২০১২ সালে্র বদরুল
২০১৬ সালে্র বদরুল
এখন সবাই বদরুলকে ঘৃনা করে।কারন তার প্রেম প্রত্যাখ্যাত করায় খাদিজা নামক এক মেয়েকে দিবালোকে কুপিয়েছে।মিডিয়াওয়ালারাও একটার পর একটা রিপোর্ট করে বদরুলের প্রতি মানুষের ঘৃনা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।অথচ এই মিডিয়াওয়ালারাই ২০১২ সালে সঠিক তথ্য গোপন করে বদরুলকে নির্যাতিত দেখিয়ে তার প্রতি করুনা ও মায়া-মমতা প্রদর্শন করতে উৎসাহ যুগিয়েছে। কিভাবে আমাদের মিডিয়াগুলো হলুদ সাংবাদিকতা করে তার একটি জ্বলন্ত প্রমান এই বদরুল কাহিনী।
প্রথম আলোর ১৭-০১-২০১২ তারিখে এই বদরুলকে নিয়ে রিপোর্টঃ
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের জাঙ্গাইল এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বদরুল আলমের ওপর অতর্কিত হামলা চালান শিবিরের চার-পাঁচজন কর্মী। বদরুল আলম অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। শিবিরের কর্মীরা তাঁকে পিটিয়ে রামদা, কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে যান।
শিবিরের কর্মীদের হামলা বাস ভাঙচুর, আহত ৩
সমকাল পত্রিকার ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে বদরুলকে নিয়ে রিপোর্টঃ
পঙ্গু হতে চলেছেন বদরুলঃবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র বদরুল আলম ১৬ জানুয়ারি শিবির কর্মীদের হামলায় আহত হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন.।.।.।.।।জানা গেছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে গেলে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ সুস্থ হতে পারবেন বদরুল। অন্যথায় তাকে পঙ্গুত্বকে সঙ্গী করে বেঁচে থাকতে হবে বলে জানান সংশিল্গষ্টরা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন বলেন, 'আমরা বদরুলের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছি।' পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে ভবিষ্যতে উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহন করা সম্ভব হবে না বলে জানান তিনি।
পঙ্গু হতে চলেছেন বদরুল
আর যায় যায় দিন পত্রিকার ৩০ জানুয়ারি ২০১২ রিপোর্ট পড়লেতো বদরুলের জন্য আপনার হাউমাউ করে কাদতে ইচ্ছে করবে।
শিবিরের হামলায় রঙিন স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে বদরুলের
আসলে তখন প্রায় সব মিডিয়াই এধরনের নিউজ প্রকাশ করেছে এবং ইন্টারেষ্টিং বিষয় হলো উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন বদরুলের চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহন করেছেন।এছাড়া তার পক্ষে ছাত্রলীগ এবং লীগপন্থী শিক্ষকরা মানবন্ধন করেছেন।
এবার আসুন সেই প্রথম আলোর গতকালের রিপোর্টঃ
'' ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারিও উত্ত্যক্ত করার সময় স্থানীয় ব্যক্তিরা বদরুলকে ধরে পিটুনি দেন। পরদিন বদরুল তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন জালালাবাদ থানায়। মারধরকারীদের জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মামলার এক আসামি প্রথম আলোকে বলেন, উত্ত্যক্ত করার জন্যই যে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল, তা সবাই জানত, পুলিশও। তারপরও ২০১২ সালের ৩১ মে ১৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।............... নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ওই অভিযোগপত্র বদরুলের মনঃপূত হয়নি। এ নিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার পুলিশকে শাসিয়েছেন। গত সোমবার খাদিজাকে কোপানোর পেছনে সেই ঘটনার ক্ষোভ থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন।"
জীবন–সংকটে খাদিজা
যুগান্তর পত্রিকার গতকালের রিপোর্টঃ
'২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি টুকের বাজারে দা নিয়ে খাদিজাকে মারতে গেলে এলাকাবাসী ধরে পিটুনি দেয়। মান বাঁচাতে শিবির মেরেছে বলে ক্যাম্পাসে প্রচার করে বদরুল।'
'ইচ্ছা ছিল ওখানেই শেষ করে দেয়ার'
যায় যায় দিন পত্রিকা ২০১২ সালের করুন রস ভুলে গিয়ে গতকাল নতুন করে খোজ করে জেনেছেঃ
"খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি বদরুল আলম হাউসা এলাকায় স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে গেলে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দেয়। এক পর্যায়ে বদরুল পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। পরে ১৬ জানুয়ারি তার ওপর জামায়াত-শিবির হামলা চালিয়েছে অভিযোগে জালালাবাদ থানায় মামলা করে। এ মামলায় পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার ওসি আকতার হোসেন।"
হামলাকারী বদরুলের পক্ষে বাবার সাফাই
এখন এরকম আরো অনেকে নিউজ এখন প্রকাশ হচ্ছে।অথচ ২০১২ সালে শিবিরের উপর দোষ না চাপিয়ে আসল ঘটনা প্রকাশ করলে আজ হয়তো বদরুল চাপাতি বদরুলে পরিনত হতো না।আবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ সালেহ উদ্দিন বখাটেপনা করতে যেয়ে আহত বদরুলের চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহন না করে বহিস্কারসহ শাস্তির ব্যবস্থা করলে আজ হয়তো খাদিজা বেচে যেতো ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২