সময়কে সময়ে যেতে দেখিনি,
যখন ফিরে না তখন সেও সময়;
কারণ অসময় বলে কিছু নেই।
মিলেছে এক বাটি খাবার,
অথচ ক্ষৃধা নেই ঘুম আছে চোখে;
প্রয়োজন স্বস্তিদায়ক আরাম বিচানার।
সময় সময়ে নেই।
সময় সময়ে নেই বলেই
অপরাজিতা পাশে নেই--
পৌরোহিত সময় প্রয়োজন মানে না,
কারণ সে নিয়মের দেবদারু বৃক্ষ;
পৌরোহিত্য সময়েই চোখ রাঙ্গায়।
হিটলারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম:
কেন তুই রাস্তায় ঝাড়ু দিতে গেলি--
কপালে ভাঁজ ফেলে সেও দিলো সময়ের দোহায়।
সে স্মৃতি অথবা অস্থির অপেক্ষা
অথবা রঙচটা মজলিসে অপ্সরীর গলে কাগুজে মালা,
মর্জি মতোই চলে।
কায়-কারবারে ভয়ে ভয়ে
না তালি
না নির্বাক
সময়ের অপেক্ষায়
উৎকণ্ঠা দুরুদুরু কাঁপে, চলেও চলে না--
না কদম
না পল-ফলক;
না জানি গ্রেনেড বানাতে গিয়ে
ককটেল হয়ে যায়!
সময়ের প্যাডেল ঘুরছে
অস্থির দ্বৈরথে ছুটছে
পিছু নেয়া পদাতিক সময়--
কাক ডাকা ভোর
বিষাদের চক্রবাগে ধুম্রজাল জন্ম দেয়,
কর্কশ মার্তণ্ড ঝাপিয়ে পড়ে ক্লান্তি দেয়,
কেবল আসে না সময় সময়ে,
সময় সে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
অক্ষয় হয়ে ফিরে আসে প্রতিদিন।
মঈন ফারুক, ০৯ সেপ্টেম্বর-২০১২, এমিরেটস।