ইন্টারনেটে ৪২০ মিলিয়নেরও বেশি পেইজ রয়েছে যেগুলোর মধ্যে শুধুই পর্ণগ্রাফিতে পরিপূর্ণ। শুধু ৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ওয়েবসাইটই আছে পর্নগ্রাফির জন্য,ইন্টারনেটে পর্ন দেখার জন্য প্রতি সেকেন্ডে ২৯ হাজার হিট হয়, দিনে যা ৬৮ মিলিয়ন হিটে দাঁড়ায়,সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যপার হল এদের মধ্যে ১৬০ হাজার শুধু চাইল্ড পর্ন দেখার জন্য সাইট গুলোতে ভিজিট করে। শুধু তাই নয় প্রতি ৯ মিনিটে একটি করে নতুন পর্ন সাইট খোলা হয়। শুধু আমেরিকাতেই প্রতি মাসে ১ বিলিয়নেরও বেশী ডলার খরচ করা হয় পর্ন এর পেছনে, সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয় পর্ন এর পেছনে। সান গেব্রিয়াল ভেলি বছরে ১৩ হাজার পর্ন মুভি প্রস্তুত করে বাজারে ছাড়ে। গড়ে ৮ বছর বয়সের মধ্যেই এখনকার প্রজন্ম পর্ন এর সাথে পরিচিত হয়। লেকচারটির ঠিক এগারো মিনিটের মাথায় আমাকে থামতে হল, সাধারণত লেকচার শোনার মাঝে আমি বিরতি নেই না। কিন্তু পরিসংখ্যান গুলো এতটাই অবিশ্বাস্য যে আমাকে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দেখতে হল।
ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন সাইট ঘুরে অবশেষে বিখ্যাত ম্যাগাজিন দি উইক এর একটি প্রতিবেদন পেলাম। প্রতিবেদনটি ২০১০ এর জুন মাসে প্রকাশিত হয়েছিলো। প্রতিবেদনটি পড়ে দেখলাম ইয়াসির ফাজাগা মিথ্যে বলেন নি। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে কমই বলে ফেলেছেন। দি উইক এর ঐ প্রতিবেদনে আরেকটি বিখ্যাত ম্যাগাজিন “গুড ম্যাগাজিনের” রেফারেন্স দিয়ে বলা হয়েছে, যে সমুদয় ইন্টারনেট সাইটের মধ্যে ১২% সাইটে পর্নগ্রাফি রয়েছে। প্রতিদিন বিশ্বের সকল প্রান্ত হতে ইন্টারনেট ইউজাররা যত সার্চ দেয় তার ২৫% পর্নগ্রাফি রিলেটেড, ২০১০ এর হিসেব অনুযায়ী সেকেন্ডে ২৮ হাজার হিট পড়ে পর্নগ্রাফির সাইট গুলোতে, ২০০৫ ও ২০০৮ এর মধ্যে ৭৫মিলিয়ন নতুন ভিজিটর পর্নগ্রাফির সাইট গুলোতে ভিজিট করেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪৩% পর্নগ্রাফিতে ভিজিট করে, আর ৭৫% অনিচ্ছা স্বত্বেও পর্নগ্রাফির সাইট গুলোতে ঢুকে পড়ে, প্রতিদিন ২৬৬ টি ব্রান্ড নিউ পর্নগ্রাফির সাইট তৈরি হচ্ছে, গড়ে ১১ বছর বয়সের মধ্যেই শিশুরা পর্নগ্রাফির মুখোমুখি হয়, প্রতি দশ জন শিশুর মধ্যে ৭ জনই পর্নগ্রাফি কোন না কোন ভাবে দেখেছে, ২০০৮ সালের সমীক্ষাতেই দেখা গেছে ১৫৩৬ টি ওয়েবসাইট চাইল্ড পর্নগ্রাফি ছড়াতে বিশেষ ভাবে তৈরি হয়েছে। সন্দেহ নেই ব্যবসায়িক জগতে পর্ন ইন্ডাস্ট্রি এখন সব চেয়ে বেশী মুনাফা প্রদানকারী একটি ইন্ডাস্ট্রি। শুধুমাত্র আমেরিকাতেই এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে মুনাফা হয়েছে ১৩ বিলিয়ন ডলার, আর বিশ্বব্যাপী এ মুনাফার হার ৯৭ বিলিয়ন ডলার।
এবার ভেবে দেখেন নিজের সন্তান বা ছোট ভাই বোনদের কিভাবে বাচাঁবেন ভয়াবহ এই আগ্রাসন থেকে, আর নিজেই কিভাবে বেঁচে থাকবেন।