রক্তভেজা নোনতা গন্ধের অন্ধকার
পাজরের হাড় বের হওয়া রুগ্ন জয়নাল, সুশিল, ডেভিড, পুর্নাইয়া ভুগছে শত ব্যামোতে,
পথ্য নেই, তাদের একমাত্র ভরসা ভাগ হওয়া পরওয়ারদেগার ।
ওদিকে ডংকার বিলে চিলতে আলোতে দুপুর গড়াগড়ি করছে,
সে দুপুরে দাসখৎ লিখে দিয়েছে সাড়েং ।
তাই রক্তভেজা অন্ধকার ঘিরে আছে তল্লাট
কত সহস্র বছর চলবে এ মাৎসনায় কে জানে ?
কবি, বুদ্ধিজীবি, বেশ্যা, মোকতার বিদেশী কলের গানের অফিস
সবাই ডেসিমেলের হিসেবে প্লট পেয়েছে, ডংকার বিলের ধারে এক চিলতে আলোর কাছে ।
সেখানে প্রান জুড়ানো শিসা বিহীন ফুরফুরে বাতাসে,
গেলমানে, শরাবে, হুরে জয় জয়কার ।
সেখানে তোপধব্বনি, খাকি বদ্দির স্যালুট , সুরেলা আজান, পুরহিতের সন্ধার আরতি. চার্চের ঘন্টা
সব সমান তালে বাজে ।
ডংকার বিল দেখে চার্চিল, লিংকন, কায়েদে আজম, বল্লভ ভাইয়ের প্রমোদ ভ্রমনের গপ্প
অখিল সুখপাঠ্য হিসেবে পড়ানো হয়
ডংকা ইউনিভার্সিটির লিটারেচার বিভাগে
এট এ গ্যালান্সে শোভিত পানাহারের ফটোফ্রেম যেন এক দুতিয়ালীর মহাকাব্য ।
জাতির বাবা সেখানে হাভানার চুরুটে গনতন্ত্রের মন্ত্র পড়ছেন,
জয়নাল, সুশিল, ডেভিড, পুর্নাইয়ার জন্য ।
রক্তভেজা নোনতা গন্ধের অন্ধকারে
পেরিয়ে যাচ্ছে মহাকাল ।
হাড়গিলে ছেলেমেয়ের দল রক্তভেজা নোনতা গন্ধের অন্ধকারের হারেমে
বউ পুতুল খেলছে ।
সেখানে ডংকার বিলের আলো নেই,
এট এ গ্যালান্স পরিপাটি বোর্ড নেই,
জয়নাল, সুশিল, ডেভিড, পুর্নাইয়ার হারেমে খেলার ছেলেবেলা নেই ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৩০