অপেক্ষার অনুভূতি কারো কাছেই বোধ হয় ভালো লাগে না, অপেক্ষা যদি হয় ভালো কিছুর জন্য তাহলে তা অস্থিরতা সৃষ্টি করে। অপেক্ষা যদি হয় খারাপ কিছুর জন্য তবে তা উদ্রেক করে আতংকের। আমি কাল সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত অব্দি অপেক্ষা করেছি বৃষ্টির, কিন্তু সে আসে নি।
জীবন ক্রমেই দুঃসহ হয়ে ঊঠছে অধিকাংশ মানুষের কাছে। বাংলাদেশের মানুষের রক্ত এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি শীতল। আমার মনে পড়ে ২০০৬ সালে ইয়াজ উদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের কথা। সেবারে রমজান মাসে বিদুৎ সমস্যা বর্তমানের চেয়ে অনেক কম থাকলেও মিরপুরে ব্যাপক ভাংচুর হয়েছিল। সেটা যে খুব ভালো জিনিস ছিল তা নয়, কিন্তু তাতে বেশ কাজ হয়েছিল মনে পড়ে।
বাঙালির রক্ত এখন ধীরে ধীরে গত তিন বছরে সরীসৃপের কাছাকাছি পর্যায়ে চলে গেছে। তাই এ দেশে রাজাকারেরা মুক্তিযোদ্ধাকে লাথি দেয়, আর আমরা বসে বসে দেখি। ইউটিউবের কল্যাণে সেই ভিডিও এখনো সংরক্ষিত আছে।
আজকের প্রথম আলোর শেষ পাতায় একটা খবর এ রকম - ব্যবসায়ীরা কাজ করে যান নীরবে
খবরটা পড়লাম, পড়ে ভালো লাগল। আমাদের ব্যবসায়ীরাই দেশটাকে টিকিয়ে রেখেছেন, সে জন্য তাদের পুরষ্কৃত করা হয় না। অন্য দিকে আমরা দেখি বাংলাদেশে সয়াবিন তেল আসে জাহাজে, আর এতে দীর্ঘ সময় লাগে। ব্যবসায়ীরা বাজারে যে তেল বেচে সেটি অন্তত দু মাস আগে আনা তেল। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে তারা দু মাস আগের আনা তেলের দাম বাড়িয়ে দেন সাথে সাথে। অন্য দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে তারা বলেন, দেশের বাজারে দাম কমতে মাস খানেক সময় লাগবে। এই না হলে দেশপ্রেম!
প্রথম আলোর দশ বছরের সবচেয়ে বড় সার্থকতা হল তারা এ দেশে সুশীলতার নতুন ধারনার সৃষ্টি করেছে। যখন যা বললে মানুষ খুশি হবে ঠিক সেটাই বলেছে, তবে একটু সুকৌশলে।
অনেক রাত জাগার পরেও বৃষ্টি এল না। আমি তাই ঘুমিয়ে যাই আর ভাবি পুরো জীবনটা যদি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পার করে দেয়া যেত কি ভালোই না হত। কিন্তু তা হবার নয়। আমার ছুটির মেয়াদ প্রায় শেষ, ব্লগে হয়তো আর তেমন একটা আসা হবে না। আমার অপেক্ষাও এ জীবনে শেষ হবার নয়।