আওয়ামী লীগ নাটক করতে ভালোবাসে এবং তা করে নিজেরা যখন বিপদে পড়ে,তখন মানুষের চোখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখার জন্য। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী নেতাদের জড়িয়ে একের পর এক নাটক করে যাচ্ছে।কখনো আল কায়েদা,কখনো আই এস, কখনো অন্যান্য জংগী সংগঠনের সাথে জড়িয়ে নাটক-সিনেমা করে যাচ্ছে।আর পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আই এর সাথে বিএনপির সম্পর্ক আছে,এই ধরনের অভিযোগতো আছেই আগে থেকে।এতে কিছু সাংবাদিক,টক শো জীবী,ব্লগার বাতাস দেয়।কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসলে কোনো কিছুই প্রমান হয় না।
উদাহরন হিসাবে শুধু মাহমুদুর রহমান মান্নার ঘটনাটা খেয়াল করুন। তিনি নাকি লাশ ফেলে,আর্মি দিয়ে সরকার উচ্ছেদ করতে চেয়েছেন।কিন্তু দিনের পর দিন তিনি জেলে।কোনো কিছুরইতো বিচার হচ্ছে না।।তার বিরুদ্ধে প্রমান ছিলো দুটো ফোন কল।্কিন্তু যার সাথে কথিত ক্যুএর কথা বলছেন,তিনি কই?আবার কাদের দিয়ে লাশ ফেলবেন(যদিও এরকমভাবে বলেননি),তারা কই?
এবার যে নাটকটি মঞ্চায়ন করছে,তা হলো বিএনপির সাথে মোসাদের সম্পর্ক।বিএনপি নাকি মোসাদের সাহায্যে সরকারকে উতখাতের ষড়যন্ত্র করছে।
এই নাটকের উতস হলো উপরের যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী এবং ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির কিছু ছবি।
ইসরায়েলের লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির ফেসবুক পেজে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে তোলা বেশ কিছু ছবি মেন্দি এন সাফাদি নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টে আপলোড করেন। একটি ছবিতে আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা গেছে মেন্দি এন সাফাদিকে। এক অনুষ্ঠানে তারা দুজন ফুলের মালা গ্রহণ করেন। আরেক ছবিতে মেন্দি এন সাফাদি ও এক নারীকে ফুলের মালা পরা অবস্থায় দেখা গেছে। সেখানে তাদের পাশে হাসিমুখে আসলাম চৌধুরী অবস্থান করছেন। কে ওই নারী, তার পরিচয় জানা যায়নি।
মোসাদ ঝড়ে বিএনপি
কিন্তু আমাদের এই অনুসন্ধানী চৌকস সাংবাদিকরা কি আসলেই বুদ্ধি বৈকল্যতে ভুগছেন নাকি হাড্ডির লোভে আসল জিনিস এড়িয়ে যাচ্ছেন।
১)ঘটনা ঘটেছে ভারতে।আর কে না জানে, ভারত চায় এই সরকার টিকে থাকুক। সুতরাং ভারতে বসে মোসাদের সাহায্যে সরকার উচ্ছেদ অলীক কল্পনা।কারন ভারতের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এরকম কিছু করলে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ অবশ্যই জানতো এবং সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতো।
২)বিশ্বের কোনো গোয়েন্দা সংস্থা এভাবে জানান দিয়ে ষড়যন্ত্র করে না।আর মোসাদ হলো বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে শক্তিশালী এবং প্রফেশনাল গোয়েন্দা সংস্থা।তারা এভাবে মিটিং-সিটিং করে,ফুলের মালা দিয়ে বরন করে ষড়যন্ত্র করবে, আবার সেই ষড়যন্ত্র সফল না করেই নিজেরাই ফাস করে দেবে,যা চরম হাস্যকর।
আপাত দৃষ্টিতে যেটা মনে হয়, আসলাম চৌধুরী হয় বোকা তাই তিনি বোকার মত এই ফাদে পা দিয়েছেন অথবা অত্যন্ত চালাক,তাই নিজের ব্যবসায়ীক স্বার্থ বা অন্য কোনো স্বার্থের কারনে ছবি তুলেছেন।
এতে ইসরাইলের লাভ হলো,আওয়ামী লীগকে বলা,তোমরা আমাদের স্বীকৃতিসহ অন্যান্য সুযোগ দাও,না হয় আমাদের হাতে বিকল্প আছে।
আর সরকারের লাভ হলো, ইদানিং আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের ইসলামপন্থী হিসাবে জাহির করার চেষ্টা করছেন।তাই বিএনপিকে ইসলাম বিরোধী হিসাবে জনগনের সাথে পরিচয় করে দেয়াই হয়তো এই নাটকের উদ্দেশ্য। এর সাথে জয়ের ৩০০ মিলিওন ডলার ইস্যু সহ অন্যান্য ইস্যু ধামাচাপা দেয়ার প্রয়াসতো আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭