পানি! পানি!! সফরে এবার আনবই আমি পানি
শুকনো পদ্মা তিস্তার বুকে নামবে ঢল জানি
বাঁধলো আশায় বুক মানুষে, বাঁধলো পশুপাখি
আসবে এবার সুখের দিন নহবত ওঠে বাজি!!
সাজ সাজ রব চারিদিকে, আহা খুশির কলধ্বনি
শুরুতেই হোঁচট একি কথা! কি করেই তা মানি!
স্বাধীন দেশের প্রধান তরে এ কেমন রিসেপশন
প্রধান নাই, প্রটোকল নাই প্রতিমন্ত্রী করে গ্রহণ!
ধুর ছাই, নিন্দুকেরই কথায় দিলাম বাঁশ
আপন ভেবে নিলেই আপন প্রটোকল হোক নাশ!
তাও নিলাম মেনে আশার জোয়াল টেনে
যদি কিছু মেলে, না হয় এবার নেব সবই মেনে!
বায়ান্নর চেতনায় বাজ; একি! কেন হৃদয়ে রক্ত ঝরে
ওমা! প্রধান দেখি বক্তিমাতে গর-গরিয়ে হিন্দি ঝাড়ে!!
শুনি, আবেগ ভরা অভিমানের কথায় সেকি ঝাঁজ,
দেয়নি? তাই রাগ করে খাননি নাকি পেঁয়াজ!!!
রাজকথা কি এমনি হয়? আইজদ্দি ভেবে মরে
ময়নার মাতো এমনেই কয়! জানবে সে কি করে?
মাটি চাপা দিয়ে সবেই তবু আশায় বাঁধে বুক
না হয় খানিক হল অপমান, ভুলে গেলাম শোক।
বিস্ময়ে সব হয় হতবাক চুক্তি সারা হলে
দিলোনা এক ঘটি জল, ছলে উল্টো কেড়ে নিলে !
ছোট্ট নদী ফেনীর জলেও শকুনিরই চোখ
না দিয়ে উল্টো কেড়ে নিল! কেমন বন্ধু মূখ?
ছাইপাশ যা চুক্তি সবই দেখি তাদের তরে
আশার বেলুন চুপসে গেল আমজনতার ঘরে;
গ্রীষ্মে মরু, বর্ষায় ভাসা অকাল বানের জলে
স্বাধীনতার এই কি চেতন? ক্রোধে হৃদয় জ্বলে।
ভাতে মারবো পানিতে মারবো বলেছিলে পাকিদেরে
আজ হে পিতা, তোমার সন্তান মরছে সেই সে ফেরে!
ফারাক্কা আজ এক অভিশাপ, টিপাই, তিস্তা শত
অভিন্ন সব নদীতে বাঁধ দিচ্ছে শত্রু নিত্য।
আবার এসো, বজ্রকন্ঠে আবার দাও ডাক
এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম হায়দরী সেই হাক
জন্মসূত্রের চেয়ে বড় আদর্শের সন্তান
কেন বাংলা মায়ের কপালে আজ ঘোর অপমান?
বাঁচার মতো বাঁচতে হলে – জাগো বাহে কুনঠে সবাই
নইলে মরো হা-ভাতে সব, আমি একাই যাই লিখে যাই।।