somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

God of War III

২৬ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার এক বড় ভাই হচ্ছে ইমন ভাই। আমার বন্ধুদের সকলের বারবার ধাক্কা আর ইমন ভাই এর অনুরোধে আমাকে গড অব ওয়্যার ৩ নিয়ে লিখতেই হল। অবস্থা অনেকটা এমন হয়েছিল যে হয় ব্লগ লিখ নয়ত মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ। তো বুঝতেই পারছেন কে আর মরতে চায়! সাম্প্রতি গড অব ওয়্যার ৩ এর একটি ডেমো E3 Expro তে দেখানো হয়েছে এটি একটি প্লেস্টেশন থ্রি এক্সক্লুসিভ গেম। তবে এই ডেমোই ছিল একটি সম্পুর্ন গেমের কোয়ালিটি সম্পন্ন। বর্তমানে গড অব ওয়্যারের কম্পানি সনি কম্পিউটার এন্টারটেইনমেন্টের সানটা মোনিকা গড অব ওয়্যার ১ এবং ২ HD ভার্সনে অর্থাৎ প্লেস্টেশন ৩ তে বের করছে। এটা একই সাথে একটি ব্লুরে ডিস্কে দেয়া হবে। এরই সাথে থাকবে গড অব ওয়্যার ৩ এর ডেমোটি। অনেকটা এবারের রিড্ডিক গেমের মত। কেননা এবারের রিড্ডিক গেমও দুটি গেম একই সাথে প্যাকড করা। ভালই হয়েছে। আসুন এবার আপনাদের নতুন গেমটি সম্পর্কে কিছু বলি।


স্বাভাবিকভাবেই এবারেও নায়ক জনপ্রিয় ক্রেটোস। সেই ক্ষিপ্রত অবস্থায়। এবারে মনে হয়েছে সে আগের চেয়ে একটু বেশি অপরাজেয়। সে কোন কিছুকেই ভয় করেনা। স্বাভাবিক কেননা যে ব্যাক্তি গড এরিকে হত্যা করতে পারে তার আবার কিসে ভয়! তার সেই আগের অস্ত্র ব্লেড অব এথেনা সহ আরও কিছু এবারও ব্যবহার করা যাবে। এবারে তার সাথে কিছু ম্যাজিক্যাল শক্তিও আছে। এবারের গ্রাফিক্স খুবই সুন্দর। আগের ভার্সনগুলোতে শত্রুকে ছিড়ে ফেললে তেমন কিছু মনে হতো না। কিন্তু এবার শত্রুকে ছিড়ে ফেললে তার চামড়াও ছিড়ে, মাংস পেশী থেকে শুরু করে রগগুলোও ছিড়ে এবং রক্ত তো আছেই। তাই দেখতে খুবই ভয়ানক মনে হয়। শত্রুকে মারলে নায়কের সারা গায়ে শত্রুর রক্ত মেখে যায়। এবারও ক্রেটোস দেবতাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কেননা তাদের মধ্যের কেউ কেউ তাকে ধোকা দিয়েছে। এবারে ক্রেটোস অলিম্পাস শহরকে ধ্বংস করবে। এতে তাকে অনেক মাইথোলজিক্যাল বিস্টকে মারতে হবে এবং তাকে অনেক পাজল সলভ করতে হবে।

এই ভার্সনে ডেভেলপাররা ব্যবহার করেছে state-of-the-art ভিজুয়াল টেকনোলজি। যাতে গেমারের মনে হয় যে সে আসলেই যুদ্ধক্ষেত্রে আছে। এতে আছে ফ্লুয়িড, life-like ক্যারেক্টার, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ডায়নামিক লাইটিং সিস্টেম, Robust Weapon সিস্টেম, world-changing সিনারিও যা গেমটাতে দিয়েছে নিক্ষুত পরিবেশ। এই গেমে প্লেস্টেশন ৩ এর পাওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি কাটসিনগুলোও গেম ইন্জিনে রান করে দেখায়। গেমের ওয়ার্ল্ড আগের চেয়ে চারগুন বড়। এবং চারগুন বেশি এক্সপ্লোর করার মত জায়গা আছে। এতে আছে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং এর সমান জীবন্ত টাইটান বস। এতে ডিটেইলড ইউনিক থ্রিডি ওয়ার্ল্ড আছে যেখানে ব্যবহৃত হয়েছে হাজার হাজার ডায়নামিক লাইট। প্রতিটা জায়গারই টেকচার আগের চেয়ে চারগুন বেশি রেজুলেশনের। এই গেমে আপনি মাসল মুভমেন্ট এবং ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন বেশ ভাল ভাবেই লক্ষ্য করবেন এজন্য এবারে আরও বেশি ব্রুটালিটি এবং গোর আছে।

গেমের কমব্যাট সিস্টেম বরাবরের মতই খুবই সুন্দর। পাজলগুলো মাইথিক্যাল হওয়াতে বেশ জটিল মনে হতে পারে। এবারের কাহিনীকে এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যেন গ্রীকের কাহিনীর সাথে একেবারে মিলে যায়। অর্থাৎ প্লেয়ারের মনে হতে পারে যে আসলেই বোধ হয় ক্রেটোস নামে স্পার্টান কোন সেনাপতি ছিল। এবার অনেক মাইথোলজিক্যাল বিস্টকে তার ইচ্ছার বিরূদ্ধে কনট্রোল করা যাবে যেমন এক ধরনের পাখি এবং সাইক্লপস। যা ব্যবহার করে গেমে কিছু পাজল সলভ করতে হবে। নতুন বেশ কিছু অস্ত্র এবং মুভমেন্ট আছে। এবারে এই গেমটাই বেস্ট এ্যাকশন গেম নির্বাচিত হয়েছে।


সবচেয়ে বিশ্ময়কর ব্যাপারটা হচ্ছে ডায়নামিক লাইটিং। অন্যান্য গেমের মত না এর লাইটিং সিস্টেম। আপনি চাইলে গেমটার বিভিন্ন ট্রেইলার দেখতে পারেন। কিছু একটা যেন এই গেমের লাইটিং এ আছে। একটু যেন অন্য রকম গেমটার গ্রাফিক্স। টেকনোলজিটা একটু বর্ননা করি। এতে লাইটিং এ ব্যবহার করা হয়েছে প্লেস্টেশন ৩ এর সেলের স্পেশাল পারফর্মেন্স। যা প্লেস্টেশনেই কেবল মাত্র এখন সম্ভব। এতে ব্যবহার করা হয়েছে HDRL [Hign Dynamic Range Lighting] টেকনোলজি যাতে ক্যামেরাকে হিউম্যান রেটিনা হিসেবে প্রোগ্রাম করা হয়। যেমন আমরা অনেক্ষন অন্ধকারে থেকে হঠাৎ আলোতে আসলে যেমন সমস্যা হয় এই গেমেও সেই সমস্যার সিমুলেশন করা হয়েছে। রোদের আলো বেশি হলে আমরা যেমন চোখ ঢেকে ফেলি বা সানগ্লাস ব্যবহার করি তেমন এই গেম খেলতে গিয়ে আপনার সানগ্লাস ব্যবহার করা অতি প্রয়োজনীয় মনে হতে পারে।

তবে ডেভেলপাররা বলছে তারা এবার ক্রেটোসের একটি চমৎকার শেষ পরিনতি দেখাবে। তাহলে কি আর বের হবে না গড অব ওয়্যার?? দেখা যাক কি হয়। কিন্তু আমার ব্যাক্তিগতভাবে মনে হয় যে এরকম একটা গেম নিশ্চই তারা শেষ করে দেবেনা। হয়ত এটা ব্যাবসার একটা কৌশল।
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আত্মপোলব্ধি......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫১

আত্মপোলব্ধি......

একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !

লিখেছেন হাসানুর, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩২



হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?

লিখেছেন রাজীব, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪২

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।

আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×