চীনের একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) বাতি থেকে তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছেন। বাস্তুবে এই ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া খুব শিগগির শুরু হবে। বাতি থেকে এই ইন্টারনেট সংযোগের নাম দেওয়া হয়েছে লাই-ফাই।
সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক চি নান দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানান, মাইক্রোচিপ-সংবলিত একটি এলইডি বাল্ব প্রতি সেকেন্ডে ১৫০ মেগাবিট গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে। চি নানের গবেষক দলে রয়েছেন চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের সাংহাই ইনস্টিটিউট অব টেকনিক্যাল ফিজিকসের বিজ্ঞানীরা। এই বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, চারটি কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে একটি এক ওয়াটের এলইডি বাতিই যথেষ্ট। আর বাতি থেকে পাওয়া ইন্টারনেটের গতি ব্রডব্যান্ড সংযোগের চেয়েও দ্রুত হবে এবং এতে খরচও পড়বে অনেক কম।
লাই-ফাই ভিজিবল লাইট কমিউনিকেশন্স (ভিএলসি) নামেও পরিচিত। ২০১১ সালে তারহীন অপটিক্যাল কমিউনিকেশন্স বিশেষজ্ঞ হ্যারাল্ড হাস এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবারের মতো দেখান এলইডি বাতিতে সংকেত-প্রক্রিয়া করার প্রযুক্তি যোগ করে কীভাবে কম্পিউটারে হাই-ডেফিনেশন (এইচডি) ভিডিও স্ট্রিম করা যায়। লাইট ফিডালিটি বা লাই-ফাই, এই কারিগরি নামটি দেন হ্যারাল্ড হাস।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনা বিজ্ঞানীদের এই দাবি সমর্থনের জন্য আরও তথ্যপ্রমাণ প্রয়োজন। কেননা, চীনা বিজ্ঞানীরা তাঁদের দাবির পক্ষে কোনো ভিডিও বা ছবি উপস্থাপন করেননি। চি নান নিজেও স্বীকার করেছেন, এই প্রযুক্তি এখনো শৈশব অবস্থায় রয়েছে। তবে আগামী ৫ নভেম্বর সাংহাইতে অনুষ্ঠেয় চায়না ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডাস্ট্রি ফেয়ারে লাই-ফাই প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবেন তাঁরা
চীনে আছি অনেক দিন ধরে তাই চীনের যে কোন আবিষ্কারে ভালো লাগে।আশা করি বাংলাদেশ ও একদিন এর চেয়ে ভালো ভালো জিনিস আবিষ্কার হবে।