সবার প্রতি শুভকামনা রেখে লেখা শুরু করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে খুবই পছন্দ করি। এরকম কোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতে পারলে মনে হয় আমার হয়তো সামান্য গুরুত্ব আছে এই পৃথিবীতে। দেশের জন্য অনেক কিছু করতে ইচ্ছে হয় কিন্তু সময় আর সামর্থ্যের সমস্যা থাকার কারণে করতে পারি না সব সময়। তারপরও চেষ্টা করি কিছু করার। তথ্য প্রযুক্তি ভালোবাসি সবসময়। সেকারণে প্রচুর গ্যাজেট সংগ্রহ করার একটা অভ্যাস রয়েছে। সামুর নিয়মিত ভিজিটর। বহুদিন পর লিখছি। বছর ২-১ আগে হঠাত ইচ্ছে হলো ভালো মানের ক্যামেরা কেনার। কিনলামও। বেশ কিছুদিন ছবি তুলে ছবি তোলা নেশায় রূপ নেয়। একসময় ভাবি এতে দেশ বা দশের কোন উপকার হচ্ছে না। হয়তো হবে কিন্তু আমাদের দেশে প্রকৃতির/ওয়াইল্ড ছবি তুলে মানুষকে সন্তুষ্ট বা সেবা করার মত সময় হয়তো এখনো আসেনি। যাক, সম্প্রতি আমি এবং আমার দুই বন্ধু মিলে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, কিছু একটা করি যাতে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। এতেও দেখা যায় নানা সংকট, নানা দিক ভেবে কুল কিনারা পাওয়া যায় না। এটা হয় তো ওটা হয় না।
শেষে এক জায়গায় ক্ষান্ত হয়েছি। সেটা হলো দেশের দরিদ্র সমাজের নিগৃহীত কিছু মানুষ (শিশু, প্রতিবন্ধী বা নারী-পুরুষ অথবা মাদকসেবী) দের সমস্যা বা দু:খ কষ্টগুলো অন্য মানুষের সামনে তুলে ধরব। এরই সূত্র ধরে কর্মকান্ড শুরু করেছি শর্ট ফিল্ম দিয়ে, ট্রাইএঙ্গেল স্টুডিওর ব্যানারে। নানা বাধা বিপত্তি পার করে মাদক বিষয়ক একটি টেস্ট ফিল্ম শেষে শিশু নির্যাতন ও শিশু শিক্ষা বিষয়কে কেন্দ্র করে শর্ট ফিল্ম তৈরী করলাম। সম্পূর্ণ অলাভজনক এ কাজটির মাধ্যমে আমাদের পয়সা কামানো কোন পায়তারা নেই। কিন্তু সমস্যা নতুন করে শুরু হলো। সেটা হলো পয়সা দিয়ে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে এটা দেখানোর মতো পয়সা নাই। আবার কেউ না দেখলে এটার কোন মর্যাদা হয় না। সকলে দোয়া করবেন যেন আরো ভালো কিছু উপহার দিতে পারি সবাইকে।
শর্টফিল্মটি দেখার অনুরোধ রেখে লেখা শেষ করলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে।
শর্ট ফিল্মটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬