গোপালগঞ্জে জন্ম নিলেও মারজুকের ছেলেবেলা কেটেছে দৌলতপুরে। বাবার পাটকলে চাকরির সুবাদে থাকা হতো তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত কোয়ার্টারে। শিক্ষা জীবনের শুরু সরকারি কৃষ্ণমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরবর্তীকালে বাবার ইচ্ছায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে মারজুক ভর্তি হন মাদ্রাসায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই পাঠ্যপুস্তকে আঁকা হাশেম খানের ছবি তাকে নিয়ে যেত ভালো লাগার জগতে। তার মনের কোণে লুকিয়ে থাকা শিল্পী সত্তাকে জাগিয়ে টেনে নিত স্বপ্নলোকে। ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে মারজুকের ছোটবেলার মন অবাক হতো, এমন ছবি কেমন করে আঁকে? সে সময় নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জসীম উদ্দীনের লেখা তাঁকে নাড়া দিত। কবি শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ, ফররুখ আহমেদ, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাগুলো তাকে আকর্ষণ করত তীব্রভাবে। ওসব লেখকদের লেখক পরিচিতি পড়ে, তাদের গল্প, কবিতা, গদ্য পড়ে নিজের মধ্যে দারুণ এক আলোড়ন অনুভব করতেন মারজুক।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই সমাজের সূক্ষ্মতম একটা ব্যাধি মারজুকের কোমল অনুভূতিতে আঘাত করে। সেটি হলো শ্রেণী বৈষম্য। ক্লাসে ভালো ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর সন্তান হওয়ার ফলে সে দেখেছে প্রথম শ্রেণীর কর্মচারীদের সন্তানদের সুবিধাপ্রাপ্তিকে। আর দেখেছে নিজেকে বঞ্চিত হওয়ার পাত্র হিসেবে। তবুও নজরুলের জীবন সংগ্রাম, রুটির দোকানে কাজ, লেটোর দলে গান এগুলো মারজুককে শক্তি জোগাত, প্রেরণা দিত।
এরপর বাবা যখন মারজুককে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিলেন তখন বন্ধুরা উপরের ক্লাসে উঠে গেল কিন্তু মারজুক পড়ে গেল আরো নিচে। এভাবে সে সবার কাছে, সবদিক দিয়ে নিচে পড়ে যাওয়া, পিছিয়ে পড়া ছেলে হয়ে গেল। এ সবকিছু তাকে হীনম্মন্যতায় ভোগাতে শুরু করে। মনের মধ্যে অনেক আবেগ আর কষ্ট নিয়ে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় কবিতা দিয়ে মারজুক লেখা শুরু করেন। কবিতার ছন্দ সম্পর্কে ধারণা না থাকলেও শিল্পী মন তার ছন্দ বুঝতে পারত। খুলনার ‘জনবার্তা’ পত্রিকায় মারজুকের প্রথম কবিতা ছাপা হয়। এরই মধ্যে মারজুক এক মেয়ের প্রেমে পড়েন যার বাবা পাটকলের প্রথম শ্রেণীর কর্মচারী। কিন্তু মেয়েটি কোনো সাড়া না দেয়াতে মারজুক একাই পুড়তে থাকে না পাওয়ার বেদনাতে। অপূর্ণ, অতৃপ্ত ভালোবাসা তাকে আরো বেশি লক্ষ্যহীন করে তোলে। কিন্তু তার অন্তর পূর্ণ হতে থাকে আবেগে।
মারজুক বলেন, এগুলো তার ভিত্তি। তার ছেলেবেলার এসব চাপ, হতাশা, আবেগ তার জীবন সম্পদ, এগুলোই তাকে তৈরি করেছে, সমৃদ্ধি দিয়েছে। তবে মারজুককে তার একমুখী ভালোবাসার মাসুল দিতে হয়েছিল সে সময়। তার বাবার চাকরি গিয়েছিল এ কারণে। কারণ সে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর ছেলে আর যাকে সে ভালোবাসে সে প্রথম শ্রেণীর কর্মচারীর মেয়ে। এসব মারজুককে দারুণ ভোগান্তির দিকে ঠেলে দিয়েছিল। মানসিকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন মারজুক। আজো মাঝে মধ্যে ভোগেন সে অসুখে।
যা হোক সে সময় মারজুক বেশি বেশি করে সময় দিতে শুরু করেন তার ভালোলাগা বিষয়গুলোতে। উদীচী, কলাকেন্দ্রে সদস্য না হয়েও জড়িয়ে যান তাদের নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে। সবাই চলে গেলেও শেষ পর্যন্ত থাকতেন। সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করতেন গ্রন্থাগারে। খুলনার বয়রার গণগ্রন্থাগার, উমেশ চন্দ্র গণগ্রন্থাগারে তার সবচেয়ে বেশি যাতায়াত ছিল। মিশতে শুরু করেন বন্ধুবান্ধব বাদ দিয়ে, সমাজ যাদেরকে রাস্তার মানুষ বলে তাদের সঙ্গে। যোগ দিতেন বাম রাজনৈতিক দলের সভা-সমিতিতে।
মারজুকের বাবার অনেক পুরনো একটা ‘নেভিকো’ রেডিও ছিল। সেটাতে প্রায়ই গান শুনতেন তিনি। একদিন গান শুনতে শুনতে যখন ঘোষকের কণ্ঠে শুনলেন ‘গানটি লিখেছেন ...’ তখন তিনি বাবাকে প্রশ্ন করেন, ‘বাবা গান কিভাবে লেখে?’ তার বাবা বলেছিলেন, ‘এ জন্য অনেক পড়ালেখা করতে হয়।’ মারজুকের তরুণ মনে তখনই জেগে ওঠে গান লেখার আকাক্সক্ষা, তিনি বিস্মিত হতেনÑ ‘এত সুন্দর গান কেমন করে লেখে মানুষ!’
’৮৯ সালে এক বন্ধুর সঙ্গে প্রথম ঢাকায় আসেন তিনি। সেটা ছিল বেড়াতে আসা। এর মধ্যে পরিচিত হন কবি শামসুর রাহমান, রফিক আজাদ, লুৎফর রহমান রিটন, শিহাব শাহরিয়ার, ফারুক মামুনের সঙ্গে। তারা প্রায়ই টুঙ্গীপাড়া যেতেন বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বা মৃত্যুদিনের অনুষ্ঠানে। থাকতেন দু-তিন দিন। সে সময় তাদের সঙ্গে দেখা, তাদেরকে সময় দিতেন মারজুক খুলনা থেকে গিয়ে।
১৯৯৩ সালে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে খুলনা থেকে ঢাকা আসেন মারজুক। আসেন কবি শামসুর রাহমানের বাড়িতে। ডোরবেল বাজাতে কবি নিজেই দরজা খোলেন। মারজুক তাকে বলেন, ‘আমি অনাহারী’। এই শব্দ দুটি কবির একটি বইয়ের শিরোনাম। টুঙ্গীপাড়ায় কেবল দু-একবার দেখা হওয়া তরুণটিকে কবি হয়ত ভালো করে চিনতেও পারেননি। কিন্তু তার মুখে নিজের বইয়ের নাম শুনে এবং তরুণের সত্যিকার অনাহারী চেহারা দেখে কবি শামসুর রাহমান মারজুককে ভেতরে নিয়ে যান। মারজুকের জন্য তিনি খাবার টেবিলে সাজান অনেক রকমের খাবার। মারজুক তার জন্য এত খাবার দেখে সম্মানিত হয়, শক্তি পায়। তার পর খাওয়া শেষে মুগ্ধতা নিয়ে কবিকে সালাম করে বের হয়ে আসেন বিশাল আকাশের নিচে।
এরপর শুরু হয় তার জীবন সংগ্রাম। মারজুক বেঁচে থাকার জন্য সিনেমার টিকিট বিক্রি করেছেন, ফুটপাথে হকারগিরি করেছেন, বাসের টিকিট নেয়ার জন্য যাত্রীদের কাছে অনুরোধ করেছেন। তখন মারজুক থাকতেন তোপখানা রোডের একটি গাড়ির গ্যারেজে। এ সময়টিতে মারজুক আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়েন তার শিল্প সত্তাটার কোন সম্ভাবনা না দেখতে পেয়ে। শৈল্পিক কাজের বিকাশ তো দূরের কথা বেঁচে থাকার কঠিন কঠোর সংগ্রামগুলো তার জীবনকে পর্যুদস্ত করে দিচ্ছিল। লেখালেখি বন্ধ ছিল। ভাবছিলেন লেখা আর হবে না তাকে দিয়ে। কাগজ-কলম-স্বরচিত কবিতা সব একপাশে সরিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু শিল্পী কি তার সত্তাকে ছেড়ে দিতে পারে, নাকি শিল্পই পারে তার ধারককে ত্যাগ করে যেতে? তাই তো এরই মাঝে একদিন ভোরে এক আইডিয়া নাড়া দেয় মারজুককে। তিনি সেই ভোরে উঠেই লেখা শুরু করেন। এটিই তার প্রথম লেখা যার শিরোনাম দিয়েছিলেন ‘তিন অক্ষর’। সেই হলো তার শুরু নতুন জীবনের।
এর মধ্যে একটি কনস্ট্রাকশন হাউজে কাজ জুটে গেল মারজুকের। তখন তিনি যাওয়া শুরু করেন আজিজ মার্কেটে। পরিচিত হতে থাকেন নবীন-তরুণ লেখদের সঙ্গে। সে সময় কবিতা, গল্প লেখার পাশাপাশি শুরু করেন গান লেখা। গানের সংখ্যা যখন অনেক হলো তখন সেগুলো নিয়ে সে সময়ের বিখ্যাত সুরকারদের সঙ্গে দেখা করেন মারজুক। কিন্তু তারা তাকে কোনো গাইড লাইন দেননি বা কোনো সুযোগ করে দেননি, মূল্যায়ন করেননি তার প্রতিভার।
তবুও হতাশ হননি মারজুক। জীবন যুদ্ধ করে যাচ্ছেন তিনি, কিন্তু মানসিকতায় বিরাজ করছে স্বাধীনতা আর অন্তরে কাজ করছে শিল্প। মারজুক বলেন, প্রচুর হতাশার মধ্যেও সে সময় তার স্বপ্নকে ধারণ করে রাখতে শক্তি যুগিয়েছে ম্যাক্সিম গোর্কির তিনটা বই ‘পৃথিবীর পথে’, ‘পৃথিবীর পাঠশালা’ এবং ‘মা’। এ ছাড়া সঙ্গে রয়েছে ভূপেন হাজারিকার গান আর কাজী নজরুল ইসলামের ছেলেবেলা।
এরই মাঝে ফারুক মামুনের সঙ্গে দেখা করেন মারজুক। তার সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিল টুঙ্গীপাড়া থেকে। ফারুক মামুনের হাত ধরে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন তিনি। তারপর ধীরে ধীরে শুরু হয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ফ্রি-ল্যান্স লেখালেখি। এভাবে পরিচিত হন সঞ্জীব চৌধুরীর সঙ্গে। একদিন মারজুক তার বেশকিছু গান নিয়ে যান সঞ্জীব চৌধুরীর কাছে। সঞ্জীব তার গানগুলো দেখে পরামর্শ দেন জেমস-এর সঙ্গে দেখা করার জন্য।
সঞ্জীব চৌধুরীর পরামর্শ মতো মারজুক একদিন জেমসের সঙ্গে দেখা করতে যান হাতিরপুলে তার স্টুডিও সাউন্ড গার্ডেনে। জেমস তার গানগুলো দেখেন অনেক সময় নিয়ে। তারপর জেমস তার নিজস্ব ভঙ্গিতে বলে ওঠেন, ‘হবে, তোর হবে। তোর মধ্যে আগুন আছে’।
জেমস প্রথম দিনেই মারজুককে আট-নয় ঘণ্টা তার সঙ্গে রাখেন। ‘লেইস ফিতা লেইস’ এ্যালবামের কাজ চলছে তখন। জেমসের সঙ্গে দিন রাত কাজ করতে করতে তার কাজকে বুঝতে থাকেন মারজুক। ইতোমধ্যে বন্ধুরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বিভাগীয় সম্পাদক কিংবা স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন। তাদের সহায়তায় মারজুকের কবিতা ছাপা হতে থাকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। গান লিখতে থাকেন জেমসের জন্য। সে সময় তার কয়েকটি গান বেশ হিট করেÑ যার মধ্যে রয়েছে মীরা বাঈ, পত্র দিও, শরাবে শরাব, হা ডু ডু, আমি ভাসব যে জলে তোমায় ভাসাবো সেই জলে। ব্যাচেলরের গান আমি তো প্রেমে পড়িনি, প্রেম আমার উপরে পড়েছে, ঈশান কোণের বায়ু, পাগলা ঘোড়া। পান্থ কানাইয়ের গাওয়া বিখ্যাত হওয়া গান গোল্লা। এ সময় আসিফের জন্যও কিছু গান লেখেন মারজুক। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে হিট গানটির নাম তুমি হারিয়ে যাওয়ার সময় আমায় সঙ্গে নিও। এরপর ‘ফিসফাসফুস’ এ্যালবামে তার গান মিথ, জলকন্যা, নারী শিরোনামের গানগুলো বেশ হিট করে। সম্প্রতি থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার চলচ্চিত্রে তার দ্বন্দ্ব শিরোনামের ভেতর বলে দূরে থাকুক, বাহির বলে আসুক না গানটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
মারজুক কেবল গান কবিতাই লেখেননি বিজ্ঞাপনচিত্রের জিঙ্গেলও লিখেছেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো, তিব্বতের বিজ্ঞাপন ‘সুন্দরীতমা’, জুঁইয়ের বিজ্ঞাপন ‘সূর্য বলে আমার রোদে চুল শুকাতে আসো না’, মেরিল বিউটি সোপের ‘ভেজা হাওয়াই ভিজে যাওয়া’, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ‘সামনে পিছনে যারা তাদেরও স্বপ্ন আছে’।
এরপর মারজুকের ইচ্ছে হয় চলচ্চিত্র নির্মাণ শিখবেন। তিনি সে কথাটি বন্ধু মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে বলেন। ফারুকী তাকে সহকারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ করে দেন। ফারুকীর ‘কানামাছি’র শুটিং চলছিল তখন। সেখানে সহকারী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি অভিনয়েরও সুযোগ পান মারজুক। এরপর সাত পর্বের একটি ধারাবাহিক ‘স্বরবর্ণের চোখে’ নাটকে অভিনয় করেন মারজুক। এভাবে শুরু হলো তার পর্দার সামনে ও পিছনে কাজ করা। তারই ধারাবাহিকতায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’-এ সহকারী হিসেবে কাজ করলেন, ‘স্পার্টাকাস-’৭১’ এ কাজ করলেন।
অসংখ্য পত্রিকায় অসংখ্য কবিতা ছাপার পাশাপাশি মারজুকের লেখা কবিতার বই আছে চার খানা। প্রথম প্রকাশিত হয় ‘শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ’, এরপর আসে ‘চাঁদের বুড়ির বয়স যখন ষোলো’, তৃতীয় বইটি হলো, ‘বাঈজি বাড়ি রোড’, চতুর্থ বইটি হলো ‘ছোট্ট কোথায় টেনিস বল’।
‘বাবা বাবা লাগে’ নামে একটি নাটকও লিখেছেন মারজুক। গান নিয়ে এখনো অনেক কাজ করার ইচ্ছে আছে মারজুকের। ছবিয়ালের সঙ্গে যুক্ত আছেন। ভবিষ্যতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার ইচ্ছে আছে।
অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও প্রতিভা কখনো চাপা থাকতে পারে না, সুযোগ পেলে সে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই। তারই বাস্তব উদাহরণ মারজুক রাসেল, এক সৃষ্টিশীল মানুষের নাম। বাংলাদেশের বিনোদন জগত তার দ্বারা আরো সমৃদ্ধ হোক, মসৃণ হোক মারজুকের পথচলা, যে পথে চলে সে সৃষ্টি করুক নতুন নতুন শিল্প এই আমাদের প্রত্যাশা।
( লেখাটা আমার নয়। একদমই আমার নয়। আমি শুধু কপি পেষ্ট করেছি। কপি পেষ্ট করার কারন হলো এই প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে এতো তথ্যবহুল লেখা পুরো ইন্টারনেট ঘেটেও কোথাও পাইনি। নেই কোন উইকি লিংক। অথচ এই মানুষটা আমার কতই না প্রিয়। তাকে নিয়ে এই লেখাটি সংরক্ষনে রাখবার জন্যেই এই কপি পেস্ট। যিনি এই লেখাটি লিখেছেন তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। )
মুল লিংকঃ মুল লেখা
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:৪৯