পৃথিবীর অধুনিক এবং উত্তর আধুনিক যুগের বর্তমান প্রেক্ষাপট পর্যন্ত প্রত্যেক আপেক্ষিক বিষয় ব্যতিক্রম আকারে প্রশ্রয় পাচ্ছে। বিষয় গুলো উত্থাপিত হচ্ছে অনেকটা আনকোরা ব্যক্তি বিশেষের নিজস্ব অযৌক্তিক মতামত প্রসূত। যৌক্তিক কিংবা সুদূর প্রসারী কোন প্রস্তাবনা সেখানে নেই। জ্ঞানের ত্বাত্মিক ও প্রয়োগিক দিক গুলোও অনভিপ্রেত এবং স্ব-স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। সর্বত্র দুর্বিত্ত শ্রেণীর তোষামুদি। অন্ধকারাচ্ছান্ন সমাজকে যেন আরো ঘনিভূত অন্ধকারের দিকে দাবড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে প্রাণপণ অপচেষ্টা ধূমায়িত হচ্ছে।
ধর্ম আদিকাল থেকে মানুষকে শৃংখলার এক নীতিনির্ভর সূতোয় আবব্ধ রেখে মূল্যের কায়স্থ গুরুত্ব শিখিয়েছে। সেই শিক্ষা যুগে যুগে মানুষকে করেছে সংগঠিত। সভ্যতার সিঁড়ি বিনির্মাণে পদে পদে উচ্ছারিত হয়েছে মানবিক মর্যাদার কথা। বর্তমানে মানুষের আড়ালে ধর্মকেই অধিকতর ঘৃণিত ও ধর্মের আচার গুলোকে হেয়জ্ঞান করা হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে ধর্ম ত্বাত্মিক সমাজ ব্যবস্থা থেকে মানুষকে ধাবিত করা হচ্ছে ধর্মহীন কিংবা বিতর্কিত ধর্মীয় কর্ম পালনে। এক সময় আস্তিক এবং নাস্তিকের মাঝে ধর্মীয় বিভাজন থাকলেও এখন আস্তিকে আস্তিকেই বিভাজনটা প্রকট হয়ে ওঠছে। আর তারই কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আস্তিক নামধারী একটি গোষ্ঠির বাকবৈরি আপ্ত আলোচনা এবং সীমাবদ্ধ ধর্মজ্ঞানের অতিরঞ্জিত বালখিল্যতা। এ শ্রেণী ধর্মের আড়ালে সমাজের মেরুদণ্ডে আঘাতের উদ্দেশ্যে এবং মানুষকে ধর্মহীন করার প্রয়াস হিসেবে নানান অস্ত্র উহ্য রাখে। তার জানে, ধর্মের বিদায় মানে সামাজিক অবিচারের সূত্রপাত। সমাজ থেকে তারা ধর্মের চাদর সরিয়ে ফেলতে চায়। কারণ তারা কামনা করে ভোগবাদী সমাজ।