বুকে হাত দিয়ে বলো -
আমি ইশ্বর
কারো প্রতি বিভাজন করেছি?
ঐ খোলা হাওয়া, ঐ বিস্তির্ন আকাশ, নদীর জল,
প্রকৃতির অকৃপন দান বিস্তীর্ন ভূমি বহু মাত্রিক, ফুল ফল ফসল
জলজ প্রাণী ও মনি মানিক্য, শুধু মানুষ নয় সকল প্রাণীর খাদ্য চক্র
বর্ষার বৃষ্টিতে, সকালের রোদে..জাতি ধর্ম বর্ণহীন কি অসাম সাম্যতা......
জাত পাত ভেদে অক্সিজেন কি ভিন্ন হয়? বলো
কিংবা তোমাদের পরিপাক তন্ত্রে কি
সামান্যতমও পার্থক্য পাও? জলের তৃষ্ণা নিবারক তৃপ্তি
সকল কিছুতেই কি সাম্যতা দেইনি? দৃষ্টি মেলে দেখো। অথচ তবুও .....
তোমাদের দিয়েছি জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বিবেক মনুস্যত্ববোধ
মানবতা, মায়া, মমতা, দিয়েছি ভাল মন্দ জ্ঞান~~
প্ররোচিত সত্ত্বায় যদি নিজেরাই বদলে যাও
লোভ, লালসা, কৃপণতা, ঘৃণা, হিংসা
আমার সব নিষিদ্ধ সম্পদে তোমাদের যত চর্চা
চর্চাটাও কিন্তু তোমাদেরই- অথচ দায় টুকু চাপিয়ে দাও স্রষ্টায়!!!
এ ভীষন অন্যায় নয়?
ঈশ্বর দেয়নি খিল-দিয়েছিতো তোমরা!
নিজেদের স্বার্থপরতার চাদরে ঢেকে-
সর্ব বিরাজমান ইশ্বর সবই দেখেন
রুটির টুকরো খোঁজা শিশুকে যেমন,
পাশ কাটিয়ে নাক চেপে চলে যাওয়া তোমাকেও তেমন?
ক্রুদ্ধ ইশ্বর যদি তোমার টুটি চেপে ধরে জিজ্ঞেস করে
কেন থামোনি?
কেন তোমার দামী হাত ঘড়ি
স্যামসাং গ্যালাক্সি বেঁচে দিয়ে দাওনি তার আহার!
কেন নাওনি উদ্যোগ তার পুনবার্সনের?
প্রিয়তার জন্যতো ঠিকই -আকাশ মর্ত্য জয় করে বিজয়ী হও
ঐ ডাস্টবিনের পাশে অবহেলিত মানবতার জন্য
কেবলই যান্ত্রশীতল হাওয়া খেতে খেতে
সুশীল আক্ষেপ আর স্রষ্টার প্রতি কিচর ছোড়া!!!
শেইম- তুমিও তাদেরই মতো? কেবল ! নও?
মন্দির মসজিদে য়খন আমার নীতির বাত্যায় হয়
নজরুলের ক্রুদ্ধ চিৎকার কি শোননি?
তোমার কর্মের কতটুকু অংশ ব্যায় করেছো
মানবতার সেবায়, সৃস্ঠার প্রেম পূর্ণতায়?? আমিকি বলিনি আমি- সকলেতেই?
সভ্য দাবী কর তোমরা?
ভন্ড হিপোক্রেট?
আমার মহাজাগতিক সাম্যাবস্থায়- জাররা পরিমান ভিন্নতা নেই!
অথচ নিজেরাই -সৃষ্টি করে পাহাড় সম অসাম্য
ভোগ আর লিপ্সার চক্রবুহ্যে- প্রকৃতির সাম্যতাকে করো বিনষ্ট
চীৎকার করে বলো আমি নাকি ছুটিতে
আমি নাকি বিকারহীন
আমি নাকি অন্ধ
আমি নাকি প্রতিক্রিয়াহীন!!!
আমি সর্বত্র ন্যায়, সাম্যতা, আর প্রেম নিয়েই
আছি থাকব অন্তহীন
পারোতো সেই পথে হাটো-আমি ঘুমাইনি,
আমি ভূলেও যাইনি
এগুলোতো তোমাদের দুর্বল মনের দুর্বল ভাবনা মাত্র।
যখন ক্রুদ্ধ প্রকৃতি রুদ্ররোষে ফেটে পড়ে
তোমাদের তিলতিল জমা নষ্ট কাজের ভারে ক্লান্ত প্রকৃতি
যখন সুনামী ঝড় জল জলোচ্ছাসে
ঝাপিয়ে পড়ে তোমাদেরই উপর
জোনে তা তোমাদের কর্মের ফলেই-
আয়নাতে দেখো
ছুটি নিয়েছো তোমরা,
তোমাদের বিবেক,
তোমাদের নীতি নৈতিকতা
তোমাদের দায়হীনতা,
তোমাদের পলাতক মনোবৃত্তি
তোমাদের পাশ কাটিয়ে চলা,
তোমাদের স্বার্থান্ধতার ঠুলি পড়ে চলা
আর কত বলব- নিজেরাই দেখে নাও আত্মায়নায় আত্ম জিজ্ঞাসায়।
দিশহারা রাজপুত্রের হ্যালো ঈশ্বর! আপনি কি বাড়ি আছেন? পড়ে - আহবানে সাড়া
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪