এ গ্রহের মানুষের কাছে যুদ্ধ নতুন কিছু নয়। সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই এ গ্রহের মানুষ যুদ্ধ চেনে। যুদ্ধ সভ্যতার এক অনিবার্য অনুষঙ্গই বলে মনে হয়, সহস্রাধিক যুদ্ধের রক্তে সভ্যতার পৃষ্ঠা রঞ্জিত...কিন্তু, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যেন অতীতের সব যুদ্ধ থেকেই আলাদা। এর কি কারণ? ধ্বংসযজ্ঞে বৈজ্ঞানিক কলাকৌশল প্রয়োগ? প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংসকার্যে ব্যবহৃত হয়েছে বল্ট -অ্যাকশন রাইফেল, বেয়োনেট, ল্যুগার পিস্তল, ম্যাক্সিম মেশিন গান, মাসচিনেনজিউহর নামে মেশিন গান, বিগ বার্থা নামে আর্টিলারি, গ্রেনেড, লিটিল উইলি ট্যাঙ্ক, টর্পেডো, ধোঁওয়াবিহীন গান পাওডার এবং ওয়ারলেস কমিউনিকেশন। যার পরিনামে সর্বমোট ১ কোটি ষাট লক্ষ মানুষ মৃত্যুকে বরণ করতে বাধ্য হয় ...
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কি এড়ানো যেত?
চলুন গভীরে প্রবেশ করি। ঐতিহাসিক J. E. Swain তাঁর 'A History of World Civilization’ বইতে লিখেছেন, "The desire for more land, more markets and more raw materials have spurred governments, supported by the people, to take drastic action.Patriotism is used to support the imperialist's appeal to the masses. Seldom do the people know the real causes for the war in which they are asked to participate, until long after the war is over.’ ( page, 534)
এই কথাটি কতখানি সত্য? দেখা যাক।
উনিশ শতকের মধ্য ইউরোপ। তারই এক শক্তিশালী সাম্রাজ্য; অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান এম্পায়ার। সাম্রাজ্যটি শাসন করত হাবসবার্গ রাজবংশ। ১৮৬৭ সালের এক সমঝোতার পর হাবসবার্গ রাজবংশ হাঙ্গেরি শাসন করতে সম্মত হয়। কাজেই, অস্ট্রো -হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্যটি ছিল একধরনের দ্বৈতরাজতন্ত্র। যা হোক। সে সময়, অর্থাৎ উনিশ শতকে বলকান (গ্রিস ও তুরস্কের উত্তরে) ছিল তুরস্কের অটোমান সুলতানের শাসনাধীন । এর মধ্যে অন্যতম শ্লাভ (জাতি)-অধ্যুষিত বসনিয়া-হার্জেগোভিনা। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দ। অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্য বসনিয়া-হার্জেগোভিনা গ্রাস করে নিতে উদ্যত হল। অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্যের এহেন সাম্রাজ্যবাদী লিপ্সাকে অটোমানরা সামরিক শক্তি দ্বারা প্রতিরোধ করতে পারেনি। এর কি কারণ? অটোমানদের শক্তি তদ্দিনে ক্ষয়ে ক্ষয়ে আসছিল। ২য় কারণ-অত্র অঞ্চলে শ্লাভ জাতীয়তাবাদের বিকাশ। ১৯০৯। অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্য এবার বসনিয়া-হার্জেগোভিনা দখলই করে বসে।
মানচিত্রে দেখুন বসনিয়া-হার্জেগোভিনার অবস্থান ও অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্য ...
অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্যের এরুপ বেপরোয়া আগ্রাসনের ফলে অত্র অঞ্চলে সৃষ্টি হল বসনিয় সঙ্কটের । বলকানে ক্ষমতা খর্ব হবে বলে রাশিয়া অনেক আগে থেকেই অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্যের ওপর হয়ে উঠেছিল ক্রোধান্বিত। তবে তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল বসনিয়রার মুক্তিকামী জনতা। স্বাধীকারের লক্ষ্যেই অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য ‘নিপাত যাক’, ‘নিপাত যাক’ বলে বসনিয়ায় অনেক কটা উগ্রপন্থি জাতীয়তাবাদী দল তৈরি হয়ে যায়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ‘ইয়ং বসনিয়া’ বা সার্ব ভাষায়: মালদা বসনা। এরই একজন একনিষ্ট সদস্যে ছিল গাভরিলো প্রিন্সেপ নামে ১৯ বছর বয়েসী একজন বসনিয়-সার্ব ছাত্র।
যা হোক। ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ ছিলেন অস্ট্রো -হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যে আর্কডিউক বা হাবসবার্গ রাজবংশের একজন সম্মানীয় সদস্য এবং তিনি ছিলেন অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান এম্পায়ারের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী । ১৯১৪ সালের জুন মাসে আর্কডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ সস্ত্রীক ছিলেন বসনিয়া-হার্জেগোভিনার রাজধানী সারাজেভোতে।
গাভরিলো প্রিন্সেপ তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।
এরপর ঘটনা ঘটতে থাকে দ্রুত।
রোববার। ২৮ জুন। বেলা ১০টা বেজে ১৫ মিনিট। গাভরিলো প্রিন্সেপ সারাজেভোর একটা ফুটপাতের ওপর ক্যাফেতে বসে স্যান্ডউইচ খাচ্ছিল। হঠাৎই তাঁর চোখ কালো রঙের একটি কনভাট্রিবল গাড়িতে আটকে যায়। গাড়িতে আর্কডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ বসে; পাশে আর্কডিউক-এর স্ত্রী সোফি। ড্রাইভার রং র্টান নিয়েছিল। এখন গাড়ি ব্যাক করছে। কাল বিলম্ব না করে প্রিন্সেপ উঠে দাঁড়িয়ে পিস্তল বের করে মাত্র ৫ ফুট দূর থেকে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি করে।
এই মুহূর্তটিই সূত্রপাত করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের।
জার্মানির তৈরি লুগার পিস্তল; প্রথম মহাযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল।
গুলি আর্কডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনাান্দের গলা ফুটো করে বেরিয়ে যায় ...এবং সোফির পেট ভেদ করে। কজন পুলিশ গাভরিলো প্রিন্সেপকে জাপটে ধরে। প্রিন্সেপ তখন চিৎকার করে বলে,I am not a criminal, for I destroyed a bad man. I thought I was right. I am a Yugoslav nationalist, aiming for the unification of all Yugoslavs, and I do not care what form of state, but it must be free from Austria. No I am not sorry. I have cleared evil out of the way I am the son of peasants and I know what is happening in the villages. That is why I wanted to take revenge, and I regret nothing.
আর্কডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ ও তাঁর স্ত্রী সোফি-দুজনই বেলা ১১টায় মারা যায়।
প্রিন্সেপ-এর বিচার শুরু হয়। কমবয়েসী বলে প্রিন্সেপ-এর মৃত্যুদন্ড হয়নি। বদলে যাবৎজ্জীবন কারাদন্ড হয়। অবশ্য এই ঘটনার চার বছর পর সে মারা যায়। যক্ষায়। ১৯১৮ সালে।
প্রথম মহাযুদ্ধে ব্যবহৃত আর্টিলারি: স্কোডা ৩০.৫
এখন প্রশ্ন এই-গাভরিলো প্রিন্সেপ অস্ট্রো -হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যে আর্কডিউক কে হত্যা না করলে কি প্রথম মহাযুদ্ধ সংঘটিত হত না? লক্ষ করুন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্য বসনিয়া-হার্জেগোভিনা দখল করে বসে। আসল ঘটনা এখানেই। ঐতিহাসিক ঔ. ঊ. ঝধিরহ বলেছেন, "The desire for more land, more markets and more raw materials have spurred governments, supported by the people, to take drastic action.Patriotism is used to support the imperialist's appeal to the masses. Seldom do the people know the real causes for the war in which they are asked to participate, until long after the war is over.’
সাঁজোয়া যান: এটির নাম ছিল ডেনিস মিলিটারি লরি।
অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্য ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় সৈন্য পাঠালে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্যের জনগন সম্ভবত প্রতিবাদ করেনি দেশপ্রেমের মোহে। যেমন, ৭১ এ পূর্ব পাকিস্তান ছাড়খার করলে পশ্চিম পাকিস্তানের নাগরিকগন দেশপ্রেমের মোহে নিশ্চুপ ছিল। নিশ্চুপ এখনও আছে। ইরাকযুদ্ধ সম্বন্ধেও ঐ একই কথা। মার্কিন সরকার ইরাকে সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ নাগরিকই দেশপ্রেমের ঘোরে পড়ে প্রতিবাদ করেনি। এর আগে অবশ্য দেশপ্রেমের জোশ উথলে দিতে টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দিতে হয়েছিল পেন্টাগনকে।
লি এনফিল্ড রাইফেল। পদাতিক বাহিনীর অন্যতম অস্ত্র
যাক। গাভরিলো প্রিন্সেপ অস্ট্রিয় আর্কডিউক কে হত্যা করেছিল ২৮ জুন ১৯১৪। এর ঠিক একমাস পর ২৮ জুলাই অস্ট্রো -হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্য সার্বিয়ার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষনা করে। সার্বিয়ায় আরও অস্ট্রো -হাঙ্গেরিয় সৈন্য পাঠায়।
অস্ট্রো -হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্যের নীতি নির্ধারকরা এই একমাস কি কি হিসেবনিকেশ করেছিল? (মনে করি, এঁদেরই কারও-বা সমরাস্ত্র কারখানা ছিল। যুদ্ধ সেই চেয়েছিল ...এমন কি হতে পারে না? ...যাক। লাভ হয়নি। ইতিহাস জানে অস্ট্রো -হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্যের নীতি নির্ধারকরা হেরে গিয়েছিল। হাবসবার্গ রাজবংশের পতন হয়েছিল ১৯১৮ সালে ... )
রাশিয়ার তৈরি ম্যাক্সিম মেশিন গান
তখন আমি বলছিলাম যে- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কি এড়ানো যেত?
রাশিয়া কখনোই বলকানে অস্ট্রো -হাঙ্গেরিয়ান এম্পায়ার এর উপস্থিতি মানতে পারেনি । অথচ, ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দ থেকেই বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় অস্ট্রো -হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্যের অস্বস্তিকর উপস্থিতি ছিল। যার বিরুদ্ধে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্য ‘নিপাত যাক’, ‘নিপাত যাক’ ধ্বনি তুলছিল জাতীয়তাবাদী শ্লাভরা। মনে রাখতে হবে, রাশিয়ায় তখন রোমানভ রাজবংশের শাসন। রোমানভরাও ছিল শ্লাভ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার জনগনও শ্লাভ। অস্ট্রিয়া দ্বারা এহেন শ্লাভ পীড়নে রাশিয়ার জাতিগত শ্লাঘা উশকে উঠেছিল। কেননা, শ্লাভরাই তো শ্রেষ্ঠ! এছাড়া একটি চুক্তিও সম্পাদিত হয়েছিল রাশিয়া আর সার্বিয়ার মধ্যে যে বিপদে পড়লে একে অন্যকে বাঁচাবে।
ব্রিটিশ মার্ক ভি ট্যাঙ্ক
রাশিয়াও ভীষন পীড়ন করতে চাইছিল অষ্ট্রিয়াকে। রাশিয়ার সামনে সে সুযোগ এসে গেল। ১৯১৪ সালের জুলাই মাসের ২৯ তারিখে রাশিয়া অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্যেকে রুখে দিতে বলকানে সৈন্য সমাবেশ করতে থাকে। (মনে করি, রোমানভদের কারও-বা সমরাস্ত্র কারখানা ছিল। সেই যুদ্ধ চেয়েছিল।) ...এভাবে ইউরোপের অন্যান্য পরাশক্তিও এক এক করে বসনিয় সঙ্কটে জড়িয়ে পড়ে। তার কারণও ছিল। একটা কারণ লাভালাভ। অন্য কারণ- উনিশ শতকের শেষ ভাগে ইউরোপ দুটি মহাজোটে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। একদিকে জার্মানি, অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয় সাম্রাজ্য ও ইতালিকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় জোট ;অন্যদিকে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও রাশিয়াকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত।
আর্টিলারি: এটির নাম "বিগ বার্থা"
ত্রিপক্ষীয় জোট সৃষ্টি হয়েছিল জার্মান চ্যান্সেলর বিসমার্কের সময়ে। জার্মান চ্যান্সেলর বিসমার্ক জানতে-ফ্রান্স প্রতিশোধ নেবে। কিসের প্রতিশোধ? বলছি। ১৮৭০ সালে ফ্রান্স ও তৎকালীন জার্মানির (প্রুশিয়া) মধ্যে এক যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধ ফ্রাঙ্কো-প্র“শিয় নামে পরিচিত। সেই যুদ্ধে ফ্রান্স হেরে গিয়েছিল ফ্রান্স । শুধু তাই নয়, ফ্রান্স তার আলসেস লোরেন প্রদেশটিও হারিয়েছিল। এই কারণেই বললাম, জার্মান চ্যান্সেলর বিসমার্ক জানতেন-ফ্রান্স পতিশোধ নেবে। ৩০ জুলাই জামার্নি অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের পক্ষে (জোটভূক্ত বলেই) জার্মানি যুদ্ধ ঘোষনা করে। প্রতিশোধ নিতে ফ্রান্সও ১ আগস্ট জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। জার্মানিও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করল একই দিনে।
ব্রিটেন ও জার্মানির মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছিল প্রতিদ্বন্দিতা । বিশেষ করে নৌআধিপত্য নিয়ে।
টর্পেডো
প্রথম মহাযুদ্ধে এসব সুপ্ত ক্ষোভ নির্গত হতে থাকে। যে যুদ্ধে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত হারিয়েছে প্রায় ৬০ লক্ষ সৈন্য। আর ত্রিপক্ষীয় জোট ৪০ লক্ষ।
একে অন্যকে ধ্বংস করতে যেসব অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে তারা।
রাইফেল: বল্ট -অ্যাকশন রাইফেল, লেবেল এম ১৮৮৬, মাউজার জিউহর, ওয়েবলি এমকে ফোর, লি এনফিল্ড রাইফেল, স্প্রিংফিল্ড, মানলিচের কারকানো, পিস্তলের মধ্যে ল্যুগার।
মেশিন গান: গার্ডনার মেশিন গান, হচকিস, লুইস গান, ম্যাক্সিম মেশিন গান, মাসচিনেনজিউহর, উইকারস মেশিন গান, ব্রউং মেশিন গান ।
সাঁজোয়া যান: মিলিটারি মোটর বাস, কমার অ্যাম্বুলেন্স,ফোর্ড মডেল টি প্যাট্রল কার, ডেনিস মিলিটারি লরি।
আর্টিলারি: হেভি আর্টিলারি, বিগ বার্থা, গ্রেনেড, হাউটজার, স্কোডা ৩০.৫, মিলস বম্ব
ট্যাঙ্ক: মার্ক ভি, মার্ক ৮ (লিবার্টি), লিটিল উইলি, মার্ক (মাদার) দি হুইপেট, কাররো ফিয়াট টিপো।
অন্যান্য: বেয়োনেট, টর্পেডো, ধোঁওয়াবিহীন গান পাওডার। ওয়ারলেস কমিউনিকেশন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হতাহতের পরিমান
সর্বমোট ২ কোটি ৭০ লক্ষ। এর মধ্যে ১ কোটি ৬০ লক্ষ মৃত। ২ কোটি দশ লক্ষ আহত।
১ কোটি ৬০ লক্ষ মৃত। এর মধ্যে সামরিক প্রায় ১ কোটি। প্রায় ৭০ লক্ষ সিভিলিয়ান।
Seldom do the people know the real causes for the war in which they are asked to participate, until long after the war is over.
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল: ২৮ জুলাই, ১৯১৪। ১১ নভেম্বর ১৯১৮।
কোন্ দলকে জয়ী বলব ভাবছি।
বেয়োনেট; ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ হত্যায় এটিও ব্যবহার করা হয়েছিল ...
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২৪