উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট নেতা কিম জং ইল ৬৯ বছরে বয়সে মারা গেছেন। সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার মৃত্যুর খবর সম্প্রচার করা হয়েছে। এই মৃতু্তে দেশটিতে ১৭ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। কালো পোশাক পরিহিত টেলিভিশনের উপস্থাপক জানান, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের কারণে শনিবার তিনি মারা যান। তবে মৃত্যুর খবরটি জানানো হয় দুইদিন পর। সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় অত্যধিক শারীরিক ও মানসিক চাপে কিম জং ইলের মৃত্যু হয়েছে। এসময় তিনি ট্রেনে র্নির্ধারিত মাঠ পর্যায়ের সফর করছিলেন।’ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কিম জং ইলের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত করুণ সুরে সম্প্রচার করা হয়। তার মৃত্যতে উত্তর কোরিয়া জুড়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৯৪ সালে পিতার মৃত্যুর পর থেকে সমাজতান্ত্রিক ওই রাষ্ট্রটি শাসন করেন কিম জং ইল।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন (কেসিএনএ) জানায়, রাজধানীর বাইরের একটি অঞ্চলে ট্রেন সফর কালে তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর পর তৃতীয় ছেলে কিম জং উনকে ‘উত্তরাধিকারী’ বলে আখ্যায়িত করেছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
২০০৮ সাল থেকে পক্ষাঘাতে ভুগছিলেন কিম জং ইল। ওই সময় তিনি বেশ কয়েকমাস জনসংযোগ থেকে দূরে ছিলেন।
২৮ ডিসেম্বর কিম জং ইলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। দেশটিতে ১৭ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
কিম জং-এর মৃত্যুর খবরে উত্তর কোরিয়াজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কিমের মৃত্যুর খবরে ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার পুঁজিবাজারের দর ৫ শতাংশ নেমে গেছে। জাপানের মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠকে বসেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা কিম জং ইলের মৃত্যুপরবর্তী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ কোরীয় উপত্যকার স্থিতিশীলতা ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্র“তিবদ্ধ বলে জানিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩১