আল্লার কাছে চাওয়া সবসময় পূরণ হবে এমন কোন কথা নেই। তবে বান্দার বিভ্রান্তি লাগে এইটা নিয়েই। ঈমানের মাত্রাটা কমবেশি একেকজনের একেকরকম থাকে। ঘটনা যাই হোক, একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো কিন্তু কোন ব্যাপার না। যা চাই, তা না পেলে ধৈর্য ধরতে হবে। আল্লা দিবেন। আবার অনেক সময় দেখা যায়, তিনি এমন কাউকে এতো বেশি দিচ্ছেন যে দ্বিধাগ্রস্থ হই। খোদা, তোমার কথা ভাবি সদাই, জানি তুমি ছাড়া কোন কূল-কিনারা কখনো হবে না; অথচ যারা বৈষয়িক জগত নিয়েই ব্যস্ত তাদের উপর তোমার এতো রহমত! মন একটা সান্ত্বনা তখন দাঁড় করিয়ে ফেলে- এসবই পরীক্ষা, এসবই নিদর্শন! ধৈর্য ধরতে হবে। এমনকি আজীবন ধরে এবাদত করার পরেও না পেলে কি আসে যায়? পরকালের প্রতিশ্রুতিতো আছেই। কে বোঝে মাওলার আলেকবাজি! একই কোরান পড়াশোনা, অথচ দেখো- কেউ মৌলভী, কেউ মাওলানা! কতজনে ভয় পায়, পবিত্র গ্রন্থে নাপাক স্পর্শজনিত গুনাহ কখন হয়ে যায়, অথচ সেই জানেনা বোঝেনা সেই পবিত্র গ্রন্থে ভিনদেশী ভাষায় কি লেখা আছে!
বিশ্বাসে কী না হয়! বেওকুফের দল, ওদের "বহু তর্কে" দিন বয়ে যায়...অথচ বিশ্বাসে সবই মেলে, বিশ্বাসে ধন নিকটে পায়। তাই কুতর্কের দোকান খুলে কোন ফায়দা নেই। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত, এইটা মেনে মানুষের সেবায় নিজেকে যে সঁপে দিয়েছে তার সবই মেলে; সর্বসাধন সিদ্ধ হয় তার। যদিও মনে কত প্রশ্ন আসে, কত তত্ত্ব কত দর্শন। কী কালাম পাঠান খোদা! একেক দেশে একেক ভাষায় একেক রকম গ্রন্থ কয় খোদা পাঠায়?? কী আশ্চর্য!! তাই মাঝে মধ্যেই বিভ্রান্তি আসতে পারে। জ্ঞানগত কিংবা দর্শনকেন্দ্রিক বিভ্রান্তি। আর বিভ্রান্তি নিরসন করতে গিয়ে দেখা যেতে পারে, সবই আসলে কানার হাটবাজার। এক কানা আরেক কানাকে শুধাচ্ছে এই বলে যে- আমি জানি তোমাকে কি করতে হবে অথবা পরম ভেদ এইই, অথচ তৃতীয় ব্যক্তির অবস্থান থেকে বান্দার কাছে এটা স্পষ্ট বোঝা হয়ে গিয়েছে যে-- কানা নিজেই জানে না পথের হদিশ। কী আশ্চর্য দুনিয়া! এক্ষেত্রে ঈমানই শেষ ভরসা।
এমনকি ঘোর অন্ধকারেও বান্দা যদি খোঁজে কণা রূপে হলেও কোথাও না কোথাও আলোর উপস্থিতি থাকবেই।
মাওলার লীলা বোঝার সাধ্য কার!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৭