somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাদামাটা দিনলিপি

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এক সপ্তাহের ঝলমলে রোদেলা দিন শেষে আবারো শুরু হলো ব্র্িষ্টি। রাত থেকেই থেমে থেমে দমকা হাওয়া আর একঘেয়ে ঝরঝর ব্র্িষ্টি। বারান্দায় কাপড়গুলো শুকিয়েছিল। সন্ধ্যায় তুলে আনা হ্য়নি, রাতের ব্রিষ্টিতে সেগুলো আবারো ভিজে গেল। শাওয়ালের রোজা রেখে ক্লান্ত অধরা খুব ভোরে ঘুম থেকে জেগে তাড়াহুড়ো করে তুলে আনলো আধভেজা কাপড়গুলো। ঘরের ভিতরে ফ্যানের বাতাসে চেয়ারের উপর ছড়িয়ে রাখলো দ্বিতীয়বার শুকনোর জন্যে। এরপর ভোরের নামাজ প্রশান্ত চিত্তে পড়ে নিল। ব্রিষ্টি আবারো কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলো আলস্যে। পাশে তার মেয়ে ঘুমিয়ে আছে, একনজর সেদিকে চোখ বুলালো। তার গায়েও কাঁথা এলিয়ে দিল অধরা। মেয়ে গড়িয়ে এসে মাকে জড়িয়ে ধরলো। পরম ত্র্প্তিতে মাও জড়িয়ে ধরলো মেয়েকে। একসময়ে চোখ বুজে এলো নিরবে। ছুটির দিনের সকালের এই মিষ্টি ঘুম উপভোগ করে মা-মেয়ে দুজনেই।
আটটা বাজতেই তড়িঘড়ি করে উঠে গেল অধরা। নাস্তা বানাতে হবে। মুখ ধুয়ে ছাতা মাথায় বেরিয়ে গেল। দোকান থেকে দুধ আর ডিম কিনে ফিরলো। ঢাকা শহরে ব্যস্ততা সবসময়েই, ভাবলো অধরা। এই ব্রিষ্টিতেও সকাল সকাল সবাই দোকান খুলে বসে আছে, যদিও ক্রেতা কম।
মেয়েকেও ঘুম থেকে জাগালো। রুটিাসেঁকে, লাচ্ছা সেমাই রান্না করে নাস্তা সারতে না সারতেই চলে এলো মেয়ের ইংরেজীর শিখ্খক।
রাতের বেলাতেই বুটের ডাল দিয়ে খাসীর মাংস কষিয়ে রেখেছিল অধরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন অবস্থায় সায়েন্স ক্যাফের দুপুরের খাবারের মেনুতে এটা ছিল অধরার খুব প্রিয় খাবার। নাস্তা সেরে আবার সেটাই বাকীটুকু রাঁধতে বসলো অধরা। ব্রিষ্টি দেখে খিচুরী রান্নার একটা ঝোঁক চাপলেও মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললো সে। মাত্র দু চার দিন আগেই খিচুড়ী রান্না হয়েছে বাসায়। আজ আবার খাসীর মাংস। একসাথে এতো ভারী খাবার খেতে চাইলো না, লোভটুকু সামলে নিল। এমনিতেই দিনে দিনে ওজন বেড়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৭০ কেজি ক্রস করেছে ওজন। আর না বাড়ুক।
দুপুরের রান্না বান্না সেরে মাকে ফোন করে খোঁজ খবর নেয়। মা তার মফস্বলে থাকে, বাবা মারা গেলে তিনি একা হয়ে গেছেন। তবুও চাকুরীজীবি হবার কারণে ঢাকায় ছেলেমেয়েদের সাথে এসে থাকা হয় না মায়ের। অধরা মাঝে মাঝে গিয়ে মাকে দেখে আসে, মায়ের জন্য তেমন কিছুই করা হয়না তার। এটা নিয়ে নিজের মনে মনে আফসোস আছে তার। মাঝে মাঝে কিছু আর্থিক কাজে সহায়তা করে এতোটুকুই। মায়ের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেয়। মা তার যথেষ্ট কর্মঠ! এই সকালেই তিন নম্বর সতর্কতার মাঝেও ছাদে গিয়ে নিজ হাতে তৈরী সবজি বাগানের যত্নআত্তি নেয়। নিজের একাকি জীবন এভাবেই ব্যস্ত রাখেন মিসেস আনজুম।
জানালা দিয়ে উঁকি দিল অধরা। টিপ টিপ ব্র্িষ্টি ঝরেই চলেছে, সেই সাথে একটু একটু দমকা হাওয়া...
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫১
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৭.৬২ MM গুলি উদ্ধার। ব্রিগ. সাখাওয়াত ঠিকই বলেছিলেন।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৫৫


*২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ*

রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।

উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কামাল আতাতুর্ক: ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন ও স্বকীয়তা ধ্বংসকারী এক বিতর্কিত শাসক

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২

কামাল আতাতুর্ক: ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন ও স্বকীয়তা ধ্বংসকারী এক বিতর্কিত শাসক

তুরষ্কের বিখ্যাত আয়া সোফিয়া মসজিদের ছবিটি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক (১৮৮১-১৯৩৮) তুরস্কের ইতিহাসে এক প্রভাবশালী ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব। তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=স্নিগ্ধ প্রহর আমার, আটকে থাকে স্মৃতিঘরে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০০


কিছু স্নিগ্ধ প্রহর স্মৃতির ঝুলিতে বন্দি রাখি,
শহরের ক্লান্তি যখন ঝাপটে ধরে,
যখন বিষাদ ব্যথা আঁকড়ে ধরে আমায়,
স্বস্তি শান্তি দিয়ে যায় ফাঁকি
ঠিক তখনি উঁকি দেই স্মৃতিঘরে,
মুহুর্তেই সময় পরিণত হয় সুখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নাজলী নামের মেয়েটি

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:০৫

"নাজলী এখন ভালো আছে"

নাজলীর অসুখ করেছে, আকাশ পাতাল ভাবনায়
ডুবে আছে মেয়েটি।
ঢাকা শহরের উদাস হাওয়া,এলোমেলো পাগলা মিছিলের
আওয়াজে প্রকম্পিত চারদিক, তবুও ভালো আছে নাজলী নামের
মেয়েটি।

গুমোট নগরে
দু:খবোধ জন্ম নেয়, জন্ম নেয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমা করো মা'মনি

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৩

এখন অনেক রাত। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আইপ্যাডে নিউজ পড়ছিলাম আর সেহরির অপেক্ষা করছি। মাগুরার ছোট্ট শিশুটির হাসপাতালে জীবন-মরন যুদ্ধের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় দেখছিলাম। মন থেকে চাইছিলাম মেয়েটি সুস্থ হয়ে যাক।

আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×