আঞ্চলিক,বৈশ্বিক কিংবা নির্দিষ্ট কোন দেশে যেকোন ইস্যুতে পরীক্ষামূলক ভাবে একটি পরিকল্পনা/প্রকল্প/প্রজেক্ট/পদ্ধতি যখন উদ্দ্যেশ্য অর্জনে কার্যকর হয় তখনই সেটা অন্যকোন দেশে কিংবা অঞ্চলে বা সারা বিশ্বে প্রয়োগ করা হয়।
এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে,
কোন সমস্যা সমাধানে যে পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি,সেটা বাদ দিয়ে নতুন ভাবে সমস্যা সমাধানের চিন্তা করা হয়েছে।নতুন গবেষণা করে অন্য পদ্ধতি বের করা হয়েছে বা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করে জঙ্গী হামলা এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকানোর জন্য বিশ্বে প্রথম বারের মত পাকিস্থান এই পদ্ধতি গ্রহন করে।এরপরে আফগানিস্থান এবং সৌদিআরবে এই পদ্ধতি চালু করে/আছে।
যে উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি গ্রহন করা হয়েছিলো সেসকল দেশ উক্ত উদ্দেশ্য অর্জনে কতটুকু সফল হয়েছে তা প্রতিদিনের পত্রিকা পড়লে বা টিভিতে সংবাদ দেখলেই বোঝা যায়।
বুঝলেন না!!!
এমন কোন দিন রয়েছে,যেদিন পাকিস্থান/আফগানিস্থানে বোমা হামলায়/আত্নঘাতি হামলায় ২,৫,১০জন বা ৫০,১০০জন মারা যায় না!
আর এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সেইসব দেশ এসব হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের গ্রেফতার করতে পেরেছে এমন কোন সংবাদ পেয়েছেন কোনদিন!
বরং আমরা দেখতে পাই বা শুনতে পাই যে,বিশ্বের যেকোন দেশে এরুপ হামলা হলে সেখানে আফগানিস্থান বা পাকিস্থানের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায় এবং সেই দেশের ব্যাক্তিদের হাতের ছাপ আলামত হিসেবে পাওয়া যায়।
কি অদ্ভূত,তাই না!!!
তাহলে কি সারা বিশ্বে একমাত্র পাকিস্থান/আফগানিস্থানের মানুষ বোমা হামলা চালাচ্ছে?কিংবা আরো পরিষ্কার ভাবে বললে,শুধু মুসলমানরাই এরুপ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট?
আপনার কি মনে হয়?
তাহলে এরুপ একটা ব্যার্থ পদ্ধতি আমাদের মাননীয় সরকার মহাদয় সেই একই উদ্দেশ্যে কেন ব্যবহার করছে সেটা জানার কি অধিকার নেই আপনার?নাকি সকল ক্ষমতা আদালতের হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিতে বসে আছেন?
যদি তাই করে থাকেন তাহলে আপনার মত প্রকাশের অধিকার বা আপনার নিরাপত্তার অধিকার কোথায়?
এমনিতেই তো আপনার নিরাপত্তা দিতে সরকারের অপারগতা ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে!আবার আপনিও যদি এগুলো বিছিন্ন ঘটনা বলে মনে করেন তাহলে বলবো,ভাই আপনি মহান!
প্রশ্ন আসে তাহলে সরকার কেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে?
আসুন এক্ষেত্রে একান্ত আমার কিছু মতামত বলি!
ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সিস্টেম অচিরেই চালু করবে সরকার।আর এই সরকার আপনার ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চিন্তা করবে কিনা সেটা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে!যদি আপনি সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো পরিলক্ষিত করে থাকেন তাহলে সরকারের কাছে ভোটারের ভোটের মূল্যায়নটা নিশ্চয় ধরতে পেরেছেন।
কিন্তু এক্ষেত্রে সরকার সমস্যায় পড়ছে দলের ক্যাডারেরা গণহারে ভোটের ছিল মারার কারণে কাস্টিং ভোটের পরিমান বা কত শতাংশ ভোট পড়ছে সেটার হিসেব নিয়ে।যার কারণে পত্রিকায় খবর আসছে ১৯৬% পর্যন্ত ভোট কাস্টিং এর।
আপনার হাতের ছাপ সরকারের কাছে তথা বেসরকারী কোম্পানির হাতে রয়েছে,এখন চিন্তা করেন তো,
আপনি ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই আপনার হাতের ছাপ দিয়ে ভোট দেওয়া হয়ে গেছে এবং সেটা মেশিনে ঠিকঠাক ভাবে হিসেবও করা হয়ে যাচ্ছে।ফলাফল সঠিক হিসেবেই আসছে কারণ ভোটগুলো মেশিনের মাধ্যমে গণনা হয়ে যাবে সাথে সাথেই।ফলে তখন ১৯৬% ভোট কাস্টিং এর মত ব্যাপার ঘটবে না।
ভালো একটা পদ্ধতি,তাই না!!!
আর এই পদ্ধতিতে সীম নিবন্ধনের আড়ালে যে ব্যবসা হচ্ছে সেটার টেন্ডার নিশ্চয় কোন আমজনতা পাননি!তাহলে ব্যবসাটাও ভালোই হচ্ছে তাহলে!
আপনি কি বিশ্বের অন্য কোন দেশের বোমা হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন কোন আলামত দেখতে চান,তাহলে বায়োমেট্রিক ভাবে সিম নিবন্ধন করুন।
আহ্!
দেশে কত শান্তি!!!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪২