১. খালেদা জিয়ার বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই হয়তো উনার খেয়াল নেই যে, দেখতে দেখতে আরো একটি রোজার মাস চলে এল। বিগত কয়েক বছর যাবৎ উনার কমন ডায়ালগ ছিল রোজার পর সরকার পতনের দুর্বার আন্দোলন হবে। আমরা অন্ধ বি এন পি ভক্তরা প্রতি রোজার আগে আশায় বুক বাঁধি, আর ঈদের পর হতাশ হই। উনি আমাদের মনের ব্যথা বুঝেছেন। তাই এবার আর এ কথা বলেননি(এখনও পর্যন্ত)। তবে উনার বুড়া নেতাগুলো (যেমন- মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, মির্জা ফখরুল) এখনো মনে করেন সরকার পতন সময়ের ব্যপার মাত্র!
২. অনেক ইস্যু ছিল সরকার পতনের। কিন্তু প্রতিটা ইস্যুকে শেখ হাসিনা পাশ কাটিয়ে বীর দর্পে এগিয়ে চলেছেন। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচিত সরকারও এত আয়েশে থাকেনা যতটা আয়েশে এখন আওয়ামী লীগ আছে। বাংলাদেশ থেকে হরতাল, অবরোধ কে বিদায় করে দিয়েছেন। দেশের জন্য এটা একটা ভালো দিক। কারণ, প্রকৃতির নিয়মে যদি কখনো বি এন পি আসে ক্ষমতায়, তখন আওয়ামী লীগের হরতাল, অবরোধকেও একই ভাবে দমন করবে বি এন পি। যদিও আওয়ামী লীগ বিরোধী দল হিসেবে আন্দোলনে অনেক বেশী নৃশংস ছিল। তবু তাদের দেখানো ফর্মূলাতে বাংলাদেশে আর হরতাল, অবরোধ সফল হতে পারবে না বলেই মনে হয়।
৩. খালেদা জিয়া অনেক পুরানা রাজনীতিবিদ। উনি এতদিনে জেনে/বুঝে গিয়েছেন, স্থায়ী কমিটির মিটিং ডেকে, ২০/৩০ দলের সভা করে আর গ্রেফতারের ভয়ে ঘরে লুকিয়ে হরতাল ঘোষণা করে সরকারের পতন হয় না। কিন্তু দল যাতে ঝিমিয়ে না পড়ে আর তারেকের যেন বি এন পি প্রধান হতে সমস্যা না হয় তাই উনি এখনও নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মিথ্যা আশার বাণী দিয়ে চলেছেন। তবে সময় বড় নিষ্ঠুর। নেতা, কর্মী, সমর্থকরাও জানে সত্য যে কঠিন। কঠিনেরে ভালোবাসিল তারা।
৪. শেখ হাসিনা, '৭১ টিভি' সহ সবাই জানে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বি এন পি জিতবেই। যেভাবে খালেদা জিয়া এগুচ্ছেন তাতে মনে হয়না উনার নিজেরও কোন আগ্রহ আছে সরকার পতনের। তাই এবার একটা এসপার ওসপার লাস্ট স্টেপ নিন। নয়তো পদত্যাগ করুন। শারীরিক সমস্যার কারণ দেখিয়ে হলেও পদত্যাগ করুন। আর না হয় ২০১৯ এর জন্য প্রস্তুতি নিন। টক শো দেখা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি। আপনি আর আপনার বুড়াদের কথা শুনতে আর ভালো লাগে না। প্লিজ....