১ম পর্ব
সাঁতার!
২য় পর্ব
গমন:
জলজ সন্তরনশীল জীবন
আহ! ঢাকার চেয়েও বেশি ঘনত্বেও
সব্বাই কি মূখোশে মিলেমিশে থাকা!
সত্যটা যেদিন প্রকাশ হল- উফফ
কি প্রচন্ড গতিতে ইচ্ছেয় অনিচ্ছেয়
সবাই ছুটছিলাম দিকবিদিক-হাশরের ময়দান যেন
ইয়া নাফসি ইয়া নাফসি সেই তখনই চেনা
অজানা গন্তব্যে সব কেমন মোহাবিষ্ট গতিময়!
সহসা খূলে যায় ভুবন চুরাশির গুপ্ত ওহিভেদ
পলকে প্রলয়ে-সৃস্টি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্রানু সময়
আলোক গতির চেয়ে দ্রুততায় ফায়সালা
উৎক্ষেপনের পর যেন সাত সমুদ্র তের নদী....
পুলসিরাত – নীচে মৃত্যু পার হলেই জীবন
তীব্র ঝলক গতিতে ছুটছি কোটি কোটি
ভাবনা ক্লান্ত হতে–হতে-হতাশার মূখেই আলোকিত দরজা
এক পল মাত্র। ঝূপ করে নেমে এল আঁধার!
৩য় পর্ব
গর্ভ ভুবন: মৃত্যু জনম
আমি মৃত। আমি জীবিত।
বিস্ময়ানুভব!
এক জলাশয় ছেড়ে আরেক জলাশয়ে
বদ্ধ কপাটের এপারে আমার সংগী কাউকে পাইনা!
নতুনাভরনে-পাই আমার আমিকে!
পূর্বস্মৃতি কিছু মনে পড়ে না!
শুধু প্রচন্ড গতি,
ভয় আর স্বপ্ন আবছায়া কাঁপিয়ে যায়;
বেশ উষ্ন এক ভুবনে আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠি
চারপাশে কত আয়োজনে আমি যেন আমি হতে থাকি।
কিছু একটা মিশে যায় আমার মাঝে
শিহরিত হই.. অতপর অসস্ত্বি কেটে গেলে
অভ্যস্ততায় মুগ্ধ জীবন! সময়ের প্রয়োজনে।
৪৬টি ক্রোমোজোমে ৩ বিলিয়ন জেনম কোড
ঘোরের মতো বা স্বপ্নাবেশে গড়তে থাকে অবয়ব!
কত সময়? এক দিনে হাজার বছর রহস্য
কিংবা পঞ্চাশ; অংক জানিনা, শুধু অনুভব প্রলম্বিত হয়
সহসা যেন ঘুম ভেঙ্গে যায় –অবাক নিজানুভবে
আরেহ! আমি কি এমনই ছিলাম অনন্তে!
এক শেকলে বাঁধা গার্হস্থ্য জীবন!
নড়ে উঠতেই দেখি কেপে ওঠে ভুবন
ভয়ে চুপসে যাই! দুনিয়া আবার চলে স্বাভাবিক।
এক অদৃশ্য শক্তি যেন ক্রমশ বাড়ছে নিজের ভেতর
খুব ছুটতে ইচ্ছে করে! হাত পা ছোড়ার আকুল চেষ্টা
বন্ধ চোখেই সব দৃশ্যমান অনুভবে।
স্বপ্ন যখন আকাশ ছুঁয়ে যায়
পূর্নতা যেন পুরোনোর প্রলয়েই শুরু হয়
এক অদম্য মুক্তি কামনায় খোলস ছাড়তে চাই
জনম জনমের ছায়া যেন খেলে যায়
সেই একই খেলা ভাঙ্গা গড়া, লয়-প্রলয়, মৃত্যু-জন্ম!
চীৎকার করে উঠি! হাত-পা ছুড়তে থাকি
কান্না, ছোটাছুটি, তীক্ষ্ণ সাইরেন, দ্রুত গতি
আত্মার কান্না, ভগবানের কান্না ওভারল্যাপ হয়ে যায়
যতটা দ্রুততায় চাই ততটাই বাঁধা যেন আটকে ধরে-
মুক্ত হতেইঃ অসীম শূন্যতা ঘিরেধরে সহসা; তারস্বরে কেঁদে উঠি!
ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯