*স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের অমর সৃষ্টি শার্লক হোমস। শার্লকে দেখা যায় শার্লকের এক বড় ভাই আছে। যার নাম "মাইক্রফট"। মাইক্রফট প্রচন্ড জ্ঞানী। কিন্তু সে তার জ্ঞান কোথাও দেখায় না।
শার্লক বিভিন্ন তথ্যের জন্য মাইক্রফটের কাছে যায়। মাইক্রফট সাহায্য করে। কিন্তু বরাবরের মতই মাইক্রফট থেকে যায় আলোর আড়ালে।
*বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা কয়েকটি চরিত্রের মধ্যে একটি "ফেলুদা"। ফেলুদাতে দেখা যায় আরেক চরিত্র "সিধু জ্যাঠা"। সিধু জ্যাঠা চিরকুমার। বিয়ে শাদী করেনি। প্রচুর টাকার মালিক। সে তার টাকা কাজে লাগায় বই কিনে।
দিন রাত বই পড়েন। সে এক জীবন্ত তথ্যকোষ। প্রচন্ড জ্ঞানী।
ফেলুদা বিভিন্ন তথ্যের জন্য সিধু জ্যাঠার কাছে যান। সিধু জ্যাঠা সাহায্য করেন।
এক গল্পে দেখা যায় সিধু জ্যাঠা ফেলুদাকে বলছেন"গোয়েন্দাগিরিতে নামলে আমি তোমাকেও হারিয়ে দিতে পারতাম।"। ফেলুদাও সায় দেয় তাতে।
কথা আসলেই সত্য।
উপরে মাইক্রফট এবং সিধু জ্যাঠার মত অনেকেই আছেন। যারা প্রচন্ড মেধাবী। কিন্তু তাদের মেধা তারা ইচ্ছে করেই কাজে লাগায় না। সব সময়ই থেকে যায় প্রচারনার আড়ালে। এবং ইচ্ছে করেই। কি হবে সবাইকে মেধা দেখিয়ে। চুপচাপ নিজেদের কাজ শেষ করে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়াটাই তো ভালো।