
যখন ঘুমায় পৃথিবী...
রাত্রির কোলে মাথা রেখে...
নির্ভেজাল স্বপ্ন হয়ে--
তখন আমি আসি ;
পরিশ্রান্ত পথিকের
পায়ের ক্লান্তি হয়ে !
আষাঢ় শেষে এইখানে যখন
শ্রাবনের আনাগোনা...
বিভ্রান্ত আকাশ যখন
বৃষ্টি ঝরায় বড্ড অদ্ভুতভাবে !
এক পশলা--দুই পশলা !
তারপর...আবার রোদ ঝরায়
সোনা রঙ ভরিয়ে দিয়ে !
আমি তখন অব্যক্ত চোখের
অপলক দৃষ্টি হই !
যখন চাতকের মত তৃষ্ণার্ত মনেরা আকাশে না পাওয়ার প্রশ্ন ছুড়ে দেয়!
নিজের অজান্তে !
কোনো কারন ছাড়াই যখন দৃষ্টি চলে যায়
আকাশের ঐ বিশাল দূরত্বের দিকে!
আমি তখন উত্তর হই
অনুচ্চারিত প্রশ্নের !
বৃষ্টির ছন্দপতনের
আর---
তৃষ্ণার্ত সবুজ ঘাসের তৃষ্ণার !
প্রবল ব্যস্ততা যখন কেড়ে নিয়ে যায়
সবকিছু...
সুখ-স্বস্তি-দুঃখ অথবা অভিমান !
ঘুর্ণমান পৃথিবীর আপেক্ষিক ঘুর্ণনের বেড়াজালে
যখন হারিয়ে যাই সবাই...
এই তুমি-আমি -আমরা !
তখন সব ঘুর্ণন-গতি-ত্বরন-মন্দন
এক নিমিষেই থামিয়ে দিয়ে;
আমি শ্রান্ত অভিমান হই...
অভিমানী কোনো গোপন হৃদয়ের কোল আলো করে দিয়ে!
হৃদয়ঙ্গম করা ছাড়া যেই অভিমান
স্পর্শ করা সম্ভব নয়...
এই পৃথিবীর কারো পক্ষে !
যখন হঠাৎ করেই থেমে যায় সময়!
নিজের চারপাশের!
কোনো শব্দ আর যখন শ্রবণ ঈন্দ্রিয় কে স্পর্শ
করতে পারে না!
নিজের নিশ্বাসের শব্দকেও যখন
বড্ড অচেনা লাগে!
তখন আমি স্পন্দন হই ...
প্রাণহীন প্রাণের!
ছন্দ হই...শব্দহীন পৃথিবীর!
যখন মন নামক অবস্তুটা বড্ড বেশী ভাবায়
কারন --অকারনে-ই
কোনো কিছুর বিনিময়ে আর তাকে
বুঝানো যায় না!
অবুঝ শিশুর মতো!
তখন আমি আমার অন্ধকার পৃথিবীর
অন্ধকার রাতের আকাশের
স্নিগ্ধ ছায়াপথ ধরে...
নিমগ্ন চিত্ত্বে ধুমকেতুর মতো
ছুটে যাই--
লক্ষ যোজন দুরত্বকে
অবুঝ শিশুর মতো --
নিমিষেই অতিক্রম করবো বলে--!!
তারপরঃ
ক্লান্ত-শ্রান্ত-দিশেহারা ধুমকেতুর মতো
হঠাৎ মুখ থুবড়ে পড়ি--
অজানা গ্রহের কোনো--নিষ্ঠুর ধারালো প্রাণহীন ভূতলে!
আমি রক্তাক্ত হই!
নিষ্ঠুরতার কড়াল গ্রাসে
ছিন্ন-ভিন্ন হই !
তারপরও...
শরীরের সবটুকু
শক্তি সঞ্চয় করে, সব ইচ্ছার সম্মিলন ঘটিয়ে---
অসহায় -নিঃস্ব -বড্ড একাকী এই আমি;
আমার রক্তাক্ত ছিন্ন ভিন্ন দুটি কোমল হাতে...
অচেনা -অন্ধকার ঐ ভূতল স্পর্শ করে
অন্ধকার উর্ধ্বলোকে দৃষ্টিপাত করি!
হাজারো নক্ষত্রের মাঝে
শুধু একবার তোমার মুখটি দেখবো বলে !
শুধু একবার তোমায় স্পর্শ করবো বলে !
তুমি আমায় দেখতে পাও কী
হে বিধাতা !
তুমি আমায় শুনতে পাও কী ?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১২