(১)
আমি আসবো বলেই তোমার সাজানো বাগানে
আঁধারে হঠাৎ ঝলকানীতে আমার আগমন
তোমার স্বর্গীয় খুশিটুকু হৃদয়ে আঁকা আছে
রাজ্যের বিস্ময় নিয়ে চোখ মেলে
প্রথমেই দেখি সেই স্বর্গীয় দ্যুতি মাখা
ক্লান্ত অথচ কি সজীব, পরম আগ্রহে ঝুকে চেয়ে থাকা
তোমার মুখটি। প্রথম স্পর্শ তোমার ঠোটের
আদর, ভরসা, আনন্দ আর পৃথিবীর প্রথম ছোঁয়া - আমার মা।
আমাকে আগলে রাখতে গিয়ে কতবার, কতবার
তুমি বিপন্ন করেছো আপনাকেই! ভ্রুক্ষেপহীন
আমাকে নিরাপদ পেয়েই তোমার সেকি উচ্ছাস!
আমার কচি চোখ ভরে যেত জলে।
তোমার এত ভালবাসার প্রকাশ- কত কি যে বলতে চাইত মন
তাই তোমার পানেই চেয়ে থাকা অনিমেষ:
তোমার চোখ, ঠোট নড়া.. তোমার আকুতি
সোনা - মা বলো, মা.. মাম্মা, আম্মি, মা
যেন পাহাড় খুড়ে সোনা তোলার চেয়েও কষ্টে
আমি চেষ্টা করি-অন্তহীন
একদিন তোমার ঠোটে তাল মিলিয়ে আমার চেষ্টা
সফল হয়- আধো বোল বেরিয়ে আসে একটি শব্দ - মা!
তুমিতো যেন খুশিতে পাগল হয়ে গেলে
আমাকে শূন্যে উঠিয়ে কোলে ঝাপটে ধরে
কত শত চুমুতে মূখ ভরিয়ে -তোমার সেকি চিৎকার
সবাই জড়ো হয়ে গেল- তুমি চোখে জল নিয়ে বলতে পারছো না যেন
বাবু - মা বলেছে! সবাই অবাক! এই পুচকি!
কারো চোখে অবিশ্বাস! আমাকে ধরে টানা হেচড়া ..
ওফ কি কষ্ট! সবাই একই কথা বলে
কিন্তু তোমার সেই মধূরতা নেই। আমিও চুপ।
আবার তুমি আদরে বুকে নিলে।
বুকের ওমে গন্ধে আমি নিশ্চিন্ত হয়ে
তোমার দিকে চেয়েই আবারও বলি- মা!
তুমি আনন্দে চোখে জল নিয়ে আবারো সেকি আদর!
পৃথিবীটা শুধুই তোমার আর আমার!
(২)
সময়ের নদীতে জল বয়ে যায়
তোমার হাত ধরে থির দেয়া, প্রথম একা একা দুপা ফেলা
অত:পর দূরন্ত তোমার দুষ্টু সোনা
সারা দুনিয়ার সবই পর ছিল- তুমি ছাড়া!
তোমার হাতে প্রথম বর্ণমালা
কলম ধরে লিখতে শেখা
স্বর্গমত্য পূরণের যত আবদার তোমার কাছেই
তুমি যে জননী, স্বর্গাদপী গরিয়সি! তুমি যে মা।
পদে পদে তোমার আকুল প্রার্থনা
তোমার অন্তহীন শুভকামনা, আর আর্শীবাদে
আমার স্বপ্ন দৃঢ় হয়।পূর্ন হয় পূর্ণ স্বপ্নের পথে-
বড় হয়ে হব তোমার মনের মতো মানুষ
একজন আদর্শ মহান মানুষ-
তুমিই যে আমার সেই স্বর্গীয় প্রেরণা।
@মা ! তুমি কত দূরে? কোন অজানায়? কোন তারা দেশে গিয়ে বসে আছো? তুমিকি দেখতো পাচ্ছো- তোমার পাকনুটা আজ কতকিছূ ভাবতে পারে! তোমার অনুভবকে হৃদয়ে ধরতে চেষ্টা করে। মাথার চুলে নেড়ে দিয়ে বলবে না- পাগলা!!!
যেখানেই থাকো ভাল থাকো মা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫