তাহসান। অপমিত গানটা যেন তাহসানের জন্যই লেখা। ওর উত্থানপর্বের বিষন্ন এক গান। ওর উত্থানপর্বের ওরই করা সুর ...যা আমাকে আমূল কাঁপিয়ে দিয়েছিল তখন...
অপমিত অর্থ: insulted;
কি এক ঘোরে লিখেছিলাম গানটা!
আমার দুচোখে গাঢ় কুয়াশার ঘোর
তবুও তোমার কাব্য দুহাতে ধরা।
জলের স্রোতের কাছে ঘুমিয়ে পড়েছি আমি
পাতা ঝরে ঢেকে দিয়ে গেল আমায় ।
এই একটি গানে আমার একটি বাসনা পূর্ন হয়েছিল। জুবায়ের মালিকের বাঁশী ব্ল্যাকের কম্পোজিশনে ইনক্লুড করা। তখন ওর বাঁশীতে আমি মগ্ন। ১৯৯৭-৯৮ সাল থেকেই জুবায়ের মালিক আমার ঘরেই পড়ে থাকে। আমি আর ও তখন মিউজিকোলজি নিয়ে ভীষনই আচ্ছন্ন।
আর আমি তো এই সব নিয়েই বাঁচব বলে ঠিক করেছি অনেক কাল আগেই ...
তো, জন কে বলি-জুবায়েরের জন্য একটা কম্পোজিশন কর। এলিটাকে তো নাও। ওকে নিলে কী ক্ষতি! জন যথারীতি নিশ্চুপ।তখনও বুঝিনি যে ও আমাকে সাইপ্রাইজ দেবে বলে তাহসানের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করছে। আমিই ব্ল্যাকের চেয়ারম্যান কি না! চেয়ারম্যানকে তো খুশি রাখতেই হয়!
আজও আমার আছে। খুব বৃষ্টি হচ্ছিল সে দিনটায়। আমি আর জুবায়ের ছাদে। সিগারেট টানাটানি চলছে। ২০০১ সালের মেঘবৃষ্টি। ওরও ভারী ইচ্ছে ব্ল্যাকের সঙ্গে বাজাবে। কথাটা বলেও ফেলল। আমি বললাম, আমিও চাই।
পরে, ... ‘অপমিত’ শুনে বুঝলাম। জুবায়ের মালিক ওর বেষ্টটাই দিয়েছে।
যে কেউই শুনলে বুঝবে আমি কি মিন করছি ।
জুবায়ের মালিক। একেবারে ডানদিকে
অপমিত গানের কথা কিংবা আমার কবিতা
আমাকে খুঁজতে তুমি কোথায় যেতে চাও
আমি বৃষ্টির মাঠে নগ্ন একা ভিজি।
ডানা ঝাপটানো পাখির গন্ধে
আমার দু’পাশে বুনো ফুলের মৌতাত।
আমার দুচোখে গাঢ় কুয়াশার ঘোর
তবুও তোমার কাব্য দুহাতে ধরা।
জলের স্রোতের কাছে ঘুমিয়ে পড়েছি আমি
পাতা ঝরে ঢেকে দিয়ে গেল আমায় ।
তবুও খুঁজবে লোকালয়ে একা?
তুমি ওখানে পাবে না আমায় (জুবায়ের ঢুকল এখান থেকে)
একটি পাথর সরালে পাবে
তোমার বুকের মাঝে আমায়।
আমার দুচোখে গাঢ় কুয়াশার ঘোর
তবুও তোমার কাব্য দুহাতে ধরা।
জলের স্রোতের কাছে ঘুমিয়ে পড়েছি আমি
পাতা ঝরে ঢেকে দিয়ে গেল আমায় ।
এইবার শোনেন জুবায়ের কি বাজায় ...
অডিও
Click This Link