সেদিন নিশূতি রাতে
হঠাত এক পলকা হাওয়ার ছৌঁয়ায়
কেঁপে উঠেছিনু!
তবে কি- তোমার দীর্ঘশ্বাসই?
একই আকাশ একই চাঁদ একই তারা
গায়ের আটপৌড়ে হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস কি পৌছায়
তোমাদের পাষান প্রাচীরের
উচু উচু শহরে!
জোনাক জ্বলা রাতে বিরহী প্রিয়ার কষ্ট
ঝা তকতকে শহরে কি অনুভুত হয়?
বৃত্তাবদ্ধ কষ্টের বৃত্ত - বড় হতে হতে~ হতে হতে
মিল্কিওয়ে ছাড়িয়ে গেল,
তোমার ঝুল বারান্দা থেকে
আমার মাটির উঠোন
তারচে কত বেশী ব্যবধানে; আজো ভিনগ্রহবাসী করে রাখে!
অথচ হৃদয়ের অলিন্দে
তোমার কি দারুন জলকেলি
রার্জষী হংস মিথুন সম
গ্রীবা উঁচু করে বাঁকা চাহনীতে আলতো করে
চকিত কপট দৃষ্টি হানো -দুষ্টুমিতে --
আলতো ছোঁয়ায় কেঁপে ওঠে সমস্ত অস্তিত্ব
শিহরন রোমে রোমে.. স্বর্গীয় অনুভুতি
চোখে চোখ হাতে হাত
মৃদু আলোয় হালকা সুর মুর্ছনায়
মিশে গেলে দুটি হৃদয়- আমি স্বর্গের সিড়ি দেখেছি।
স্বপ্নগুলো শিশিরের মতো
আগলে রাখি রাতের শীতলতায়
সূর্যালোকে হারিয়ে যায় বলে...
তুমি জোছনা ভরে এসো-স্বপ্ন সত্যি হয়ে যাবে।
আসবে কি?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১২