ফেসবুকে নিজের নামে পাতা খোলা স্বাভাবিক। এছাড়া দেখি অন্য অনেক বিষয়ে, ঘটনা ও দলভিত্তিক পাতাও খোলা হয়। সব পাতা তেমন দেখা হয় না। সময় কুলায় না। নিজের গ্রামে গেলে ছবি তুলি। যখন যা ভালো লাগে। যারা খুব কাছের তাদের দেখাই, ক্যামেরা থেকেই।
একদিন মনে হলো সেসব ছবিগুলো দিয়ে ফেসবুকে গ্রামের নামে একটা পাতা খোলা হলে মন্দ হয় না। এখানে যারা থাকে তাদেরতো ছবি দেখাতে পারি কিন্তু যারা দূরে বা প্রবাসে থাকে, তারা তো দেখতে পায় না। পাতা খুললে- জানিনা তারা দেখবে কিনা। তবু যারা আমার খুব কাছের জন তাদের তো বলতে পারবো। আর বেশ ছবি জমেছে। একটা পাতা খোলা যাবে। কয়েকটা ছবি এলবাম তো হবেই।
পাতা খোলা হলো। কয়েকদিন নিজেও দেখলাম। খুবই কাছের কয়েকজনকে বললামও। এরপর যথারীতি সময় যেতে লাগলো। নিজের পাতা অনেক দিন দেখা হয় না। বেশ কিছুদিন পর দেখতে গেলাম। যেয়ে দেখি ঐ গ্রামেরই অন্য আরো ছেলেমেয়ে, লোকজন পাতাটি দেখেছে। কেউ কেউ তাদের ভাল লাগার কথা, ফেসবুকে নিজের গ্রামের পাতা দেখতে পেয়ে গর্বের কথা জানিয়েছে। বলাবাহুল্য দেখে আমারো ভালো লাগলো।অনেকে 'লাইক' করে রেখেছে।
গ্রামের স্কুলের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ভবন নির্মান, মাদ্রাসার অবস্হা, মসজিদ নির্মান, শিশুদের ছবিআঁকা, বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ, কম্পিউটার দান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, স্বাস্হ্যসেবা, গ্রামে যাবার পথে, মাছ ধরা, এলাকার লোকজন, গ্রামীন উপকরণ, পুরাতন জিনিসের নমুনা, শিশুদের ছবি এইসব সহ যা মনে এসেছে, ভাল লেগেছে তার ছবি নিয়ে এলবাম করেছি।
একদিন অবাক লাগলো যখন দেখলাম পাতায় পোস্ট করা টুকরী ভর্তি গোবরের ছবি দেখে একজন মন্তব্য করেছেন-অনেকদিন পর দেখলাম। আহারে! গোবরের ছবিও মানুষ মিস করে! মাছ ধরার জাল দেখে শৈশবের দুরন্তপণার স্মৃতি মনে পড়ে!
মনে হলো নিজ নিজ এলাকা, গ্রাম নিয়ে অনেকেই লেখেন, পাতা খোলেন এর চর্চা আরো বাড়ালো ভালো হবে। গ্রামের বাইরে থেকেও আপন একটা একান্ত সান্নিধ্য অনুভব করা যাবে। এ থেকে গ্রামের জন্য আরো কিছু করার তাগিদ যদি অনুভব করেন তাহলে নিজ এলাকারই আরো উন্নতি হবে। এতে হবে পরিবারের লাভ, গ্রাম এবং দেশেরও উপকার ও সমৃদ্ধি। যারা এ কাজ করে সেরেছেন তাদের অভিনন্দন!
যদি কারো দেখতে ইচছা ও সময় হয় তবে দেখতে পারেন:
Click This Link