ধানমন্ডি মসজিদ উত তাকওয়া এর বর্তমান খতিব মাওলানা জুলফিকার তার পদে নিযুক্ত আছেন প্রায় ১৬ বছর যাবত। উনি অত্যন্ত পরিস্কার কন্ঠস্বরের অধিকারী এবং শক্তিশালী বক্তা। ধানমন্ডির মত উচ্চশ্রেণীর শিক্ষিত সমাজের সুপরিচিত মসজিদের খতিব হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রতিফলন তিনি ১৬ বছর ধরে দেখিয়েছেন।
সম্প্রতি মসজিদটির কমিটি পুনঃগঠিত হবার পর, গত শুক্রবার ৬ আগস্ট খতিব সাহেব অত্যন্ত ব্যাথার সাথে নামায শেষে বলেন যে, 'এত বছর ধরে আপনাদের খেদমত করেছি। আর মনে আপনাদের খেদমত করতে পারবো না।' মুসল্লিরা কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান মসজিদ কমিটির নতুন দুই সদস্যের কথায় ব্যাথিত হয়ে তিনি চলে যেতে চাচ্ছেন।
এ কথা শুনে মুসল্লিদের মধ্যে হৈ চৈ পড়ে যায়। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, বর্তমান খতিব না থাকলে আমরা কেউ এই মসজিদে নামায পড়তে আসবো না। সেই সাথে তারা মসজিদের নতুন কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ বলে তা বাতিল করার দাবী জানায়। মুসল্লিদের দাবীর মুখে কেউ একজন দাড়িয়ে ঘোষণাই দিয়ে বসেন, আজকে থেকে এই কমিটি বাতিল।
যাই হোক, কিন্তু নতুন কমিটি কেন তাকে বাতিল করতে চায়। বিশেষ করে কমিটির নতুন দুই সদস্যের এই ষড়যন্ত্রের কারণ কী? অনেক মুসল্লি ধারণা করেন যে, কমিটির নতুন দুই সদস্য আওয়ামী ঘড়ানার লোক। এবং সম্প্রতি এক জুমুআর নামাযের মুনাজাতে বর্তমান খতিব সাহেব দেশের জুলুম-নির্যাতন-সন্ত্রাস থেকে রেহাই চেয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। সেই মুনাজাতে তিনি ছাত্রলীগকে রাজনৈতিক এতিম উল্লেখ করে বলেন, এরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম এতটাই বৃদ্ধি করেছে যে কেউ কেউ এদের অভিভাবকত্ব থেকে সরে দাড়িয়েছেন আবার অনেকেই এদের কার্যক্রমের দায়ভার নিতে অস্বীকার জানিয়েছেন। এরা বর্তমানে রাজনৈতিক এতিম। আল্লাহ এইসব যুবকদের হেদায়াত দান করুন। এদেরকে আল্লাহর পথে সুস্থধারায় কাজ করে এক একজন তরুণ সম্পদে রুপ নেবার প্রার্থনা করেন তিনি।
এই থেকে মুসল্লীদের ধারণা, দেশব্যাপী যেভাবে সত্য কথা বলার অপরাধে সবারই মুখ বন্ধ করার এজেন্ডা বাস্তবায়িত হচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় উপরের নির্দেশেই মসজিদ উত তাকওয়া থেকে মাওলানা জুলফিকার কে সরানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ঠিক যেন আরেক আমারদেশ সম্পাদক।
আমরা মাওলানা জুলফিকারের জন্য দোয়া করি। তিনি আরো অনেকদিন ধানমন্ডিবাসীর খেদমতে নিয়োজিত থাকুন। আল্লাহ তাকে বাচিয়ে রাখুন এবং রেহাই দিন সকল ষড়যন্ত্র থেকে।