আদালতের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ, ঘৃণা আর হতাশা থেকে লিখছি।
আজ মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত যে রায় দিল তা অত্যন্ত জঘন্য। দেশ যখন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, আদালত এই ক্রান্তিকালে যখন তার দায়িত্ব পালন করছে না, রাষ্ট্রের চতুর্র্থ স্তম্ভ হিসেবে আমার দেশ পত্রিকাটি আদালতের দায়িত্ব পালনের দিকটিই আলোচিত রিপোর্টটিতে ইশারা করেছিল মাত্র। কিন্তু তিনাদের এটা পছন্দ হয়নি।
আদালত এখনো গো ধরে আছে তার প্রেস্টিজ গেল বলে! সত্য কথা বললেও অর্থাৎ আদালত কোন আকাম করলে সেটা বললেও নাকি আদালত অবমাননা হবে। "এসময় আদালত তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, .......... রিপোর্টের সত্য-মিথ্যা যাচাই নয়, রিপোর্টটিতে উপস্থাপিত কোন বক্তব্য আদালত অবমাননাকর কিনা, সেটিই বিচার্য বিষয়। কোন সত্য কথাও আদালতের জন্য অবমাননাকর হলে সেটা আদালত অবমাননা বলেই বিচার্য হবে।" (নয়া দিগন্ত )
মধ্যযুগে খৃস্টান ধর্মযাজকরা যেমন সমস্ত আইনের উর্দ্ধে ছিল আমাদের আদালতও এখন সেই পথই ধরেছে। আজকের রায়ের মাধ্যমে সংবিধানের উর্ধ্ধে চলে যাওয়ার ঘোষণাই যেন দিল আদালত।
সংবিধান ব্যক্তির চিন্তা ও মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করেছে। আদালত সেই অধিকারকে পায়ে দলে পিষে ফেলতে চাইছে। নাগরিক হিসেবে আদালতের এই মামা বাড়ির আবদার আমরা মেনে নিতে পারি না। আদালত যদি এই আচরণ অব্যাহত রাখে তাইলে খ্যাতা পুড়ি এই আদালতের।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৩৫