"আমার ও অন্যের" ২ টা ছোট্ট শব্দ কিন্তু এর ভিন্নতা ব্যাপকতর।
অন্যের না হয়ে যদি আমার হতো তাহলে প্রতিটা পথশিশুকে নিজ পরিবারের সদস্য মনে হত।
অন্যের না হয়ে যদি আমার হতো তনুকে নিজের বোন ভেবে সবাই আন্দোলনে রাস্তায় নামতো।
অন্যের না হয়ে যদি আমার হতো কেউ দুর্নীতি করার আগে ভাবতো আমাদের টাকা আমি কেন নিবো?
অন্যের না হয়ে যদি আমার হতো রাস্তায়, স্কুলে,কলেজে, ভার্সিটিতে, রেস্টুরেন্টে কোন মেয়েকে উত্তক্ত করার আগে নিজের বোনের কথা ভাবতো।
অন্যের না হয়ে যদি আমার হতো সুস্থ থাকার পরেও রক্তদানে অস্বীকার করতো না বরং রোগীকে শুধু রক্তদান না ফলমূল ও কিনে নিয়ে যেতো।
অন্যের না হয়ে যদি আমার হতো রাজনীতিবিদরা আমজনতাকে ব্যবহার্য টিস্যু না ভেবে নিজের ভাই ভাবতো।
অন্যের না হয়ে যদি আমার হতো চাকরী পেতে মামা খালুর প্রয়োজন পড়তো না। নিজ যোগ্যতা, মেধা আর পরিশ্রমই যথেষ্ট ছিল।
অন্যের না হয়ে যদি আমার হতো বাইরের রাস্তা, এলাকার গলি, ভার্সিটির ক্যাম্পাসে, পার্কে ময়লা ফেলতে পারতো না বরং নিজের বাসা ভাবতো।
অন্যের না হয়ে যদি আমার হতো কেউ মাদকের ব্যাবসায় জড়াতো না কারণ নিজের সন্তান বা ভাইয়ের বা বোনের হাতে কেউ মাদক তুলে দিত না।
অন্যের না ভেবে যদি আমার ভাবতো ধর্ষনের পূর্বে নিজের মা, বোন, আর মেয়ের ছবি কল্পনায় ভাসতো । তখন ধর্ষন অসম্ভব ছিল।
অন্যের না ভেবে যদি আমার ভাবতো বাংলাদেশকে সবাই নামে নয় নিজ দেশ ভেবে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসতো।
সমস্যাটা আমাদের মানসিকতায় যেখানে নিজ আওতাভুক্ত ছাড়া বাকি সব অন্যের মনে হয়। আর অন্যের পাশে দাঁড়িয়ে আমার কি লাভ? সে তো আমার আপন নয়।
মানসিকতার পরিবর্তন হোক। যে অন্যের সমস্যাটাকে নিজের সমস্যা মনে করে অন্যের জন্য লড়াই করে যায় সেই প্রকৃত মানুষ।