এই লেখাটি/পোস্টটি ব্লগার-
হাসান
ত্রিভুজ
মিলটন ভাইকে
এবং যাদের সহায়তায় আমি অনলাইন আয় সম্পর্কে জেনেছি, জানছি- তাদের সবাইকে উৎসর্গ করা হলো।
_._._._._._._._._._._._._._._._._._._._._._._._._._._
ব্লগে লেখালেখি শুরু করি সামহোয়্যার ব্লগের মাধ্যমেই। এর সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন ব্লগার রণদীপম বসু। যিনি ইয়োগা নিয়ে লিখে ব্যাস খ্যাতি অর্জন করেছেন ব্লগে।
ব্লগে লিখতে এসে দেখলাম, এখানে সব পরিচিত ব্যক্তিরাই অপেক্ষা করছেন। ব্লগাইতে ব্লগাইতে এক বছর পার হয়ে গেছে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ব্যাপারে আগেই আগ্রহ ছিলো। কিন্তু কেমতে কি কিছুই জানতাম না। আমি প্রাণীর ছাত্র। এই সব ভালো বুঝি না। গ্রাফিক্স সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট ছিলো মোটামুটি। এক বড় ভাইয়ের কাছে কষ্টমষ্ট করে এই তথ্যটুকু জানলাম, গ্রাফিক্স জানা থাকলে ওয়েব ডিজাইন সহজে জানা যায়।
সামুতে আসার ৪/৫ মাস পর হঠাৎ করেই একটা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউটে ভর্তি হলাম। ওখানে বেশ ভালোই ধারণা হলো। সেই সুবাধে নেটেও নিয়মিত বসা হতো। ধীরে ধীরে আবিষ্কার করলাম, এখানে শুধু সাহিত্যপ্রেমী আর লেখকরাই নন, ওয়েবের অনেক টেকনিক্যাল লোকও নিয়মিত আসনে, পোস্টান এবং ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো অন্যকে সহায়তাও করেন।
আমার প্রথমে চোখ পড়লো ত্রিভুজ নামক এক ব্লগারের প্রতি। দেখলাম তাঁর ব্লগে অনেক অনেক তথ্য।
এডসেন্স নিয়ে আমি উঠে পড়ে লাগলাম। এক একটা পর্ব পড়ি আর সেই অনুযায়ী রাত জেগে পাগলের মতো চেষ্টা চালাই। আমাদের মহান নেট স্পীড-এর কারণে দশ মিনিটের কাজ করতে মাঝে মাঝে দশ ঘণ্টাও ওভার হয়ে যায়... ।
এভাবে করতে করতে ব্লগস্পটে কয়েকটি ব্লগ খুললাম। এবং এডসেন্স-এর জন্য আবেদন করায় তা এপ্রুভও হলো। মহানন্দে ব্লগ প্রতিদিন কয়েকবার করে আপডেট করি। সাইবার ক্যাফে বসে নিজের ব্লগ দেখি, এডে ক্লিক করি, বন্ধুদের বাসায় গিয়ে এডে ক্লিক করি। পরিচিত যতো জন আছেন সবাইকে কয়েকবার করে এসএমএস করে ব্লগের এড্রেস দিই... এডসেন্স-এ প্রতিদিনই ডলার জমতে থাকে...
আহা কী আনন্দ...
এভাবে করতে করতে মোটামুটি ১৭ দিনে আমার একাউন্টে ব্যালেন্স জমা পড়লো ৩৯ ডলার সামথিং। আমি আনন্দে মাতোয়ারা... মাথায় শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে কীভাবে আরও আর্ন বাড়ানো যায়।
এক বন্ধু নিয়মিত ব্রিটিশ কাউন্সিলে যায়। তাকে বার বার রিকোয়েস্ট করিয়ে একদিন ওখানকার ক্যাফেতে বসালাম। অনুরোধ করলাম এডে ক্লিক করার জন্য। সেও ক্লিক করলো। হিসেব করে দেখলাম তার মাত্র ৭ ক্লিকে ৯.৭৫ ডলার জমা হয়েছে...
কী খুশি !!
এভাবে করতে করতে একদিন রাতে এডসেন্স-এর ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে দেখি...
অনেক অনুনয়-বিনয় করার পরও কিছু হইলো না। পরে এক এই ব্লগেরই একজনের পোস্টে জানলাম... তিনি তার অভিজ্ঞতা এবং আহিরত জানা থেকে জানেন, গুগল আজ পর্যন্ত ইনএকটিভ একাউন্ট একটিভ করেনি। শুধু একজনের টাকা ফেরত দিয়েছে। অন্যথায় যার একাউন্ট ব্যান হয়, আর্ন করা ডলার এবং একাউন্ট দুটোই বাদ হয়ে যায়।
২.
গুগলের উপর আমি মহাবিরক্ত... ।
ব্লগার ত্রিভুজের উপর আরও বিরক্ত।
এক. তার লেখা পড়ে অনেক সময় নষ্ট করে আর্ন করা টাকা জলে গেছে।
দুই. তাকে অনেকগুলো মেইল করেও জবাব না পাওয়ায়...
একক সময় সামুর উপরও রাগলাম। কেন, কে জানে?
৩.
আলু ব্লগে তখন আমি নিয়মিত।
ওখানেই এক ব্লগারের পোস্ট পড়ে এডসেন্স-এর উপর রাগ কমলো, ভুল বোঝাবুঝি কমলো।
আমি নতুন উদ্যমে নামলাম।
এই ব্লগারের নাম হাসান- জিন্নাত উল হাসান। থাকেন লন্ডনে। জব এবং হবি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও।
আবারও ব্লগার.কম-এ দুটো ব্লগ বানালাম। এক বন্ধুর নামে এডসেন্স-এর জন্য আবেদন করলাম। এটা এপ্রুভ হলো। এবার খুব বুঝে শুনে পোস্ট দিতে লাগলাম।
এবং আমি যে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করি তা ভুলেও কাউকে বললাম না।
ফ্রি বইয়ের উপর একটি ব্লগ বানালাম। আরেকটি ওয়েব টিউটোরিয়াল নিয়ে।
গুগল এবং এরকম বিভিন্ন জায়গায় সার্চ দিয়ে যেখানে বইয়ের লিংক বের করে ফ্রি বইয়ের ব্লগে জুড়ে দিয়ে পোস্ট দিই।
আর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট-এর এখানে যা শিখেছিলাম তা দিই নেটমাস্টারওয়ার্ল্ড নামক একটি ব্লগে।
এভাবে করতে করতে ট্র্যাফিক-এ দেখি গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকেও ইউজার পাচ্ছি। কিন্তু আশানুরূপ নয়। বুঝলাম এবার নিজস্ব সাইট দরকার। কিনলাম দুটো ডোমেইন+হোস্টিং। ব্লগ সাইট দুটির দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলাম যে বন্ধুর নামে এডসেন্স করা তাকে। বুঝিয়ে দিলাম কীভাবে পোস্ট দিতে হয়, কীভাবে অপারেট করতে হয়। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। পড়া ছাড়া আর কিছু যে দুনিয়াতে আছে তা তার মাথায় ঢুকে না। কিন্তু বন্ধুর কথা চিন্তা করে সে দায়িত্ব নিলো।
গুগল নিয়ে অভিজ্ঞতাগুলো রাতে লিখবো...
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
পরের পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:০৮