আর কয়েকটা দিন , এরপর তাদের দুজনের দুরত্ব হবে দুই মহাদেশের সমান দুরত্ব। একদিন সামান্য সময়ের জন্য হাই হ্যালো, এর বাইরে তাদের আর দেখা হয়নি , অনলাইনেই কথা বার্তা চলে । সেটাও আসলে এমনিতেই কথা বার্তা । বেশীরভাগ সময়েই ছেলেটি প্রশ্ন করে , মেয়েটি উত্তর দেয় ! অদ্ভুত ব্যাপার সে কখনোই কিছু জানতে চায়না, কেমন আছেন ছাড়া !!
অবসরে কিংবা হঠাত সময় করে হাইহ্যালো করার বাইরে খুব বেশি কথাও হয়না তাদের। কথা চলার কারন সম্ভবত ছেলেটিই । মেয়েটির ছবি দেখতে তার খুব ভাল লাগে । এইভাবে নামহীন কোন সম্পর্কে ছবি চাওয়া যায় কিনা সেটা নিয়ে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ থেকে একদিন মেয়েটির একটা ছবি এত ভাল লেগে গিয়েছিল যে সে মেসেনজারে মেসেজ পাঠানো থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেনি । এরপর আস্ত আস্তে কথা হতে হতে অনেক দিন পার হয়ে গেল । দুজনের কাছেই সম্ভবত এইভাবে হাই হ্যালো করতে ভালই লাগে, তাই এখনও চলছে এভাবেই ।
ছেলেটি গলির মুখে দাঁড়িয়ে আছে , মেয়েটির অপেক্ষায় । তাদের একদিন কফি খাবার প্ল্যান ছিল, হঠাত করে মেয়েটি বলেছে চলে আসুন, বাসায় বসে একসাথে কফি খেতে খেতে গল্প করব । দ্বিতীয় চিন্তা ছাড়ায় ছেলেটি হ্যা বলে ফেলেছিল, আর এখন অপেক্ষা করছে সে এসে তাকে নিয়ে যাবে।
মেয়েটিকে দেখা গেল এগিয়ে আসছে, কালো স্কার্ট আর সাদা টপস গায়ে, এই টপস পড়া অদ্ভুত সুন্দর লাগা মেয়েটির সেই ছবি দেখেই সে প্রথম তাকে নক করেছিল । চলুন , আর কোন কথা না বলেই মেয়েটি উল্টা ঘুরল । ছেলেটিও কিছু না বলে তার পিছু নিল । লিফটে উঠার সময়ও কোন কথা নেই.....
চাবি দিয়ে দরজা খুলে বলল আসুন । ড্রইং রুমে দুজন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে । অদ্ভুত স্নিগ্ধতা ঝড়ে পড়ছে মেয়েটির মুখ থেকে, বুঝা যায় কিছুক্ষন আগে শাওয়ার নিয়েছে , ক্যারন পয়ভর পারফিউম এর ঘ্রান এমনিতেই অসাধারন , মেয়েটি দিয়েছে বলে হয়ত আরো চমতকার লাগছে । ৩০ সেকেন্ড হয়ে গেল কারো মুখে কোন কথা নেই ।
মেয়েটি হঠাত মুসকি হেসে বলল , কফি নাকি আপনার পছন্দের জিনিস , কোনটা নিবেন আগে। দ্বিতীয় চিন্তার আগে ছেলেটি বলে ফেলল কফি না হয় অন্য কোন দিন হবে । এত সুন্দর ঠোঁট , কফির সাথে এর বিনিময় হতে পারেনা কোনভাবে !
ছেলেটি এগিয়ে গেল , দুহাত মেয়েটির কোমড়ে রাখল , মেয়েটি মনে হয় হালকা কেঁপে উঠল। ছেলেটি নিজেই মেয়েটির আরো কাছে এগিয়ে গেল ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৮