১. কোটা আন্দোলন থেকে যে শেখ হাসিনার মত স্বৈরাচারের পতন হবে তা কেউ ১ দিন আগেও কল্পনা করতে পারেনি। পতনের ২ সপ্তাহ আগে আমি সামু'র ফেসবুক পেজে লিখেছিলাম, শেষ পর্যন্ত কি পচা শামুকে পা কাটবে? হলোও তাই। যে কাজ বিএনপি জামায়াত হেফাজত ১৫ বছরে করতে পারেনি সে কাজ ছাত্রদের একটা ছোট আন্দোলন থেকেই হয়ে গেল। অবশ্যই সাধারণ জনতারও অংশগ্রহণ ছিল...
২. শেখ হাসিনার পতন/পলায়নের পর তেনার সমর্থকদের ঘোর এখনও কাটছে না। যদিও পাপের পরিমাণ এত বেশী ছিল যে, অনেক আওয়ামীলীগারও এখন বাস্তবতা মেনে নিয়েছে এই পরিণতির জন্য। আওয়ামী সমর্থক পত্রিকা চ্যানেলগুলোর রূপ বদলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে নিজের দল ও সমর্থকদের দীর্ঘদিনের জন্য বেকায়দায় ফেলে দিলেন...
৩. অথচ এত বড় বিপর্যয়ের পরও আওয়ামী ফেসবুক বিপ্লবীরা থেমে নেই। প্রতিদিন তেনারা স্বপ্ন দেখছেন শেখ হাসিনা আবার ফেরত আসবে। তাই কোন দিন হাসিনার পদত্যাগ পত্র, কোন দিন ড. ইউনুসের সুদ, কোন দিন নাহিদের বাবা, কোন দিন আসিফের বান্ধবী, কোন দিন রিজওয়ানার পিতা, কোন দিন আসিফ নজরুলের ৩ বউ, কোন দিন পাহাড়, কোন দিন সংখ্যালঘু, কোন দিন সমন্বয়কদের ঝগড়া, কোন দিন টাকার ভাগ, কোন দিন শিবির কানেকশান ইত্যাদি নিয়ে পোস্ট প্রসব করেই যাচ্ছে...
৪. আচ্ছা, যত কিছুই হোক, যত ষড়যন্ত্র তত্ত্বই তৈরি করা হোক, যত ব্যর্থতাই বের করা হোক না কেন - এসব লিখে কী শেখ হাসিনাকে ফেরানো সম্ভব? দেশের মানুষ আর ছাত্ররা তখন আঙ্গুল চুষবে? শেখ হাসিনা ফেরত আসলে যাদের ক্ষতি হবে তারা সেই পরিবেশ(দেশে ফেরার) সৃষ্টি করবে? ড. ইউনুস ফেইল করলে বড়জোর আর্মি ক্ষমতা নিবে - এর চেয়ে তো বেশী কিছু না। তারপরও শেখ হাসিনার আবার এ দেশে আসা শুধু মুশকিলই নয় , না মুমকিন হবে...
৫. মেসি আর রোনালদোর ফ্যানদের মধ্যে অনেক বছর ধরে বিতর্ক হত কে সেরা সেটা নিয়ে। সর্বশেষ মেসি বিশ্বকাপ জেতার পর সেই বিতর্কের অবসান হয়। এখন আর ঐসব আলাপ তেমন বেগ পায় না। যদিও কিছু অন্ধ সমর্থক চেষ্টা করে রোনালদো সেরা সেটা বলতে, কিন্তু মেসি ফ্যানরা একটা ছবি দিয়েই তাদের থামিয়ে দেয়। তা হল, মেসির হাতে বিশ্বকাপ। এখন আওয়ামী ফেসবুক বিপ্লবীরা যাই বলুক না কেন, আমাদের হাসিনার পালানোর ছবিটা দেখিয়ে দিতে হবে আর বলতে হবে পালাইছে রে পালাইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে...