১। কাকরোল ভর্তাঃ
এক চুলায় ভাত বসিয়ে দিলেন। অন্যপাশের চুলাটি তো খালি! তো, ঝটপট দুই-তিনটি কাকরোল ভাল করে ধুয়ে প্রায় দুই কাপ পরিমাণ পানি, এবং এক চামচ লবণ দিয়ে সিদ্ধ বসিয়ে দিন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট পরে যখন পানি একেবারে শুকিয়ে যাবে তখন নামিয়ে নিবেন। সাবধানে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পানি শুকিয়ে কাকরোল যেন হাঁড়িতে লেগে পুড়ে না যায়। এরপর একটু কাঁচামরিচ কুচি, অল্প পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, একটু লবণ, সরিষার তেল দিয়ে চটকে নিন। ভাতের মাড় নিশ্চয়ই এরই মাঝে ঝরানো হয়েছে। যদি সাথে ডাল করতে চান তাহলে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ভাত, ডাল, আর কাঁকরোল ভর্তা, ব্যাচেলরের জন্য অল্প সময়ে আর কি চাই! তবে সাথে এক টুকরো লেবু ডালের সাথে মিশিয়ে খেলে নেহায়েত মন্দ হয় না।
২। কাকরোল ভুনাঃ
এক চুলায় তো ভাত বসালেন। অন্য চুলায় তেলের কড়াইতে সামান্য সয়াবিন তেল দিয়ে গরম হতে দিন। এর মাঝে দুই তিনটি কাঁকরোল লম্বালম্বিভাবে পাশ থেকে তিন টুকরো করে কেটে নিন, তারপর সামান্য হলুদ আর লবণ দিয়ে ভাল করে মেখে গরম তেলে ছাড়ুন। এক পিঠ বাদামী বর্ণ হয়ে এলে উলটে দিন। দু পিঠই বাদামী রং করে ভাজা হলে নামিয়ে নিন। সেই গরম তেলটুকু সাথে প্রয়োজন হলে আরেকটু তেল দিয়ে অন্য কড়াইতে চাপিয়ে দিন, এরপর একটা কি দুটো পেঁইয়াজ কুচি, দুই তিনটি মরিচ ফালি করে কেটে তেলে ছেড়ে দিন, হালকা বাদামী বর্ণ হয়ে এলে একটু হলুদ, একটু জিরা, অল্প লবণ, চাইলে অল্প একটু রসূন বাটা বা কুচি দিয়ে নেড়ে চেড়ে ভাজা কাঁকরোলগুলো দিয়ে একটু কষিয়ে নিয়ে অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। দুই দিন মিনিট পরে পানি শুকিয়ে তেল উপরে উঠে এলে নামিয়ে নিন। এরই মাঝে ভাত সিদ্ধ হয়ে যাবার কথা! মাড় ঝরিয়ে নিন। তারপর চটপট খেয়ে ফেলুন ভাত দিয়ে কাঁকরোল ভাজি। সাথে কই মাছ ভুনা হলে খেতে আরো ভাল লাগে। তবে কই মাছ কুটাকুটির জন্যে বুয়া বা বউ-এর দরকার! সে আরেক হ্যাঁপা!
৩। কাঁকরোল দিয়ে মাছের তরকারীঃ
প্রথমে রুই বা তেলাপিয়া জাতীয় মাছ টুকরো করে ভাল করে ধুয়ে একটু হলুদ, লবণ মাখিয়ে তেলে এপিঠ-ওপিঠ বাদামী করে ভেজে নিন। এরপর ঐ তেলটুকু তরকারী রান্নার হাঁড়িতে ঢেলে নিন, একটু পেঁয়াজ কুচি, রসূন কুচি দিয়ে হালকা বাদামী করে ভাজুন, এরপর এর সাথে এক চামচ লবণ, পরিমাণমতো হলুদ গুঁড়ো, চার পাঁচটি কাঁচামরিচ ফালি করে কাটা অথবা এক চামচ গুঁড়ো মরিচ, এক চামচ জিরা ইত্যাদি দিয়ে তেলে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন, তারপর আগে থেকে কেটে রাখা লম্বালম্বিভাবে পাশ থেকে তিন টুকরো করে কেটে ধুয়ে রাখা কাঁকরোলগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন, কাঁকরোল থেকে পানি বেরিয়ে শুকিয়ে এলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাছের টুকরো গুলো দিয়ে ঢেকে দিন, কিছুক্ষণ পর পানি কমে মাখামাখা হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
৪। কাঁকরোলের নিরামিষ তরকারীঃ
দুই তিনটি করে কাঁকরোল, পটল, চিচিঙ্গা, আলু কিউব করে কেটে ধুয়ে রাখুন। এরপর মাছের অংশটুকু বাদে উপরের তরকারী রান্নার রেসিপি মতন রান্না করে নিন নিরামিষ। তবে এর সাথে একটু তেজপাতা, এক্টা-দুটো এলাচ, এক টুকরো দারুচিনি দিলে ঘ্রানে মন প্রাণ দুটোই ভরে যাবে। কথায় বলে, ঘ্রাণেই অর্ধেক ভোজন!