দরজা পেরিয়ে পা রাখলেই কেমন একটা গা ঘিনঘিনে ব্যাপার৷ দু’ধারে ঘন হয়ে রয়েছে কচু এবং আঁশ শ্যাওড়া জাতীয় অসংখ্য গাছের ঝোপ৷ এই বুঝি সাপ বেরোল! অনেক কবর ঢেকে গিয়েছে ওই জঙ্গলে৷ বড় বড় পাতার মধ্যে জেগে উঁকি মারে মেটে রঙের দু’একটা ক্রস চিহ্ন৷ অজস্র ভাঙা সমাধি ঝোপঝাড়ের ভিতরে, সেখানে যাওয়া অসাধ্য সাপখোপের ভয়ে৷
যে কটা নাগালের ভিতরে, তার উপর অজস্র কাপড় শুকোচ্ছে পাশের বস্তির বাড়িগুলোর৷
ইতস্ততঃ মদের বোতল, খাবারের দোকানের প্যাকেট, সিগারেটের টুকরো পড়ে৷ লাগোয়া লেপ্রসি হাসপাতালের অনেক আবর্জনা ওখানে৷ ময়লা কাপড়, তুলো, ভাঙা সিরিঞ্জ-কী নেই? বড় বড় ঘাসে রোদ পোহাচ্ছিল দুটো কুকুর৷ অচেনা আগন্ত্তককে দেখে সরে যায় দ্রুত৷ ভাবে, আবার কোনও নেশাড়ু উত্পাত করতে এল বুঝি!
অথচ এটা কোনও গ্রাম বা মফস্সল নয়৷ নিখাদ কলকাতাই৷ হাত বাড়ালে, দু’পা এগোলেই গড়পার৷ উপেন্দ্রকিশোর-সুকুমার রায়ের বাড়ি৷ সামান্য দূরে বিদ্যাসাগরের বাড়ি৷ রামমোহনের বাড়িও তাই৷
মানুষ আর কোনও বড় শহরে এমন অবহেলার মধ্যে শেষ শয্যায় শুয়ে থাকতে পারে, হে ঈশ্বর?
জঙ্গলে মোড়া কবরখানার উত্তর-পূর্ব কোণের দিকে তিন মহিলা রোদ পোহাতে পোহাতে গল্প করছিলেন৷ যাঁর সমাধি খুঁজতে এসেছি, তাঁর নাম বললে এঁরা বলতে পারবেন না৷ অন্য প্রশ্ন করতে হবে৷ এই কবরখানার সবচেয়ে বিখ্যাত কবর কার? প্রশ্ন করলে তাঁরা যে দিকে দেখিয়ে দেন, তা দেখে তীব্র বিষণ্ণতায় মন ভরে যায়৷ চৌকোনো একটা সিমেন্ট বাঁধানো আয়তক্ষেত্র৷ সেটার হাঁটু সমান দেওয়ালে নানা রকম পোশাক ঝুলছে৷ শাড়ি, গেঞ্জি, অন্তর্বাস, কাঁথা, প্যান্ট থেকে শুরু করে বিছানার চাদর৷
হায় রে! ওখানে, ওই কাপড় শুকোনোর জায়গায় শেষ শয্যায় শুয়ে রয়েছেন বাংলার এক স্মরণীয় মহিলা কবি, ঔপন্যাসিক! ভারতীয় সাংস্কৃতিক রেনেসাঁর অন্যতম নাম৷ তরু দত্ত৷ তাঁর পাশে শুয়ে আছেন তাঁর দিদি অরু দত্ত৷ তরুর সঙ্গে তিনিও কিছু ফরাসি কবিতার ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন তিনি৷ তরুর কিছু দিন আগে মারা যান৷
মৃত্যুর আগে তরু ফরাসি ও ইংরেজি কবিতার পাশে তাঁর ছাপা দুটো উপন্যাস দেখে যাননি৷ একটি ফরাসি- Le Journal de Mademoiselle d’Arvers৷ কোনও ভারতীয়র লেখা প্রথম ফরাসি উপন্যাস সেটা৷ অন্যটি ইংরেজি-বিয়াঙ্কা, অর দ্য ইয়ং স্প্যানিশ মেডেন৷ ইংরেজিতে লেখা প্রথম ভারতীয় মহিলার উপন্যাস৷ তরু এবং অরু মিলে ১৮৭৬ সালে অনেক ফরাসি কবিতা অনুবাদ করেছিলেন ইংরেজিতে৷ ভবানীপুর সাপ্তাহিক সংবাদ প্রেস থেকে সেটা বই হয়ে প্রকাশও হয়েছিল৷ কোথায় যেন পড়েছিলাম, তরু দত্তের ফরাসি ভাষার প্রতি দখল প্রভাবিত করেছিল জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সত্যেন্দ্রনাথ দত্তর মতো ব্যক্তিত্বকে৷
সাপখোপের আড্ডায় যে ভদ্রমহিলারা কাপড় শুকোতে দিয়ে গল্প করছেন, তাঁরা দুই বোনের কারও নাম জানেন না৷ খুব স্বাভাবিক৷ এবং খুব স্বাভাবিক গলায় তাঁদের এক জন বললেন, ‘এই কবরখানায় এই এক জনই বিখ্যাত লোকের কবর রয়েছে৷’ তাঁদের কাছেই শুনলাম, নেশাড়ুরা সন্ধ্যের দিকে আড্ডা জমায় এখানে৷ রবিবার তো আরও বেশি৷
তরু দত্ত মারা গিয়েছিলেন ১৮৭৭ সালে৷ ২১ বছর বয়সে৷ তাঁর ‘আওয়ার ক্যাসুরিনা ট্রি’ কবিতা এতটাই বিখ্যাত যে সেটা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে চর্চা চলে এখনও৷ তাঁর কলকাতার রামবাগান বা বাগমারির কোনও প্রাসাদোপম বাড়ির ক্যাসুরিনা গাছ নিয়ে কী চমত্কার কবিতা লিখেছিলেন সেই অকাল প্রয়াতা কিশোরী৷ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন পড়তে৷ তার আগে ফ্রান্সের নিস শহরেও ছিলেন অনেকদিন৷ কী ভাবে তাঁর বাড়ির বাগানের ওই ক্যাসুরিনা গাছ তাঁকে ইউরোপের নানা শহরে, সৈকতে তাড়া করত মননে, অসাধারণ লেখায় তুলে ধরেছিলেন তরু৷ চমত্কার লেখার কিছুটা…৷
Like a huge Python, winding round and round
The rugged trunk, indented deep with scars
Up to its very summit near the stars,
A creeper climbs, in whose embraces bound
No other tree could live. But gallantly
The giant wears the scarf, and flowers are hung
In crimson clusters all the boughs among,
Whereon all day are gathered bird and bee;
And oft at nights the garden overflows
With one sweet song that seems to have no close,
Sung darkling from our tree, while men repose.
ভাবতে ভাবতে তরু দত্তের সমাধিস্থলের চারপাশে মধ্যে তাকাই৷ এ সব তো তরু নয়-সব জঙ্গল৷ এখানে ক্যাসুরিনা নেই কোথাও৷ দুটো তাল গাছ রয়েছে৷ একটা কাঠগোলাপ গাছে ফুল ফুটেছে৷ এই আবর্জনার শেষ শয্যায় ওই কয়েকটা কাঠগোলাপ ফুলই প্রাণ৷ পাশেই একটা নাম না জানা বড় গাছ৷ এ ছাড়া সব জঙ্গল৷ কচু থেকে কলা, সব রকমের গাছ৷ মাঝখানে খুব অল্প একটা জায়গার ঘাস একটু ছাঁটা৷ সেখানে বাচ্চারা ফুটবল, ক্রিকেট খেলে হয়তো মাঝে মাঝে৷ যে হারে কাপড় শোকানোর পালা চলছে, তাতে পাহারাদারহীন কবরখানার জমিও দখল হতে চলেছে৷ অবধারিত, দেওয়াল সংলগ্ন দু’একটা বাড়ি বেআইনি৷ একটা গেটও বানিয়ে ফেলেছে পাশের বাড়ির লোক৷ কবরখানায় আসতে গেট কেন? কাপড় শুকোতে দেওয়ার জন্য৷ আড্ডা মারার জন্য৷ পাহারাদার তো নেই৷
দেওয়ালের ধারে ওই ছোট বাঁধানো জায়গায় পরপর পাঁচটি কবরের ফলক লাগানো৷ পাশের বাড়ির জানলা থেকে ময়লা ফেললে পড়বে ওখানে৷ দুটি কিশোর, ওই বস্তিরই হবে, অচেনা লোককে দেখে প্রশ্ন করে, ‘এরা কারা ছিল কাকু?’ নামগুলো দেখলাম৷ আবজু দত্ত, অরু দত্ত, তরু দত্ত, গোবিন চন্দর দত্ত, ক্ষেত্রমণি দত্ত৷ রামবাগানের বিখ্যাত দত্ত পরিবারের গোবিন্দ্রবাবুর ছেলে, বড় মেয়ে, ছোট মেয়ে এবং স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কবর৷ ওখানে একটা স্মারক চোখে পড়ল, প্রয়াত মন্ত্রীর সুভাষ চক্রবর্তীর স্ত্রীর সংস্থা পথের পাঁচালির৷ ২০০৭ সালে এই জায়গাটা সাজিয়েছিলেন তরু দত্তের জন্মের ১৫০ বছর উপলক্ষ্যে৷ প্রশ্ন উঠবে, সত্যিই কি দত্ত পরিবার এ ভাবে পাশাপাশি শুয়ে ছিলেন? নাকি বিভিন্ন দিক থেকে ফলকগুলো তুলে এনে ওই খানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে? রাজনীতির লোকেরা সব পারেন৷ বহু বছর আগে একবার ওই কবরখানায় গিয়েছিলাম৷ তখন কিন্ত্ত তরু দত্তের পরিবারে কবর ওই ভাবে পাশাপাশি ছিল না৷ স্মৃতিকে তো এমনিতেই বাঁচিয়ে রাখতে পারি না৷ স্মৃতিকে পাল্টে দিতেও কি ওস্তাদ আমরা? ইউরোপ হলে এটাই শহরের এক স্মরণীয় দর্শনীয় স্থান হয়ে থাকত৷ আর এখন…৷ ভয়াবহ ছবি চোখের সামনে ভাসছে৷
তরুর সাহিত্যজীবনে চোখ রাখলে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না, তখনকার কলকাতার এত কম বয়সে এত ভালো লিখতে পারে কোনও কিশোরী৷ ১৮৭৭ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর বাবা গোবিন্দ্রচন্দ্র আবিষ্কার করেন, মেয়ে আরও অনেক লেখা লিখে গিয়েছেন৷ অনেক কবিতা৷ তার আগেই বা কত রকম বিষয় নিয়ে লিখেছিলেন৷ গোটা পরিবার ধর্মান্তরিত হয়েছিল, তরুর যখন ছয় বছর বয়স৷ তাঁর কবিতায় অসংখ্য দর্শনের সঙ্গে ঘুরে ফিরে উঁকি মেরেছে সাবিত্রী, লক্ষ্মণ, সীতা, ধ্রুব৷ মস্কো, ইতালি, ফ্রান্স, সাসেক্সের সমুদ্রের পাশে৷ ভবিতব্য তাঁকে ফের ফিরিয়ে এনেছিল এই কলকাতায়৷ ১৮৭৩ সালে ইউরোপ থেকে ফিরে আসা৷ পরের বছরই দিদি তরুর মৃত্যু৷ সেই যক্ষায়৷
মাণিকতলার মোড় থেকে গড়পারের দিকে এগোলে বাঁ হাতে মাণিকতলা কবরখানার ছোট্ট গেট৷ এখনকার সরকারি নিয়মে নীল রং করে যাওয়া হয়েছে৷ ও টুকুই বদলেছে শুধু৷ সরু জায়গায় ঢোকার মুখেই মন খারাপ হয়ে যায়, সরু গেটের মুখেই এত নোংরা৷ পাহারাদার বলে কেউ নেই এই কবরখানায়৷ যাঁরা রোদ পোহাচ্ছিলেন, তাঁরা বলছিলেন, বিশুয়া নামে এক পাহারাদার থাকে৷ সে মাস কয়েক হল ‘দেশে’ গিয়েছে৷ কবে আসবে, কেউ তো জানে না৷ এক কিশোরী বলল, ২৫ ডিসেম্বরের সময় বছরে একবার করে পরিষ্কার হয়৷ একেবারে সাম্প্রতিকতম সমাধি খুঁজতে গিয়ে দেখলাম, ২০০০ সালেও একজনকে সমাধিস্থ করা হয়েছে এখানে৷ একটু ফাঁকা জায়গা ও টুকুই৷ কেন যে মরার পর এই জঙ্গলের মধ্যে মায়ালতা বর্মন নামে কাউকে সমাধিস্থ করা হল কে জানে৷ কী এত মায়া এখানে? ১৯৯৬ সালে প্রয়াত এক জনের সমাধিও চোখে পড়ল৷ এত নোংরার মধ্যে সমাধি দেখে প্রশ্ন জাগছিল, এঁদের আত্মীয়রাও প্রতিবাদ করেন না কেন? তরু দত্ত-অরু দত্তদের না হয় কেউ নেই!
তরুকে বাদ দিলে আর এক বিখ্যাত বাঙালির সমাধিও কিন্ত্ত এই জঙ্গলময় কবরখানায়৷ ডাক্তার ললিত মোহন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গেট দিয়ে ঢোকার সময় বাঁ দিকে৷ দেখে এত কষ্ট হচ্ছিল, পাড়ার এক তরুণ ও কিশোরীকে ওই কবরের উপরে বসে রোদ পোহাতে দেখে৷ ললিতমোহন বাংলার প্রথম বিখ্যাত সার্জন ছিলেন৷ রবীন্দ্রনাথ এবং শরত্চন্দ্রের অস্ত্রোপচার করেছিলেন তিনি৷
কবরখানা মানেই বিস্তৃত শূন্যতা, গা ছমছমে ভাব এবং বিষণ্ণতা৷ ইউরোপ, আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা হলে ফুলে ফুলে এমন সাজানো থাকে, বসে থাকতে ইচ্ছে হয় সারা দিন৷ এখানে, এই চার্চ মিশন সোসাইটির কবরখানায় তেমন কিছুই মনে হয় না৷ পাহারাদারহীন কবরখানা৷ অথচ ঢুকেই ডান দিকের পাথরের বেঞ্চে কারও পোঁটলাপুঁটলি রাখা৷ নিশ্চয়ই কোনও ভবঘুরে রেখে গিয়েছে৷ হাসপাতালের লাগোয়া জমি হলে যা হয়, পরিত্যক্ত আবর্জনা দেখলে গা গুলোয়৷ কবরখানার প্রবেশ দ্বারের কাছেও বিশাল বিশাল দড়ি টাঙিয়ে জামাকাপড় শুকোয়৷ এ সব দেখার জন্য কি কোনও নেতা নেই? ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাধন পান্ডে, শ্যামল চক্রবর্তী, পরেশ পালরা করেনটা কী?
এ সব বিরক্তি থেকে বেরোতে গিয়ে তরু দত্তের লেখা একটি সনেট মনে পড়ে৷ ইন্টারনেট থেকে সেই লাইনগুলো লিখি৷ জন কিটস মারা গিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সে, যক্ষায়৷ তরুও মারা যান যক্ষায়৷ আরও কম বয়সে৷ একুশে৷ রোমে যে প্রোটেস্টান্ট কবরখানায় শেষ শয্যায় শায়িত কিটস, সেখানে যাইনি৷ সেখানে শুয়ে আর স্বনামধন্য কবি, ২৯ এ চলে যাওয়া শেলি৷ ওই সমাধিস্থলে ছবি দেখলে মনে হয়, কী চমত্কার৷ ফুলে ফুলে সাজানো সব কবর৷ আর আমাদের তরু? তিনি তাঁর সনেটে যা লিখে গিয়েছেন, সে কথা মনে মনে অনুবাদ করলে আরও মন খারাপ হয়ে যায়৷
A sea of foliage girds our garden round,
But not a sea of dull unvaried green,
Sharp contrasts of all colours here are seen;
The light-green graceful tamarinds abound
Amid the mangoe clumps of green profound,
And palms arise, like pillars gray, between;
And o’er the quiet pools the seemuls lean,
Red,–red, and startling like a trumpet’s sound.
But nothing can be lovelier than the ranges
Of bamboos to the eastward, when the moon
Looks through their gaps, and the white lotus changes
Into a cup of silver. One might swoon
Drunken with beauty then, or gaze and gaze
On a primeval Eden, in amaze.
সামান্য দূরে মাণিকতলার মোড় জমজমাট৷ ফুটপাথে বৃদ্ধ কাগজওয়ালা দুপুরবেলাটা সাদা কাগজে ঝুঁকে পড়ে হিসেব করেন, কত বিক্রি হল৷ কাগজ আর ম্যাগাজিনের মাঝে পিচবোর্ডের মধ্যে হাই তুলছে তার বেড়ালের বাচ্চাটা৷ হকার্স মার্কেটে ধুপধুনোর মধ্যে বিক্রিবাটা শুরু হয়েছে৷ অটোওয়ালা চেঁচাচ্ছে, ‘কাঁকুড়গাছি, কাঁকুড়গাছি’৷ লোহাওয়ালাদের দরদাম চলছে৷
রাস্তায় এ সবের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে তরু দত্ত, অরু দত্তদের উপেক্ষার সমাধিক্ষেত্রর দৃশ্যগুলো ধাক্কা মারে বুকে৷
ইংল্যান্ডের সাসেক্সে, সমুদ্রের ধারে এক ছোট শহর হেস্টিংস নামে এক শহর রয়েছে৷ সেই শহর নিয়ে একটা কবিতায় নিজের প্রিয় দিদির উল্লেখ করে একটা চমত্কার কবিতা লিখেছিলেন তরু৷ কবিতার নাম ‘নিয়ার হেস্টিংস’৷
She past us,-then she came again, Observing at a glance
That we were strangers; one, in pain,
Then asked,-Were we from France?
We talked awhile,-some roses red
That seemed as wet with tears,
She gave my sister, and she said, “God bless you both, my dears!”
Sweet were the roses,-sweet and full
And large as lotus flowers
That in our own wide tanks we cull To deck our Indian bowers.
But sweeter was the love that gave
Those flowers to one unknown
I think that He who came to save
The gift a debt will own.
The lady’s name I do not know,
Her face no more may see,
But yet, oh yet I love her so!
Blest, happy, may she be!
Her memory will not depart
Though grief my years should shade,
আহা, কোথায় সেই ইংলিশ চ্যানেলের পাশে দুর্গ, পাহাড়, খাঁড়ি, উপত্যকায় ঘেরা যুদ্ধের জন্য বিখ্যাত হেস্টিংস শহর৷ আর কোথায় এই বস্তি, জঙ্গল, নেশাড়ু, আবর্জনা ঘেরা মাণিকতলা কবরখানা৷ সান্ত্বনা একটাই-এ জাহান্নামেও সেই সাহিত্যপ্রেমী প্রিয়তমা দিদির পাশে এখন ঘুমোচ্ছেন তরু দত্ত৷ পাশে বাবা, মা, দাদা৷ সেটাই হয়তো এখন তরুর নিজস্ব স্বর্গ৷ তাঁর সমাধির উপরের নরক, আবর্জনা, উপেক্ষা, অবহেলা আশা করি, আর বাংলার ওই চিরকালীন কবিকে স্পর্শ করছে না৷
কিন্ত্ত সংস্কৃতির জন্য গর্ব করা কলকাতা, তুমি কী ভাবে এ সব মেনে নিতে পারছো? গোটা বিশ্বে অতি পরিচিত কবিকে এ ভাবে নরককুণ্ডে ফেলে রাখার উপেক্ষা কী করে চোখের সামনে ঘটছে হে প্রিয় শহর?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৫