আবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলাম যে দিনই শাহবাগ আন্দোলন এর কর্মসূচি দিনরাত ২৪ ঘন্টা থেকে বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হল, সে দিনই ব্লগার রাজিব হায়দার সন্ত্রাসী হামলায় নির্মম ভাবে নিহত হলেন।
যার দরুন শাহবাগ আন্দোলন আবারো ২৪ ঘন্টায় ফিরে গেল। আমিও চাই এ আন্দোলন দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলুক। কিন্তু রাজিব হায়দারের হত্যার পর কেন জানি নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। কারন এতে করে সরকারী দল যেন নতুন করে প্রান ফিরে পেয়েছে। প্রধান মন্ত্রী রাজিব হায়দারের বাসায় যাচ্ছেন, সরকারী দলের নেতা-মন্ত্রীরা গরম গরম বক্তৃতা দিচ্ছেন, এমপিরা জানাজায় গিয়ে মিডিয়ায় চেহারা দেখাচ্ছেন। ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা ব্লগারদের নেতৃত্বাধীন এ গনজাগরনটাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ব্লগাররা আন্দোলন করছে সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষকে সামনে রেখে। তাই তারা জেনে বুঝে নতুন একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে। কারন দীর্ঘ সুত্রিতার কারনে আন্দোলনের ষ্পৃহা বা উত্তাপ থিতিয়ে গেলে তাতে আন্দোলনের ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা ভেতরে ভেতরে কেউ সুযোগ নিতে পারে যাতে করে ভবিষ্যতে এরকম কোন গণ জাগরন দেশে গড়ে উঠতে না পারে। বছরের পর বছর দেশে রাজনৈতিক সংঘাত ও হরতালের মত কর্মসূচির কারনে দেশের অর্থনীতি দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। এবারও তার ব্যাতিক্রম দেখা যাচ্ছেনা। আমরা নতুন প্রজন্ম দেশে শান্তি চাই সংঘাত চাইনা। জামাত শিবির সংঘাত সৃষ্টি করলেও আমরা দেশ প্রেমিক নাগরিকরা তো আর দেশটাকে আফগানিস্তান বা পাকিস্তান বানাবার সুযোগ দিতে পারিনা।
দেশে এমন কোন শক্তি কি কাজ করছে যারা তরুন-যুবকদের স্বতফুর্ত এই আন্দোলনটাকে পুজি করে আমাদেরকে জামাত শিবিরের সাথে রক্তক্ষয়ি ও দীর্ঘমেয়াদি সংঘর্ষে লাগিয়ে দিয়ে নিজের ঘৃণ্য উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চাই।
তাই বার বার মনে একটা প্রশ্ন জাগে..
শাহবাগ আন্দোলন বন্ধ হলে কার ক্ষতি ?
শাহবাগ আন্দোলন চলতে থাকলে কার লাভ ???