বারান শব্দের অর্থ বৃষ্টি। সিনেমাটির পরিচালনা করেছেন ইরানের প্রখ্যাত পরিচালক মজিদ মজিদী (Children of Heaven, The Color of Paradise)। আপনি যদি রোমান্টিক সিনেমার ভক্ত হয়ে থাকেন, তবে র্নিদ্ধিধায় জেনে রাখুন এর চেয়ে ভালো কোন রোমান্টিক মুভি সম্ভবত: এখনও আর তৈরি হয় নি। আর যদি আপনি ভালো মুভির খোজ করেন তবে জেনে রাখুন এই মুভিটির আইএমডিবির রেটিং ৭.৬ আর মেটাস্কোর ৭৯/১০০।
মুভিটির কাহিনী আফনা রিফিউজিদের নিয়ে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগান ছেড়ে এরা ইরানের সীমান্তবর্তী অন্চলে আশ্রয় নিয়েছে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্হান, চিকিৎসা ইত্যাদি নিয়ে আর্থিক টানাপোড়নে দিন কাটে তাদের। একটা কাজ যোগাড় করতে পোহাতে হয় নানান দুর্ভোগ-প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায়। সবাই চেষ্টা করে এদের সুবিধা নিতে।
কাহিনীর নায়ক ১৭ বছর বয়সী লতিফ। কাজ করে একটি নির্মান সংস্হার টি বয় হিসেবে। একদিন কাজের সময় নাজাফ নামে এক কর্মী উপর থেকে পড়ে পা ভেঙ্গে ফেলে। পরেরদিন সুলতান নামে এক স্হানীয় নাজাফের ছেলের পরিচয় এক কিশোরকে নিয়ে আসে। নাম তার রহমত। সেখানকার ফোরম্যান মিমার ২/১ দিনের মধ্যেই বুঝতে পারে রহমত ভারী কাজে অক্ষম। সে লতিফের কাজটি তাকে দেয়, আর লতিফকে নিয়োজিত করে নির্মাণ কর্মী হিসেবে।
তার পছন্দের কাজ হারিয়ে ক্ষুদ্ধ লতিফ রহমতের প্রতি মোটামুটি যুদ্ধ ঘোষণা করে, কিন্তু এ সময়েই আবিষ্কার করে এক বিস্ময়কর বিষয়। ছেলের সাজে রহমত আসলে মেয়ে। পরিবারকে সহযোগিতা করতে ছেলে সেজে সে এসেছে কাজ করতে। এবং লতিফ প্রেমে পড়ে রহমত রুপী বারাণের।
সাইটে হঠাৎই একদিন ইনস্পেকটর আসে অবৈধ শ্রমিকরা কাজ করছে কিনা দেখতে। ভয়ে পালিয়ে যায় রহমত। ধরা পড়ে লতিফ। মিমার ছাটাই করতে বাধ্য হয় সব আফগান রিফিউজি কর্মীকে। শুরু হয় লতিফের বারাণকে খোজার পালা।
সিনেমাটি অনেকটা নির্বাক ধাচেঁর। বারাণের সাথে লতিফের কোনই ডায়ালগ নেই। তাদের সে অর্থে সামনা-সামনি দেখা সাক্ষাৎও হয় না বললেই চলে। মুভিটার শেষের দিক খুবই বিয়োগান্তক।
ইংরেজী সাবটাইটেল সহ পার্ট করে দেয়া ইউটিউবের ফুল মুভি লিংক
টরেন্ট লিংক