রাবি লীগের তান্ডব: সাহারার চিরুণী সংকট
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
গনতেন্ত্রর সঙ্গা ড. আকবর আলী স্যার এর মতো করে দিতে পারবো না ঠিক । তবে এর একটি অর্থ আমার সাধারন মস্তিস্কে ছোটবেলা থেকেই লালন করে চলেছি। যা আমাকে গনতান্ত্রীক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে সাহায্য করে। আর সেই সাথে শ্রদ্ধা বাড়ায় গনতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত এ দেশের সরকার ও এর মন্ত্রী এমপি দের প্রতি। এটাই অব্যাহত থাকার কথা ছিলো কিন্তু মাঝে মাঝে সরকারের কিছু মূর্খ্য মন্ত্রীদের ভাষনে তাতে চির ধরে। বর্তমান সরকারের বিশাল ডিজিটাল মন্ত্রী সভার মাঝে চরম এনালগ ছাগল পাগল কতিপয়ের মধ্য হতে সরাষ্ট্র মন্ত্রী চিরকুমারী মহিলা গাধা সাহারার কথা বলতে আমার ঘিন্নাই লাগে। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠনের একের পর এক অপকর্মের পর সরকারের নিরবতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করে ‘চিরুণী অভিযানের’ প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে তার প্রতি সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে - জাবি র ঘটনা স্বাভাবিক !! কিছু করার থাকে না !! শিবির , জঙ্গী ঢুকেছে !! শুনে আমরা এখন মোটেও চমকিত হই না। শুধু তাই নয় নানা বিচ্ছিন্ন(!!) ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র যথাক্রমে রাজিব, আবু বকর, আসাদ, কায়সার এর মৃত্যুর পর স¤প্রতি বরিশাল পলিটেকনিকের ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের প্রকাশ্য ‘ব্যবচ্ছেদ কর্মকান্ড’ কে Biology বই এর Human Body অধ্যায়ের Practical class বলে উড়িয়ে দিলেও আমরা তা মেনে নিতে প্রস্তুত। আমরা জানি সে ছাগল প্রকৃতির জন্তু।
ইতিপূর্বে সরকারের চিরুণী অভিযানের কৃতিত্ব আমরা দেখেছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির কর্তৃক ‘প্রায়’ একজন ছাত্রের হত্যাকান্ডের পর (‘প্রায়’ কারণ ঘটনা এখনো প্রমানিত নয়) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কর্তৃক গৃহীত ফলপ্রসূ নিরাময় পদ্ধতি ‘চিরুণী অভিযানে’ সারাদেশে শিবির নিধন প্রক্রিয়ার সফলতা তার জলজ্জ্যান্ত প্রমাণ।
যদিও অভিযান চলাকালীন ব্যবহৃত চিরুণীর দাঁতগুলোর আভ্যন্তরীন ফাঁক খুবই সুক্ষ্ম হওয়ায় প্রায় অর্ধসহস্র শিবির নেতা কর্মীকে গ্রেফতারের সাথে সাথে ‘মাত্র’ সহস্রাধিক সাধারণ ছাত্রকে কারাবরণ করতে হয়েছে। নিহতও হয়েছে একজন। তারপরও অভিযান তো সফল! আর বাংলাদেশ পুলিশের জোরপূর্বক সফলতা অর্জনের ঘটনা আমাদের আগে থেকেই জানা।
এ বিষয়ে প্রচলিত একটি কৌতুক না লিখলেই নয়। বাংলাদেশের বান্দরবানের গহীন অরন্যে একটি বিরল প্রজাতির ডাইনোসর হারিয়ে যাবার ঘটনা ঘটলো। সরকারের আমন্ত্রনে ইন্টারপোলের সদস্যরা নানা রকমের ডিটেক্টর মেশিন নিয়ে বন উজাড় করেও খুঁজে পেল না প্রানীটিকে। এবার স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এবং এফ.বি.আই. এর যৌথ অভিযানও ব্যার্থ হবার ঘটনা ঘটালো। অগত্যা বাংলাদেশ পুলিশ চিরুণী ও গজারী লাঠি সমেত অভিযানে নামার ঘন্টা দুই/এক পরই দেখা গেলো একটি হনুমানকে পেটাতে পেটাতে টেনে হিঁচড়ে বন থেকে বের করে নিয়ে আসছে তারা। আর হনুমানটি উচ্চস্বরে চিৎকার করে বলছে- ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে। আমিই সেই বিরল প্রজাতির ডাইনোসর।’
সে যাই হোক সর্বোপরী সফলতাই পুলিশের মূলমন্ত্র। আর যেহেতু সফলতার অন্যতম অনুসঙ্গ চিরুণী, তাই আবার মূল কথায় আসা যাক। চিরুণীর নানাবিধ ব্যবহার প্রচলিত থাকলেও সা¤প্রতিক সময়ে চিরুণী অভিযানই চিরুণীর সবচেয়ে আলোচিত সফল ব্যবহার। আর হয়তোবা চিরুণী ব্যবহারের এই বিরল সফলতার উপমা থাকার পরও বেপরোয়া ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রনে ‘ছেঁড়া লাগাম’ এর পরিবর্তে কেন চিরুণী ব্যবহার করা হচ্ছে না -তাতে সবার মনে কৌতুহল রয়েই যাচ্ছে।
অন্যদিকে কেনইবা শুধুমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফারুক হত্যার নিস্পত্তি ঘটাতেই সারা বাংলার সকল পুলিশ ফাড়িগুলোতে মজুদ থাকা চিরুণীগুলো ব্যবহার করে শেষ করা হল? তাহলে কি ঢামেক, ঢাবি, চবিতে সন্ত্রাসের বলি রুবেল, বকর, আসাদ কিংবা কায়সারের জীবন কি এতটাই মূল্যহীন? ছাত্রলীগের অবিরাম সংঘর্ষ কি বাংলার ঐতিহ্যবাহী ''লাঠি খেলা" র অন্তভুক্ত ?
মাননীয় মন্ত্রীর মনে রাখা দরকার ১/১১ র মত কঠিন সময় পার করে এসে জনগন তাদের শান্তি পুনঃস্থাপনে এ সরকারকেই পছন্দ করেছে। দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই পিলখানা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সহ নানা ইস্যুতে জনগন বিচলিত। সাথে বাড়তি পাওনা হিসেবে সারা দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী কিংবা হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। আইন শৃঙ্খলার ‘উন্নত অবস্থা’(!!) সহ্যক্ষমতা অতিক্রম করেছে আগেই।
আর অতি শিঘ্রই এসব নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে সর্বদা সরলপ্রাণ বাঙ্গালী আবারো ভাবতে শুরু করবে সেই গ্রাম্য কৃষকের মত- যে কি না একটা দড়ি হাতে মাঝ মাঠে দাঁড়িয়ে ভাবছিল কি যেন? কেউ একজন জিজ্ঞাসা করলো,
- কি ভাই কি খুঁজছেন?
- না মানে আমি ঠিক বুঝতে পারছিনা। আমার গরুটা হারালাম নাকি দড়িটা খুঁজে পেলাম।
সরকারের বছর দেড়েক পার করে এসে আজ যদি আবার হারানো-প্রাপ্তির হিসাব নিয়ে ভাবতে হয় তাহলে এর ফলাফল কি হবে? তা সরকার ভালো করেই জানে।
সুতরাং থাকুক না চিরুণী সংকট, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অন্তত ‘কাঁটা-চামচ’ দিয়ে হলেও অভিযান পরিচালনা করে অবস্থার নিয়ন্ত্রন করা জরুরী। এ সামান্য বিষয়টি আমাদের বর্তমান সরাষ্ট্র মন্ত্রী মাথায় বিন্দৃ মাত্র ঢোকার আশায় রইলাম। আর প্রভুর কাছে দোয়া করতে থাকলাম। হায় আল্লাহ মুরগীর মাথায় যে টুকু আছে অন্তত সে পরিমান ঘিলু আমাদের সরাষ্ট্র মন্ত্রীর মাথায় দাও। তাহলে অন্তত কাজ হোক আর নাই হোক মুখ বন্ধ থাকার কথা।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
অদ্ভুতত্ব.....
অদ্ভুতত্ব.....
আমরা অনিয়ম করতে করতে এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, অনিয়মকেই নিয়ম আর নিয়মকে অনিয়ম মনে হয়। নিয়মকে কারো কাছে ভালো লাগে না, অনিয়মকেই ভালো লাগে। তাই কেউ নিয়ম মাফিক... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের কালো রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অধ্যাপক ইউসুফ আলী !
অধ্যাপক ইউসুফ আলী মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন।
উনি ছিলেন বাংলার অধ্যাপক। ৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য হন। ৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য,... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। নিজের বানানো টেলিস্কোপ দিয়ে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি
ঢাকায় নিজের বাসার ছাদ থেকে কালপুরুষ নীহারিকার ছবি তুলেছেন বাংলাদেশি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন। যে টেলিস্কোপ দিয়ে তিনি এই ছবি তুলেছেন, সেটিও স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার দশটা ইচ্ছে
প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়-
যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব মানুষের বেচে থাকা। মরে গেলেই তো... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্রেকিং নিউস ! স্বৈরাচারী হাসিনার নতুন ফোন কল ফাঁস হইছে
ব্রেকিং নিউস ! স্বৈরাচারী হাসিনার নতুন ফোন কল ফাঁস হইছে।যারা এখনো শুনেন নাই তাদের জন্য লিংক দিয়ে দিচ্ছি শুনেন ,কসম খোদার বেপক বিনোদন পাবেন।আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় অফিসে টোকাইরা হাগু... ...বাকিটুকু পড়ুন