১)
No one killed Bushra
২০০০ সালে অন্যতম আওয়ামী আমলে আলোচিত ঘটনা ছিলো রুশদানিয়া বুশরা ইসলামের ধর্ষন ও খুন।
পুলিশ ও সিআইডির অভিযোগপত্র অনুযায়ী ২০০০ সালের ১ জুলাই রাতে সম্পত্তির লোভে বুশরাকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ধর্ষন ও খুন করিয়েছিলেন বুশরার খালুর সৎভাই তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ সম্পাদক এম এ কাদের।
পুলিশ ও সিআইডি এ মামলার তদন্ত করে ২০০০ সালের ১৯ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। সেখানে কাদের, তার স্ত্রী রুনু, কাদেরের শ্যালক শওকত আহমেদ ও কবির আহমেদ, কাদেরের শ্যালিকা কানিজ ফাতেমা হেনা ও কাজের মেয়ে সুফিয়াকে আসামি করা হয়।
২০০৩ সালের ৩০ জুন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কাদের, শওকত ও কবিরকে মৃত্যুদণ্ড এবং রুনু কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায়ে এমএ কাদেরের মৃত্যুদণ্ড এবং তার স্ত্রী রুনু কাদেরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে শওকত ও কবিরকে বেকসুর খালাস দেয়।
আর গতকাল সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ সকল আসামীকেই বেকসুর খালাস দিয়েছে!
সুতরাং আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলা যায় , বুশরাকে কেউ খুন করেনি। আসলে বুশরা নামে কেউই ছিলো না। বুশরার মা লায়লা ইসলামও একই কথা বলেছেন।
মায়ের প্রশ্ন বুশরা কি কখনো ছিল?
২)সেই পুরোনো উদো,বুধো এবং পিন্ডির গল্প।
অনেক পত্রিকায় অনেকগুলো রিপোর্ট অনুযায়ী, এখন সবার কাছেই স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল (মন্ত্রী ছাইদুল বনাম এমপি মোকতাদির) এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছ।
নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা-আগুনের নেপথ্য প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও দলীয় কোন্দল f
নাসিরনগরে হামলার পেছনে মোকতাদির সমর্থকরা
আমিও অনেক আগেই এই নিয়ে ব্লগ লিখেছিলাম।
আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীন কোন্দলের ফসল, নাসিরনগরের কথিত সাম্প্রদায়ীক তান্ডব!!!
আওয়ামী লীগও তাদের তিনজন নেতাকে এই অপরাধে বহিস্কার করেছে। অথচ তাদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি। গ্রেফতার করেছে গনহারে সাধারন মানুষ(এদের ভিতর অপরাধী থাকতে পারে)।ভয়ে সেখানে পুরুষরা ঘরে থাকতে পারছে না।পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্যে দিশেহার।তাদের রুটি রুজি বন্ধ।আর আমাদের আইনজীবীরাও সকল সন্দেহের উর্ধে পুলিশ ভাইদের দ্বারা গ্রেফতার করা অসহায় মানুষদের পক্ষে দাড়াবেন না,বলে ঘোষনা দিয়েছেন।
অথচ মুল হোতারা এখনো বহাল তবিয়তে। সবচেয়ে কৌতুকের বিষয় হলো, আওয়ামী লীগের নেতা বাদ দিয়ে এখন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করছে।
নাসিরনগরের ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার
৩)তাহারা ইনভিসিবল ম্যান।
রাজধানীর গুলিস্তানে ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদের সময় অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়া ছাত্রলীগের সেই দুই নেতাকে পুলিশ ১৮ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশ বলছে, দুজনের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন ভারতে পালিয়েছেন। আরেকজন ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, তাঁকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় পুলিশ এবং একজন হকার ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে শাহবাগ ও পল্টন থানায় পৃথক মামলা করে। জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমরানুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সাব্বিরের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। আর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান অন্য কোথাও আত্মগোপন করে আছেন। তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দুই অস্ত্রধারীর একজন ভারতে পালিয়েছেন
কি সুন্দর ব্যাখ্যা!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪১