যে জাতির নিজস্ব সংস্কৃতিতে ভাল কিছু আছে সে জাতি অপরাপর জাতিগোষ্ঠীর ভাল দিকগুলোকেও ভাল ভাবেই নেবে এটাই স্বাভাবিক এবং উচিতও বটে। কিন্তু নিজেদের ভিতর এই ভাল কিছুর ঘাটতি থাকলে অন্যের ভাল কিছু দেখে নিজেদের মাঝে ভাল কিছু না থাকার অনুশোচনায় জ্বলে জ্বলে চরম প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠবে!!
"Valentines Day" এর দৃষ্টিভঙ্গি খারাপ নয়, বরং দরকার সভ্যতার আলোয় সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধে সবার ভিতর ভালবাসা জাগিয়ে তোলা!! ভালবাসাহীন মানুষ মানবিক মূল্যবোধ ধারন করতে পারে না! আর আপনার সন্তানের মাঝে আপনি যদি সভ্যতার আলোয় সামাজিক ও মানবিক মূল্যবোধের শুভ চেতনা জাগিয়ে তুলতে না পারেন তাহলে বয়স ও সময়ের পরিবর্তনে জৈবিক চেতনায় ভালবাসার নামে যৌনতার কুৎসিত ও পাশবিক রূপটিকেই সে নিজের জীবনে প্রতিফলিত করবে -এটা গ্যারান্টি!
'২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেনটাইন'স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার ছিল নিষিদ্ধ। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। ফলে ভ্যালেন্টাইন নামে'র সেই রোমান পাদ্রী বন্দী অবস্থাতেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন! সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি । অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন'স স্মরণে ঘৃণা ও প্রতিহিংসা'র পরিবর্তে ভালবাসা প্রকাশের নিদর্শন হিসেবে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন' দিবস ঘোষণা করেন।' সেই থেকেই ভালবাসা প্রকাশের দিন হিসেবে এই দিনটিকে পালন করা হয়ে থাকে। কাজেই এই দিনটিকে নেগেটিভলি দেখার কোন যৌক্তিক কারণ নেই!
যারা ভ্যালেন্টাইন'স ডে পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন বা নিষেধাজ্ঞা চান - হয় তাদের নতুন প্রজন্ম সামাজিক মূল্যবোধহীন বিপদ্গামী পশু না হয় তারা নিজেরাই সাম্প্রদায়িক হিংসা সৃষ্টিকারী এবং বিশ্ব মানবতা ও ভালবাসার বন্ধন সৃষ্টির চরম প্রতিবন্ধক!!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫