লিখতে গিয়ে থেমে থাকলাম অনেকটা সময়... কি লিখবো? আজ ক'দিন ধরে যা বলে যাচ্ছি, তারপরও কি কিছু বলার-বোঝার বাকি আছে? নাহহহ... বোঝার বাকি নেই, তবে বলার আছে আরো, আরোও অনেক। জানিস, আমি এখোনো ভাবতে পারছিনা, তুই কি সত্যিই আমার বাস্তবতা, নাকি এখোনো আমি বিচরণ করছি আমার তৈরি করা কোনো কল্পলোকে! তোর সাথে কথা বলতে গিয়ে মাঝেমাঝেই আমি নিজেকে চিমটি কাটি। তারপরও ঘোর কাটেনা, বিশ্বাস হয়না। তাই, তুই যখন মুঠোফোনের ওপাশ থেকে স্তব্ধ হয়ে যাস অথবা কম্পিউটারের স্ক্রীণে ভেসে ওঠেনা তোর মনের কথা, আমি না কেমন যেন থমকে যাই! যাহ শালা... মায়াময় স্বপ্নটা বুঝি ভেঙ্গে গেলো!
তোর কথা শুনে মনে হয়, জগতবিশ্বে যিনি আছেন তিনি বুঝি দুষ্টোমি করছেন! এতো মিল কোনো তোর সাথে আমার! যা ভাবি, যা মনে করি, যা বুঝি... কেমন করে তুই বুঝে যাস! শেষমেশ না পেরে তোকে বলেছি অমিল বের করতে! তুইও বের করলি... আজব-গুজব যত্তসব মেলা না মেলা অমিল! বের না করেই বা কি উপায়! তোর আর আমাতেতো কোনো পার্থক্য নেই! তাইতো বলি, তুই আমার দ্বিতীয় আমি! ভিন্নরূপে তুই আমারই এক মায়াবী প্রতিচ্ছবি!
আচ্ছা, কেমন করে তুই আমাতে হারালি? আমারতো আলাদা করে কিছু নেই। খুব সাধারণ হয়তোবা তার থেকেও সাধারণ আমি। তোর ভয়ংকর স্রোতধারা কিভাবে আমার ডোবায় এসে উথলে পড়লো? সারাদিন ভাবি...ভেবে ভেবে ক্লান্ত আমি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনা। তাই হঠাৎ হঠাৎ প্রচন্ড ভয় পাই। আচ্ছা তুই কি কোনো ঘোরের জগতে আছিস? কেমন যেনো সন্দেহ হয়। রাগ করিসনা... জানিসতো, ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলেও ভয় পায়।
জানিস, তোকে খুঁজে পাবার জন্য যারা দায়ী, মনে মনে তাদের সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বেড়াচ্ছি। _______ আমার জীবনে অমর হয়ে থাকবে। বেঁচে থাকবে আমৃত্যু সেদিনের সেই দুপুরবেলা। বারিকে সেদিন সামনা-সামনিই ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম। বেচারাতো অবাক! শুধু শুধু আমি কেনো ধন্যবাদ দিচ্ছি! কিন্তু আমিতো জানি, সেই রাতের কথা। বারি ________-এর কথা না বললে, হয়তো আমি কখনোই তোকে পেতামনা। ও... ___-কেও ধন্যবাদ! আজ রাতেই ওকে বলবো। তোকে পাবার ঋণে যে আমি জর্জরিত।
শোন, তোর কঠিন বাস্তবতাকে বুকে সত্য ধারণ করে আমি এগিয়ে চলেছি। জানি, জয়ের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবু আমি বিকেলের শেষ গোধূলি দেখতে চাই। দাঁড়িয়ে থেকে দেখতে চাই আমার সূর্যোদয়ের সমাপ্তি। কিন্তু ভাবিসনা আমি কল্পলোকের গল্পের খাতা বন্ধ করে ফেলছি। আমাদের কল্পলোকের রঙীন ফানুসগুলো নীল আকাশে মেঘের ভেলায় ওড়ানোর চেষ্টা আমি প্রাপ্তির প্রদীপ নিভে যাবার আগ পর্যন্ত করবো। তুই শুধু ভয় পাসনে... আমার সাথে থাকিস, আমার পাশে থাকিস। থাকবিনা?
আর লিখতে পারছিনারে... আবার পরে... (তোর স্তুতি করা তো এখোনো শুরুই করিনি)