শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদতের পরে তিনি জনগনকে বাচাতে রাজনীতিতে আসতে বাধ্য হন। অথচ রাজনীতির প্রতি তার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু দেশ তার কাছে ছিল পরিবারের চেয়েও বড় কিছু। তাই মানুষের ডাক তিনি উপেক্ষা করতে পারেননি।
টানা ২৯ বছর তিনি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এ পর্যন্ত যতগুলো আসনে নির্বাচন করেছেন তার সব কয়টাতেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। পরাজয় তার ইতিহাসে নেই।
দেশের জন্যে ত্যাগ কাকে বলে সেটা জানা যায় জীবনী থেকে। একাত্তরে স্বামী গেছেন রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে আর তিনি বন্দী থেকে পাকিস্থানীদের নির্যাতন সহ্য করেছেন। কিন্তু কখনো বিরাঙ্গনা হিসেবে বাড়তি কোন শ্রদ্ধা বা সুযোগ সুবিধা তিনি দাবী করেননি।
তার সময়ে যত রাস্তা, ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট তৈরী হয়েছে বাকী সরকারের সময় যোগ করেও এতগুলো তৈরী হয়নি। তিনি দেশের সবচেয়ে বড় সেতু যমুনা সেতু তৈরী করে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তিনি স্বামীর মতই দক্ষভাবে পাকিস্থানসহ মুসলিম বিশ্বের সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্ঠি করেন। যার ফলে কোটি কোটি মানুষ আজ আরব বিশ্বে চাকরি করে দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে।
এটা তার রাজনৈতিক দুরদর্শিতা, প্রজ্ঞা আর বিচক্ষনতার ফলেই সম্ভব হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন দক্ষ কুটনীতিক এবং দার্শনিক বটে।
তার সময়ে দ্রব্যমুল্য মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে রেখেছিলেন। তিলে তিলে কষ্ট করে তিনি দেশটাকে সন্ত্রাস, দূর্নীতি ও দারিদ্রমুক্ত করেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে সে অনেক উদার ও বড় মনের মানুষ। যদিও ছাত্রজীবনে সে বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি তবু সে ছিলেন অনেক মেধাবী ছাত্রী। দিনাজপুর সরকারী স্কুল ও কলেজ থেকে তিনি কৃতিত্বের সাথে ম্যট্রিক, আইএ ও বিএ পাস করেন।
সরকার পরিচালনায়ও তিনি মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি দুই পুত্র সন্তানের গর্বিত জননী। তার বড় পুত্র তারুন্যের অহঙ্কার দেশের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান বর্তমানে বিএনপির নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান।
ছোট পুত্র আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের সাথে জড়িত। দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে তার রয়েছে বিপুল অবদান।
বেগম খালেদা জিয়া দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন এবং নিয়মিত রোজা রাখেন। তিনি বহুবার পবিত্র হজ্জ্ব পালন করেছেন। এছাড়া প্রায় প্রতিবছরই ওমরাহ পালন করে থাকেন।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে তিনি যেন এই মহিয়সী নেত্রীকে দীর্ঘ আয়ু দান করেন। আমীন।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:১৪