১. বেশীর ভাগ মানুষ মনে করে শেখ হাসিনা জীবিতাবস্থায় খালেদা জিয়া আর ক্ষমতায় যেতে পারবেন না। এমন একটা সেট আপ তৈরি করা যেটা একমাত্র বাইরের শক্তি বা আর্মি ছাড়া কারো ভাঙা সম্ভব নয়। আর্মিকেও ঠিক মত লাইনে রাখা হয়েছে।
২. প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭০। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ুর বেশী। উনার নিজের সন্তান সহ অনেক জুনিয়র সিনিয়র নেতারা এখন পরপারে। উনি ধার্মিক। তাই উনাকে এখন থেকে পরকালের চিন্তা করতে হবে। অবশ্য দেশের সেবা করার অধিকার যেহেতু উত্তরাধিকার সূত্রে উনি পেয়েছেন, তাই সেই সেবা করার সুযোগটুকু হাতছাড়া কেন করবেন উনি?
৩. দুইটি দুর্ঘটনার কারণে আমাদের দেশে পরিবারতন্ত্র চেপে বসে। যেটা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করা হয়নি তেমন ভাবে। মাঝে ১/১১ সরকার চেষ্টা করেছিল ব্যর্থ হয়েছে। যে অবস্থা চলছে মনে হয় আরো ২/১ প্রজন্ম এই ধারা ধরে রাখবে। দল চলুক দুই পরিবার দ্বারা কোন আপত্তি নেই। কিন্তু দলের বাকী পজিশনগুলো কেন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হবে না? আজকে যদি গণতান্ত্রিকভাবে ভোটের মাধ্যমে সব নেতা/প্রার্থী নির্বাচন করা হতো তাহলে কী এত সংঘাত, হানাহানি হতো?
৪. যেহেতু খালেদা জিয়া আর ক্ষমতায় না যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী, সেহেতু তিনি এখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কাজ করতে পারেন। কীভাবে? তিনি পুরো বি এন পি'র সদস্যদের ডিজিটালভাবে নিবন্ধন করবেন। সবাই গোপন ভোটে নেতা নির্বাচন করবেন। তারপর প্রতিটা ছোট থেকে বড় পোস্টে এই সমর্থকদের ভোটে নেতা নির্বাচন করবেন। এখানে যে জনপ্রিয় সেই নেতা/প্রার্থী হবেন। কারো সুপারিশ চলবে না। হয়তো কোন কোন স্থানে সমর্থক কেনা বেচা হবে, খুন খারাবি হবে, শো ডাউন, চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি হবে। তবে শুরুটা তো করতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে সবাই ঠিক হয়ে যাবে। এভাবে পুরো দলটাকে গণতন্ত্রের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। উনি বা তারেকের এতে ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কারণ, তাদের ভোটে হারানোর মত ক্যালিবার কোন নেতার নেই।
৫. একবার যদি বি এন পি এই সিস্টেম চালু করে তখন আওয়ামী লীগও এই সিস্টেমে যেতে বাধ্য হবে। আর তার দেখাদেখি বাকী দলগুলোও করবে। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি যদি দেশের জন্য এই একটা কাজ করে যেতে পারেন তাহলে দেশ অনেক উপকৃত হবে। এমনিতেও তাঁর আর চান্স নেই। তাই অন্তত এই কাজটা করে যেতে পারেন। দেশ ও দলের জন্য ভালো হবে। বাংলাদেশে উন্নতির পথে এক বাধা এই দলের মধ্যে গণতন্ত্র না থাকাটা। আশা করি উনি এটা নিয়ে কাজ করবেন।