অনৈসলামিক ১৯ তত্ত্ব:
অনৈসলামিক ১৯ তত্ত্ব বলতে বোঝায় কোন বিষয়ের সাথে ১৯ এর কোন সম্পর্ক খুঁজে বের করা এবং তার মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে এমন কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যা ইসলামের অন্যান্য উৎস দ্বারা সমর্থিত নয় বা এমন কোন সম্পর্ক বের করা যা পরীক্ষালব্ধ সত্য নয়। অনৈসলামিক ১৯ তত্ত্বে প্রসঙ্গ আসলে যাদের কথা প্রথমে চলে আসে তারা হল সাবমিশন গ্রুপ বা রাশাদীয় মতবাদ। কারন ১৯ তত্ত্ব নিয়ে রাশাদ খলীফার বেশ দীর্ঘ কাজ আছে, তার উল্লেখযোগ্য একটি অংশ অনৈসলামিক। সে প্রসংঙ্গে বিস্তারিত পরে আসছি। তাছাড়া বাহায়ী ধর্মালম্বীদের কাছে ১৯ পবিত্র সংখ্যা হিসেবে পরিচিত,তাদের ক্যালেন্ডারে ১৯ মাস নিয়ে বছর গঠিত আর প্রত্যেক মাস ১৯ দিনের।
তাহলে আমরা অনৈসলামিক ১৯ তত্ত্বের বৈশিষ্ট হিসেবে পাই
(১) ১৯ এর কোন সম্পর্ক দ্বারা ইসলাম সম্পর্কে এমন কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যা ইসলামের অন্যান্য উৎস দ্বারা সমর্থিত নয়
(২) এমন কোন সম্পর্ক বের করা যা পরীক্ষালব্ধ সত্য নয়।
(৩) মুসলিম সমাজে প্রচলিত পরিসংখ্যান না মেনে কোন সংখ্যা ব্যবহার করা,যেমন সূরা তাওবার আয়াত সংখ্যা ১২৯ এর বদলে তারা ১২৭ ধরে হিসাব করা কিংবা বিসমিল্লাহীর রাহমানির রাহীম কে আননাম্বারড আয়াত হিসেবে ধরে মূল আয়াতের সাথে যোগ করে হিসাব করা (রাশাদীয় তত্ত্ব)
(৪) ব্যক্তিগত কোন ঘটনার সাথে ১৯ এর সম্পর্ক বের করা
(৫) ১৯ সংখ্যাকে পবিত্র সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা (বাহায়ী মতবাদ)
ইসলামিক ১৯ তত্ত্ব:
সত্যিকার অর্থে ইসলামিক ১৯ তত্ত্ব নামে ইসলামে কোন তত্ত্ব নেই। তবে শ্রেণীবিন্যাসের প্রয়োজনে ১৯ তত্ত্বকে অনৈসলামিক ও ইসলামিক দুভাগে ভাগ করা জরুরী।
যেমন ধরুন ইসলামী খাবার বলতে কোন খাবার নির্দিষ্ট করে দেয়া নেই, তবে অনৈসলামিক খাবার নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে, তারমানে যেসব খাবার অনৈসলামিক তা বাদে বাকি সব হালাল বা ইসলামিক খাবার বলা যায়। তেমনি ১৯ সংক্রান্ত সকল তথ্যকে ইসলামিক ১৯ তত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত বলা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষন না তা ইসলামের কোন নীতির সাথে সাংঘর্ষিক না হয়।
সোজা কথায় অনৈসলামিক ১৯ তত্ত্বের বৈশিষ্ট অনুপস্থিত থাকলে তাকে ইসলামিক ১৯ তত্ত্ব বলা যাবে। ১৯ কে পবিত্র সংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয় না, বরঞ্চ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা যার গূঢ় তত্ত্ব আল্লাহই ভালো জানেন এমন ধারনা করা হয়, কোন বিশ্বস্ত রেওয়াত বা সহী হাদীস দ্বারা ১৯ কে পবিত্র বলা হয়নি। মূল পোষ্ট
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৪