ঘটনা এক.
বিথী রানী, বয়স ২১। সম্প্রতি বিধবা হয়েছেন। স্বামীর বাড়িতে স্থান হচ্ছে না। পরিবারও বিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন। কারণ, বিয়ের সময় বিরাট পরিমাণের যৌতুক দিয়েছিলেন। (হিন্দু মেয়েরা বাবা-মা-স্বামী-সন্তানের সম্পত্তিতে অধিকার পায় না, ধর্মে নাই। তাই অনেক যৌতুক দিতে হয়।) যৌতুকের টাকাও স্বামীর পরিবার নিয়েছে, বিথীর জন্য নেয়া হয়নি। বা বিথীর হাতে দেয়া হয়নি।
বিথী তার স্বামীর কাছ থেকে কোন সম্পত্তি পাবে না, বাবা-মা-ভাইয়ের কাছ থেকেও না। বড়জোর পেট চালাতে পারে বাবা-মা-ভাইয়ের পরিবারে, নিজে কিছুই করতে পারবে না। কোন উদ্যোগও গ্রহণ করতে পারবে না টাকার অভাবে। নিজের ভবিষ্যৎ শুধু মৃত্যুর প্রহর গোণা। মৃত্যুর পর বিথী নামের কোন অস্তিত্ব থাকবে না, বিথী বলে কোন ইতিহাস থাকবে না, বিথী কোন ইতিহাস লিখেও যেতে পারবে না।
এই মেয়েটি এখন যাবে কোথায়!! রাস্তায় !! নাকি পতিতাবৃতি!!
এশিয়ার সবচেয়ে বড় পতিতালয় কলকাতার সোনাগাছি, সারা ভারতে অসংখ্য পতিতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বাংলাদেশেও হিন্দু পতিতার সংখ্যা নেহাত কম নয় বলেই আমার বিশ্বাস।
আমি বলছি না, হিন্দু মেয়েদের বাবা-মা-স্বামী-সন্তানের সম্পত্তিতে অধিকার নাই বলে তারা পতিতা হয়েছে। তবে এই কারণটাও ফেলে দেয়ার মত নয়।
ঘটনা দুই.
১৭ বছর আগে কানন বালাকে ছেড়ে চলে গেছেন তাঁর স্বামী। তাঁর দুই সন্তানকেও স্বামী অস্বীকার করেন। পরে স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। কানন বালা বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিলেও সেখানে তাঁর দায়ভার কেউ নেননি। তাই তিনি আজ একজন ভাসমান নারী।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬