somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাছুর

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শহুরে ফোকলোর

গনি মিয়া একজন গরীব চাষী । তার নিজের কোন জমি নেই । তিনি অন্যের জমি চাষাবাদ করে খায় । একদিন গনি মিয়ার একটি কালো রঙের ছাগল হারিয়ে গেল । গনি মিয়া , গ্রামের চেয়ারম্যানের কাছে তার ছাগল হারানোর বিষয়টা জানাতে গেলেন । চেয়ারম্যানের চ্যালা সাবু, গনি মিয়ার নাম, ইউনিয়ন, মৌজা, গ্রাম সব শুনল ।
তারপর জানাল চেয়ারম্যান সাহেব মিটিং এ ব্যস্ত আছে । গনি মিয়া এতদিন শুনে আসছে মিটিং মানে বড় মাঠের মধ্যে সব মানুষ আসে নেতায় বক্তৃতা দেয় মিটিং করে । চার পাচ জন মানষেও যে মিটিং হয় এইটা গনি মিয়া দেখে নাই ।

চেয়ারম্যানের এই সাবু চ্যালার নাম গনি মিয়া বহু মানুষের মুখে শুনেছে । এই সাবু চ্যালাই নাকি চেয়ারম্যানকে চালায় বুদ্ধি পরামর্শ দেয় । সাবু সারাদিন চেয়ারম্যান বুদু মিয়ার পেছনে ঘোরে । এটাই সাবুর কাজ । দিনশেষে এই কাজ করেই বাড়ীতে ব্যাগ ভরা বাজার নিয়ে ফেরে । ছনের ঘরের বদলে ইটের ঘর দিয়েছে সাবু । হালের গরু কিনেছে । কেউ এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাবু বলে আল্লাহ দিয়েছে ।
গ্রামের লোক যখন বলে আল্লায় খালি তোমাক একলায় দেয় হামারহেরে দিকে না দ্যাকে?
সাবু উওর দেয় - আল্লাক ডাকার মত না ডাকলে কি আর এম্নি এম্নি তোমাক আল্লায় দেবে ? উয়ার আর কাম কাজ নাই । গ্রামের লোকজন এই সাবুকে ডাকে সউদী সাবু বলে ।

সউদি আরবে যাবার জন্য দালাল কে টাকা দিয়েছিল । সাবু ভেবেছিল প্লেনে চড়লেই সউদি আরবে যাওয়া যায় । দালাল বিষয়টা বুঝে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরের টিকিট কেটে দেয় সাবুকে । ঢাকা থেকে সৈয়দপুর এয়াপোর্টে নেমে সাবু দেখে সব লোকজন বাংলায় কথা বলতেছে । আর আশে পাশে কোন মরুভুমি নাই খেজুরের গাছ নাই ।
এরপর সাবু ও বাবারে, মোর তামান টেকা মারি দিছে বলে চিৎকার দিয়ে এয়ারেপোর্টে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ।
তারপর এয়ারপোর্টের আনসার পুলিশ মিলে চ্যাংদোলা করে সাবুকে এনে এয়ারপোর্টের সামনের একটা ভ্যানে শোয়ায় দিয়ে ভ্যানওয়ালাকে মাথায় পানি ঢালতে বলে । সেই থেকে গ্রামের মানুষ সাবুকে সউদি সাবু বলে ডাকে ।

গ্রামে আর দুজন সাবু আছে একজনের নাম পাংকু সাবু । এই সাবু গ্রামের ছেলে, তার পড়বার কথা লুংগী বা ঢোলা প্যান্ট । কিন্তু তা না পড়ে সে সব সময় জিন্সের প্যান্ট পরে । ঢাকার ফুটপাতে সে হকারী করে । ঈদ পূজাতে গ্রামে গেলে জিন্সের প্যান্ট সানগ্লাস পড়ে ঘুরে বেড়ায় তাই গ্রামের মানুষ এই সাবুর নাম দিয়েছে পাংকু সাবু ।

তৃতীয় সাবু কে মানুষ ডাকে কুত্তা সাবু বলে । কুত্তা সাবু ডাকার কারন, এই সাবুর বাড়ীর সামনে দিয়ে হাটুরে মানুষজন রাত বিরাতে হেটে যাবার সময় কুকুরের দাবরানী খায় । সাবুর বাড়ীতে সারা বছর থাকে এক দল কুত্তা । তাই মানুষ এই সাবুকে ডাকে কুত্তা সাবু বলে ।

সউদি সাবু ভাংগা চেয়ারখানা গনি মিয়াকে দেখিয়ে নাম ধরে বল্ল তুই এলা এইঠে বইস মুই চেয়ারমেনক জানাইতেছ ওয়ায় যদি তোক ডাকে তো তুই এলা ভেতরে আসিস । এই কথা বলার সাথে সাথেই সউদী সাবুর মোবাইলে রিংটোন বাজতে থাকল সুরা ত্বীনের তেলাওয়াত -
ওয়া ত্বীনি ওয়া জাইতুনী ওয়া তুরি সিনিনা ...শেষ না হতেই সাবু কল রিসিভ করে অপর প্রান্ত কিছু একটা শুনে বল্ল বালটা বুঝিস কতার । যেইভাবে কইচো ওমনে কর । এরপর কথা চলতে থাকল ।

গনি মিয়া বিষন্ন বদনে বসে আছেন । দুর থেকে তার কালো রঙের হন্যা খাশি হারানোর মাইকিং এর শব্দ তিনি শুনতে পাচ্ছেন ।
যদি কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তি পেয়ে থাকেন .....
আর চেয়ারম্যানের রুম থেকে শুনতে পাচ্ছেন এ তুই য়েশকাপন মারলু ন্যাকা বালটা ।
গনি মিয়া শুনেছেন চেয়ারম্যান জুয়া খেলেন । আজকে হাতে নাতে প্রমান পেলেন । গত বছর চেয়ারম্যান হজ্ব করে আসছেন। গ্রামের মানুষ চেয়ারমেনকে তাসারু হাজী বলে ডাকে ।

গনি মিয়ার মেজাজটা এমনি বেশ তিরিক্ষি হয়ে আছে ছাগল হারানোতে । তার উপর পশমের বয়সী চেয়ারম্যানের চেলা তাকে তুই করে বলছে। গনি মিয়া নিজেই নিজেকে গালি দিচ্ছেন । সালার গরিবের চার পয়সার দাম নাই ।

এই সাবু চ্যালার বয়সী বা ওর চেয়ে বড় গনি মিয়ার পাচটি ছেলে আছে । একজন ভ্যান চালায় । একজন ঢাকায় গার্মেন্টস করে । একজন পকেটমার । একজন রিকশা চালায় । একজন কামলা কিষানী করে । পকেটমার ছেলে একদিন গনি মিয়াকে হাটের ভেতরে চেলা কাঠ দিয়ে বাড়ি দিয়েছে । যখন গনি মিয়া বলেছিল পকেটমারি ছাড়া আর কোন পেশা নাই ।
লোকজন না আটকাইলে গনি মিয়াকে হয়ত ছেলের হাতের মার খেয়ে সেদিন মরে যেতে হত । এখনো গনি মিয়া হাটের চাউল হাটির গলির দিকে যাইতে শরম পায় । পকেটমার ছেলে হাটের সকল মানুষের সামনে গনি মিয়াকে বলেছিল ছাওয়া জন্ম দিলেই বাপ হওয়া যায় মনে করছিস?
জন্ম দিছিস ভাত দিবার না পাস । এখন আসিয়া কইস এলা মুই কোন পেশা করিম!
গনি মিয়ার গ্রামের মওলানা সহ শীতের আগ্রহায়ন পৌষ মাসে আসা মওলানাদের কথা মনে হয়েছিল । এই জাউরা মওলানারা আসিয়া বলত মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি । আল্লাহর দুনিয়ায় কেউ না খায়া মরেনা । আল্লাহ সবার রিজিক দ্যান । এতগুলা সন্তান জন্ম দেবার পর গনি মিয়ার বহুদিন কেটেছে অনাহারে অর্ধাহারে । আকাশ থাকিয়া আল্লাহ রিজিক দেয় নাই ।


সউদি সাবু মোবাইলে কথা শেষ করে ভেতরে যায় । কিছুখন বাদে ফিরে এসে বলে -
গনি তোর তো কাম হয়া গেছে ?
গনি মিয়া - বুঝিয়া কও ? কি কাম হইছে ?
সউদি সাবু - তোর খাশি হারানোত চেয়ারম্যান সাব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে ।
গনি মিয়া - চেয়ারম্যান উদ্বেগ প্রকাশ করলে কি মুই খাশি পাইম ?
সউদি সাবু - পাওয়া না পাওয়া বড় কতা নয় । ওনার মত চেয়ারম্যান তোর খাশি হারানোত উদ্বেগ প্রকাশ করছে এটা বড় কতা ।
গনি মিয়া - যা বোঝার বুঝে যায় । জুয়ার বোর্ডের গপ্প কানে আসে টেক্কা খান মারলু হেনে !
গনি মিয়ার মনে পড়ে মেলা লোক নিয়া লন্চ ডুবছিল । তাতে বহু লোক মারা যায় । দেশের সরকার সহ বড় বড় লোকজন খুব উদ্বেগ প্রকাশ করছিল । চেয়ারম্যান আজ সেই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করল । চেয়ারমেনকে দেকার কতা আছে, মনে নিয়ে গনি মিয়া বাড়ির পথে হাটা ধরে ।

বেশ কয়েক বছর পর হাজী বুদু চেয়ারমেন তার মরা বাপের মৃতুদিবস পালন করা উপলক্ষে একশ গরু কিনে মানুষ খাওয়াবে তেমন নিয়ত গ্রহন করে । প্রায় ছয় মাস আগে থেকে মৃতু দিবসের প্লান প্রগাম শুরু হয় । ফোন কোম্পানীরা পর্যন্ত গ্রামে বিলবোর্ড বসায় দেয় । সেখানে লেখা থাকে -

"হাজী বুদু চেয়ারম্যানের পিতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, আলোকিত মুখ মরহুম হাজী নুনু মিয়ার প্রথম মৃতুবার্ষিকী সফল হোক ।
কাছে থাকুন
টেলিনর ইনডিয়া"
গনি মিয়া সহ গ্রামের বয়স্ক মানুষরা বিলবোর্ড দেখে বলাবলি করতেছে বুদু চেয়ারম্যানের বাপ ছিল সিধেল চোর সে আবার বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, আলোকিত মুখ হল কেমনে ?

ডিসি, এসপি, বিচারক, এমপি, বিচারপতি, মন্ত্রী বাহাদুর সহ মেলা গন্য মান্য লোক সহ পুরা গ্রামবাসী আসবে চেয়ারমেনের বাপের মৃতুবার্ষিকীতে সে এক এলাহী কারবার হবে । বুদু চেয়ারমেন গরু কোথায় থেকে কিনবেন সে নিয়ে এক বিশাল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।

গ্রামের গরুর খামারী কুত্তা সাবু জানায় সে একশ গরু দিতে পারবে । বুদু চেয়ারম্যান নাক সিটকায় । গ্রামের গরু দিয়া তার বাপের মৃতুবাষিকী হবে এটা কোন কথা ! কত বড় বড় লোকজন আসিবে দাওয়াতে ।
তারা এই গ্রামের গরুর গোশত খাইবে ?
সউদি সাবু, কুত্তা সাবুকে বলে চাম নাই কুত্তার বাঘা নাম তার ।
কেবা যেনা কচিল সেই হেনে কয়না ।
ইগলা স্পেশাল গরু নাগিবে তোর এই দেশী, দোনআসলা মাল দিয়া কাম না হইবে । তুই দৌড়ের উপরে থাক ।

কুত্তা সাবু সউদি সাবুকে গালি দিতে দিতে মিটিং থেকে উঠে চলে যায় । আর বলে দিন কি মোর আসিবা নয় । ওদিকে পাংকু সাবু সানগ্লাস পড়ে দুরে দাড়িয়ে তামাশা দেখে ।
পাংকু সাবু বলে - নিজের পকেটের টেহা দিয়া যেইহান থাহি মন চায় সেইহান থাহি গরু কিনমো ? হয় দ্যাশের ডা কিনমু নাইলে বেলজিয়াম থে বোলডার লয়ি আমু । আমাগো নিজেগো ব্যাপারে দরবেশ, বিবেক, নিংচং, আর ধর্ষবর্ধন বুদ্ধি দেওনের, কতা কওনের কেডা?
বুদু চেয়ারম্যান - তুই বেডা বুঝবিনা । ইগলা সোজা বিষয় না । দিন দুনিয়া সম্পর্কে তুই কিছু জানিস না ।

এরমাঝে ঢাকার এক বিখ্যাত গরু আমদানী কোম্পানী ট্যাকসিমকোর মালিক দরবেশ রহমান কালো পাজেরো নিয়ে এসে বুদু চেয়ারম্যানকে স্যার ডেকে বলে , আমরা আপনার গরু পৃথিবীর যেকোন দেশ থেকে এনে আমাদের অত্যাধুনিক খামারে রাখবো তারপর আপনার প্রয়াত পিতার মৃতুবাষিকীর দিনে এই বিশাল মাঠে সব গরু আধুনীক ট্রাক থেকে নামিয়ে আমাদের দরবেশ মওলানা দিয়ে জবাই দিয়ে, মেশিন দিয়ে মাংস কেটে আপনাকে দিয়ে চলে যাব ।
বুদু চেয়ারম্যান সৌদি সাবুর দিকে তাকিয়ে তাহলে কেমন হয় বিষয়টা ?
সউদি সাবু - ভাল তো অবশ্যই ! তবে আমাদের আর একটু ভাবিয়া দেখার দরকার আছে কি না ?
বুদু চেয়ারমেন - ঠিক ঠিক ঠিক ।
বুদু চেয়ারমেন ও সৌদি সাবু দুজনই আনন্দে আত্মহারা এত বড় কোম্পানীর মালিক তাদের কে স্যার ডাকতেছে ।
দরবেশ রহমান সউদি সাবুকে বলে স্যার আপনি আমার সাথে আমার গাড়ীতে চলুন একটা বিষয় দেখাবো ।
বুদু চেয়ারম্যান - হ্যা, সাবু তুমি বুঝিয়া আস -
সউদি সাবু গাড়ীর কাছাকাছি গেলে দরবেশ রহমান বলে - স্যার বুদু চেয়ারম্যান স্যারের এই গরু কেনার জন্য যে বাজেট সেখান থেকে ১০% আপনাকে দেব যদি আপনি কাজটা আমাদের কে দেন ।
সউদি সাবুর চোখ জ্বল জ্বল করে উঠল । চিৎকার দিয়ে ও বাবারে মোর তামান টেকা মারি নিছে সেই পুরাতুন কাহিনী মনে পড়ল । টাকার কষ্ট এ জীবনে তোর কম করে নাই সাবু ।
সাবু কথা দিল আপনারা পাবেন । দরবেশ রহমান সাবুকে নিজের ফোন নাম্বার দিয়ে বল্ল আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারটা আমাকে ম্যাসেজ করে দেবেন আমরা আজকেই আপনার একাউন্টে ৫% টাকা দিয়ে দিচ্ছি । আর যদি মনে করেন দেশের বাইরের কোন ব্যাংকে একাউন্ট খুলে পেমেন্ট নেবেন সেটাও করে দেয়া যাবে ।
সাবুর মনে হচ্ছে দুনিয়াতে টাকা কামাই এত সহজ । এই সহজ ভাবে টাকা কামাই বাদ দিয়া সৌদীত খেজুর গাছত পানি আর দুম্বা চড়ানোর জন্য যাইতে চাইছিল ।
সউদি সাবু - আপনারা নিশ্চিত থাকেন ।
দরবেশ রহমান ওকে স্যার বলে চলে গেলেন ।

এদিকে চায়নিজ এমবেসেডর নিজে গাড়ী ড্রাইভ করে চলে আসে মিটিং এ । বুদু চেয়ারম্যান ও সউদি সাবু কে নি হো বলে কথা শুরু করে । একশ গরু কেনার বাজেট শুনে একশ গরুর সাথে ২০টা গরু ফৃ দেবে বলে বুদু চেয়ারমেনকে জানায় । সউদি সাবুকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাজেটের ১৫% সউদি সাবুকে দেবে বলে আশ্বাস দেয় সাথে তার জন্য অতিরিক্ত ২০ টি গরু সহ আধুনীক ফার্ম করে দেবে বলে জানায় । বিদেশের ব্যাংকে টাকা নিতে চাইলে সেটাও করা যাবে । সৌদি সাবু খুব টেনশনে পড়ে যায় । বুকের মধ্যে ধুকপুক করে । চাইনিজ এমবেসেডর জানায় যদি কনফার্ম করেন তাহলে আজ বিকেলের মধ্যে জানাবেন

তারপর টেলিনর ইনডিয়ার বাংলাদেশের হেড বিবেক ঘুষ ও ইন্ডিয়ান হাই কমিশনার ধর্ষবর্ধন সিংগারা তারা দুজন চলে আসে । সাথে গিফট হিসেবে নিয়ে আসে আইফোন টুয়েলভ প্রো । তাদের দাবী যেহেতু আমরা বিলবোর্ড দিয়েছি আমরাই গরুর সাপ্লাই দেব পৃথিবীর বেষ্ট গরু । বিবেক ঘুষ সউদি সাবুকে আলাদা ডেকে নিয়ে দরবেশ ইসলামের মত ১০% এর অফার ও সাথে ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে আজকেই ৫% দেবার অংগীকার করে । সাবু পুরা কাইত ।

ডিসিশন ফাইনাল হয়ে যায়, এক সপ্তাহর মধ্যে একশ গরু কেনার টাকা ইনডিয়ান হাই কমিশনার কে দিয়ে দেয়া হয় । আর ব্যবস্থা পনার দায়িত্ব টেকসিমকোকে দেয়া হয় । সউদি সাবু তার ভাগ পেয়ে যায় । সব চুড়ান্ত এখন শুধু গরু আসবার পালা । নির্ধারিত দিনে বিশাল আয়োজন হিসেবে সব টিভি ক্যামেরা সব এসে হাজির হয় । ট্যাকসিমকো কোম্পানী বালুর ট্রাক থেকে নামায় এক খানা ছোট বাছুর । বুদু চেয়ারমেনের মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়ে । সউদি সাবু বুক চাপরে কান্না শুরু করে । সারা দেশের মিডিয়াতে খবর হয় ১০০ গরুর বদলে মাত্র ছোট্টু একটি "বাছুর" ।
গনি মিয়া সউদি সাবুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে আমি খুব উদ্বিগ্ন । উদ্বেগ জানাতে আসছি তোমার জন্য আর বুদু চেয়ারমেনের জন্য ।

পুনশ্চ : একটি কাল্পনিক গাজাখোরী কাহিনী । জীবিত, মৃত, বাস্তবতার সাথে কোন মিল নাই । কেউ যদি মিল পেয়ে যান তাহলে লেখক আন্তরীক ভাবে দু:খিত ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৮
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×