তেত্রিশ বছর কেটে গেল- কেউ কথা রাখেনি!
কবি তো কবেই কয়ে গেছেন!
তবে কেন আবার মিছে ছলনায় ডাকো কুহকি ডাক
পতঙ্গতো আগুনে ঝাপিয়ে পড়বেই
বিছুটির মতো- মিলন শেষে স্ত্রীর হাতে মরণ জেনেও
মিলনের কি ছটফটানি!
আটপৌড়ে জীবনের স্বপ্নতো যাদুঘরে
কিংবা সোদা গন্ধ মাখা মাটির পথের অচিন গাঁয়ে!
নগর আর নাগরিক জীবনে স্বপ্নগুলো কর্পূর আয়ু
মনে পড়ে? ঝি ঝি ডাকা সন্ধ্যার আধারে
কুপি জ্বলা আলো আধারিতে
ঘোর লাগা চাহনি
আঙুলে শিখা কাটাকাটি খেলা!
অত:পর কামনার শিখায় তৃপ্তির জ্বলন
মিলনের উচ্ছাসকে লজ্জ্বার ফিসফিসানিতে লুকিয়ে
বুনো ঘোড়ার নি:শব্দ দুরন্ত দাবড়ানো
জোছনারা লুকিয়ে পড়ে বাঁশ বাগানে
ডানা ঝাপটে চালের উপর ডাহুক ডাহুকি -
নাকের নোলকে খুশির ঝিলিক
আঁচলে মুছে দিয়ে ঘাম, শরম শরম চোখে আড়চোখে চোখাচুখি
লজ্জ্বা লুকোতে বুকে এলিয়ে পড়া, আহ্লাদী আদরে
যাহ দুষ্টু! বাকী কথারা হারিয়ে যায় অধর আদরে!
জলের ভেতর হাসফাস করে ভুস করে ভেসে ওঠার মতো
ছুটে যেতে চাও! গভির চুমোর গভিরতা থেকে!
ডেকে ওঠা পেঁচার দোহাই দিয়ে
আবার গুটিয়ে আসো আনমনেই বুকের গভীরে!
না না । অমন স্বপ্নের ফিনিক্স পাখিকে আর জাগিওনা!
এইতো বেশ আছি স্বপ্নকে স্বপ্নে সাজিয়ে!
[ বিখ্যাত গল্পকার, কবি, ব্লগার শিখা রহমানের কবিতা তোমাকে পেলে] পড়ে জনম এ কাব্যের।
সকল প্রশংসা আর কৃতজ্ঞতা মূল কবি আর কবিতার
ছবি ঋণ: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬