনা ওয়া লা আনতুম আবিদুনা মা আ’বুদু, ওয়া লা আনাআবিদুম্মা আবাত্তুম ওয়া লা আনতুম আবিদুনা মা আ’বুদু, লা কুম দিনুকুম ওয়ালিয়াদীন।”
“অর্থ: তুমি বলো হে কাফিরগণ(অবিশ্বাসীগণ) আমি সেই রুপে ইবাদত করতে পারি না যেরুপে তোমরা ইবাদত করো এবং তোমরা সেই রুপে ইবাদত করতে পারো না যেই রুপে আমি ইবাদত করি এবং আমি ওদের ইবাদত করি না যাদের ইবদাত তোমরা করো এবং তোমরা তাঁর ইবাদত করনা যাঁর ইবাদত আমি করি। তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীণ আমার জন্যে আমার দ্বীন।”
এইখানে কি কোন রুপ শাস্তির কথা বলা আছে? যদি এখন কেউ বলেন যে কোরানের অন্য কোথাও হয়তো আছে তাহলে বের করে দেখানো তার দায়িত্ব। আর তারাই বা কেন কোন আয়াত উল্লেখ করতে পারেন নাই? একটি মাত্র হাদিসের কথা উল্লেখ করতে পেরেছে যা হলো “যে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড।” এটার রেফারেন্স উল্লেখ করে নাই। এই হদিস সহিহ না জয়ীফ সেটাও জানা নেই। কারণ প্রশ্ন জাগে যে কেউ যদি নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মে আসে তাহলে তার জন্যেও কি একই শাস্তি প্রযোজ্য হবে?
৩. কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-র শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এখানে খেয়াল করুন “কথিত শাহবাগী আন্দোলন” বলা আছে। আমাদের “প্রাণের আন্দোলন” তাদের কাছে কথিত। এইটা কি “জামাতে ইসলামের” ভাষার মতো লাগছে না?
“স্বঘোষিত নাস্তিক মুরতাদ”- খেয়াল করুন। যেন সবাই সেখনে ঘোষনা দিযেছে নাস্তিকতার!
তারা তাদের বক্তব্যে নাস্তিকদের ফাঁসি দাবি করেছে। নাস্তিক হলো যে আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। কেউ যদি আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস না করে তাহলে কোন আয়াতে বলা আছে তাকে মৃত্যুদন্ড দিতে হবে? সাধারণ যুক্তি বলে যে তাকে যুক্তি দিয়ে বিশ্বাস করানো আমাদের ঈমানী দায়িত্ব!
যে জেনেশুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর স্বেচ্ছায় তা ত্যাগ করে সে “মুরতাদ”। প্রশ্ন হলো তাকে কি শাস্তি দেয়া ইসলামে জায়েজ আছে? মহানবী (সাঃ) কি করেছিলেন? আর মুরতাদের শাস্তি দেয়ার অধিকার যদি কারো থাকে তা হলো “খেলাফতের”। সরকার খেলাফত নয়। পরিপুর্ণ শরিয়াহ ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ছাড়া তাদের শাস্তি দেওয়া যাবে না।
আর তারা যতনা সোচ্চার শাহাবাগের কথিত নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ততটা কেন অন্য নাস্তিকদের বিরুদ্ধে নয়? তাদের মনোভাব এমন যেন শুধু মাত্র “শাহবাগের আন্দোলনে” অংশ নেয়া ব্লগার এবং জনতাই নাস্তিক। আর কেউ নয়। এবং এটা খুব চতুরতার সাথে ছড়ানো হয়েছে যে শাহাবাগীরা ব্লগাররা নাস্তিক। আমার প্রশ্ন হেফাজতের সমাবেশে যে সাধারণ মুসলিমগণ এসেছিলেন তাদের কয়জন ব্লগ পড়েন বা পড়েছেন? বেশীর ভাগই মাদ্রাসার ছাত্র যাদের বেশীর ভাগকেই নাকি মাদ্রাসার চারদেয়ালের বাইরে কি হচ্ছে না হচ্ছে সেটা সম্পর্কে কোন রুপ আইডিয়া দেয়া হয় না। তদের কি খুব চতুরতার সাথে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে না? আর এই চাতুর্যের সাথে তো জামাতি চাতুর্যের বেশ মিল দেখতে পাচ্ছি! মাদ্রাসার স্টুডেন্ট বাদে আর যারা গেছেন বা সমর্থন করেছেন যেহেতু ইসলামের নামে আন্দোলন করা হচ্ছে তাদেরও খুব চতুরতার সাথে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে যে সব শাহাবাগী আন্দোলন কারী এবং ব্লগাররা নাস্তিক। এবং এই ক্ষেত্রে যে তারা সফল হয়নি এই কথা বলা যাবে না।
৪. ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
এই খানেও দেখুন বলা আছে যে ব্যক্তিও বাক স্বাধীনতার নামে নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ইত্যাদির কথা। শাহবাগের আন্দোলনকারীগণ নারী বা পুরুষ একত্রে আন্দোলন করেছেন মোমবাতি প্রজ্জ্বলণ করেছেন। এই গুলোকে বিজাতীয় সংস্কৃতি আখ্যা দিয়ে তারা এগুলো বন্ধ করতে বললো। কথা হলো এতদিন তারা কোথায় ছিলেন? তাদের ধর্মানুভুতি কোথায় ছিলো? শাহাবাগের আন্দোলন যেন তাদের সকল ধর্মানুভুতি জাগিয়ে দিলো! তাদের সকল টার্গেট মুলত শাহাবাগের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা তো জানতাম শাহাবাগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কেবল জামাতের! তাহলে তারা কেন জামাতকে ফলো করা শুরু করলো?
আরেকটি কথা শফি সাহেবকে নবী বলে আখ্যা দিবার পরেও মুসলিমরা চুপ কেন?
৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
এইখানে একটু কথা আছে। “কাদিয়ানী ইস্যু”। কাদিয়ানীরা কি বিশ্বাস করলো না করলো আর তাতে ইসলাম যে দুষিত হয়ে যাচ্ছে এইটা যদি তারা উল্লেখ করে তাহলে কেন মৌদুদীবাদী ইসলাম তথা জামাতে ইসলাম এর বিরুদ্ধে তারা সোচ্চার না? মুলত কাদিয়ানী বিরোধী কথা তারা বলেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মুসল্লিদের সমর্থন আদায়ের জন্য। তাদের অযৌক্তিক দাবীগুলোর মধ্যে স্পর্ষকাতর একটি ইস্যু লাগিয়ে জনসমর্থন আদায় করার জন্যে। কাদীয়ানীদের সরকারি ভাবে অমুসলিম ঘোষনা করার অধিকার কে রাখে? আবারো বলছি সরকার “খেলাফত” নয়। আর “সরকারি ভাবে অমুসলিম ঘোষনা” টার্মটি কিন্তু পাকিস্তান থেকে ধার করে নেয়া একটি টার্ম। তাহলে কি ধরে নেবো তাদের ভেতরে আফগান ফেরত মুজাহিদ টাইটেল প্রাপ্তরা ঢুকে পড়েছে? যারা নাকি আবার এলইটি (লস্করই তৈয়বা) আর আইএসআই(পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা) কর্তৃক প্রশিক্ষিত।
না হলে তারা কিভাবে কালকে বলে যে তাদের শরীরে মৌদুদীর রক্ত প্রবাহিতো?(ভিডিও)
৭. মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
এইখানেও আপত্তি আছে। আপত্তি হলো মিডলইস্টের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে সৌদি আরবে যে সকল ভাষ্কর্য আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে কিছু বললো না কেন? তাহলে কি তারা কিসের হেফাজতে ইসলাম?
১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র এবং তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
তৌহিদী জনতার উপর হামলা, গুলি বষন, গণহত্যা ইত্যাদি কথা যেন কারা বলতো? ও হ্যাঁ মনে পড়েছে জামাত শিবির বলতো। তাহলে জামাত শিবির আজ তৌহিদী জনতায় রুপান্তরিত হয়েছে? লাখখানেক সাধারণ মুসলিমদের সাথে ভিড়ে গিয়ে কি তারা তাদের হাতের রক্ত ধুয়ে ফেলতে পারবে? পুলিশ হত্যা সহ তারা সাঈদীর ফাসির রায়ের বিরুদ্ধে যে তান্ডব করেছিল সেটা মোচন হয়ে যাবে? নাকি হেফাজতের চেইন অব কমান্ড পরিচালিত হচ্ছে জামাতের দ্বারা? কোনটা? যদি তা না হতো তাহলে এভাবে প্রকাশ্যে এই ঘোষনা তারা কিভাবে দেয়?
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদেরকে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
তারা যদিও না বলুক কোন মিথ্যা মামলায় কাকে আটকে রাখা হয়েছে তবুও আমি তাদের সব দাবিদাওয়া বক্তব্য শোনার পর এই সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্য হয়েছি যে এই কথিত আলেম ওলামা মাদ্রসার ছাত্র মুলত -জামাত শিবিরের গ্রেপ্তারকৃত লোকজন। নাইলে তারাই বলুক কাদের কথা তারা বলেছে। তারা কেন তাহলে যু্দ্ধাপরাধীদের বিচারে তাদের সমর্থন ব্যাক্ত করছে না এই বলে যে এটা রাজনৈতিক ইস্যু। দেশের সাথে বেঈমানী যারা করেছে একাত্তরে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যায় নারী ধর্ষনে পাকিস্তানী বাহিনীকে সহায়তা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন তার মুখ বন্ধ? তারাও কি জামাত শিবিরের মতো “দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ” হাদিস খানা অস্বীকার করবে এখন?
তাদের গতকালের সমাবেশের বক্তব্যগুলো যেমনটা ধারনা করছিলাম সেরকমই হযেছে। অরাজনৈতিক ছদ্মবেশে রাজনৈতিক বক্তব্য।
স্পষ্ট সরিকার বিরোধী বক্তব্য। তারা যদি রাজনৈতিক বক্তব্য না দিতো তাহলে কি করে বলে যে ক্ষমতায় যেতে হলে বা টিকে থাকতে হলে এই তেরো দফা দাবী মেনেই আসতে হবে?(আজকের বিভিন্ন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম।) রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সাথে ইসলামের হেফাজতের কি সম্পর্ক? শফি সাহেব বুঝিয়ে বলবেন কি?
কথা হলো একাত্তরে জামাতে ইসলাম ইসলাম রক্ষার নামে যা করেছে (তারা তখন এত প্রভাবশালী ছিলনা শুধু চান্সটা নিয়েছে।) এখন হেফাজতে ইসলামও একই রুপে ইসলাম রক্ষার নামে (তারাও চান্স নিচ্ছে ইসলাম ধর্মকে উদ্ধার করে ফেলবে বলে) জামাতকেই ফলো করছে। এই কারণে তাদের কোন ভাবেই ইসলামের হেফাজতকারী বলা যাবে না। তারা শান্তির ধর্ম ইসলামের অপব্যাবহার করে উগ্রতা ছড়াচ্ছে। যা কিনা মুলত এতদিন জামাত শিবির করতো। এতদিন ইসলাম রক্ষার নামে রাজনীতি করেছে “জামাত শিবির” এখন “হেফাজতে ইসলাম”।
আর হেফাজতে ইসলাম এর এই অযৌক্তিক দাবী গুলো বাংলাদেশকে আফগানিস্তান নয়তো পাকিস্তানের পরিনতির দিকে নিয়ে যাবে। কিন্তু তখন সময় থাকবে না ।